আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ১৯৯ বোতল ফেনসিডিলসহ বাবুল হোসেন (৪০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে। আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোরে অভিযানটি চালায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের দলটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেল তল্লাশি চালিয়ে ১৯৯ বোতল ফেনসিডিল ও দুটি মোবাইল ফোনসেটসহ বাবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী জানান, গ্রেফতার আসামি দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, চিকিৎসার জন্য গ্রামের মানুষকে যাতে ঢাকা-রাজশাহী দৌড়াতে না হয়, সে জন্য প্রতিটি জেলায় আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ডায়ালাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং স্বল্প খরচে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
আজ ৩ মার্চ শুক্রবার সকালে শহরের আমতলী এলাকায় অত্যাধুনিক জয়পুরহাট ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম, টিএমএস এস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আ. গফুর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ মোল্লা, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক তিতাস মোস্তফা, জয়পুরহাট ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের চেয়ারম্যান একরামুল প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্টজন ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসকেরা জানান, জয়পুরহাটে প্রথম ডায়ালাইসিস সেন্টার চালুর মাধ্যমে জেলায় আধুনিক চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। গরীব রোগীদের জন্য বিশেষ সেবা নিশ্চিত হবে এই সেন্টারে।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম ধাপের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ২ হাজার ৪৯৭ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ৩ বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬শ ৯৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩ শত ৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সব মন্ত্রী-এমপির নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে (ডিআইপি) এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিআইপি ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে এবং আশা করছি, শিগগিরই আদেশ জারি করা হবে।’
সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করেন। এমপিদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা প্রাথমিক পাসপোর্টধারীর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টও বাতিল হয়ে যাবে।’
মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘যদি কেউ (কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী) নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই প্রথমে কূটনৈতিক বা লাল পাসপোর্টটি জমা দিতে হবে এবং তারপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।’
জানা যায়, লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে যাদের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন, এমন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পাওয়ার পরই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।