স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ২১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এদিন সাধারণ সভাও অনুষ্ঠিত হবে। প্রেস ক্লাব নির্বাচন-২০২৩ এর নির্বাচন কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোলাম মুস্তাফা মুন্না গত ৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৮ এবং অনুচ্ছেদ-৮, ধারা-১ অনুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন-২০২৩ এর সময়সূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয়, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি একই সময়ে ও স্থানে মনোনয়নপত্র জমাদান। ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং ১৭ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার। ২১ জানুয়ারি বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ। এরআগে সাধারণ সভা অনু্ষ্িঠত হবে।
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইলকে মুক্ত করেন। এদিন সকালে বিনা বাধায় মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনী শহরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে হানাদারমুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। মুক্ত দিবস উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও সরাইল উপজেলা প্রশাসনসহ নানা সংগঠন। সূত্রমতে, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করতে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় মিত্রবাহিনী সদস্যরা পাকবাহিনীর ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে।
১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় ২০ পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়।
৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। সেখানে ১১ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। শহীদ হন ৩ মুক্তিযোদ্ধা। এরই মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।
৪ ডিসেম্বর পাক হানাদাররা পিছু হটতে থাকলে আখাউড়া অনেকটাই শত্রুমুক্ত হয়। এখানে রেলওয়ে স্টেশনের যুদ্ধে পাক বাহিনীর দু’শতাধিক সেনা হতাহত হয়।
৬ ডিসেম্বর আখাউড়া উপজেলাকে শত্রুমুক্ত করার পর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের চারপাশে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাক হানাদাররা। ৬ ডিসেম্বর শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকারদের সহায়তায় তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে.এম লুৎফুর রহমানসহ কারাগারে আটকে রাখা অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে শহরের কুরুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক হানাদাররা। পরদিন ৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাক হানাদাররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। এর ফলে ৮ ডিসেম্বর বিনা যুদ্ধে মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ওই দিন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুরাতন কাচারি ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরী। একই দিনে শত্রুমুক্ত হওয়ায় সরাইল থানা চত্বরেও উত্তোলন করা হয় লাল-সবুজ পতাকা।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ জুন মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই ইসকন এর উদ্যোগে বিপুল সংখ্যক ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহনে উৎসবমুখর পরিবেশে এ রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
রথযাত্রাটি শহরের শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দির থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ীতে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ঢাক, খোল, করতালসহ উলু ধ্বণিতে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ। পূণ্যার্থীরা সৃষ্টির কল্যাণ কামনায় শ্রদ্ধাভরে জগন্নাথ দেবের কাছে ভক্তি নিবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ জুন আনন্দময়ী কালিবাড়ি থেকে উল্টো রথযাত্রা হওয়ার কথা থাকলেও পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ও সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় রাখতে একদিন আগে ২৭ জুন উল্টো রথযাত্রা করা হবে বলে জানিয়েছে ইসকন ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যেকোনো সভ্য জাতির প্রাণ হলো তার সংস্কৃতি। একটি জাতির বড় শক্তি হলো তার সংস্কৃতি। আমাদের খুবই শক্ত একটা সংস্কৃতি রয়েছে, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এর এলটি রুমে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত বৃত্তিপ্রদান, পুরষ্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে নববর্ষ এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হচ্ছে। আর এটা বর্তমান সরকারের আমলেই হয়েছে। তিনি বলেন, নববর্ষের যে অনুষ্ঠান তা বাঙালি সংস্কৃতির অনেক বড় একটা পরিচয়। ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্রের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সংস্কৃতি সংগঠরের ভালো কাজের সাথে আমি পাশে আছি থাকবো। এসময় তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতির বিকাশে সহযোগিতা করতে বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম শফিকুল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরও বলেন, সংস্কৃতি চর্চায় কোনো মানুষ বিপদগামী হয় না। আর তাই আমাদেরকে বেশি করে সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। তিনি বলেন, ভাষা ও সাহিত্য একটি দেশের তথা ওই জাতির প্রাণ। আমাদেরকে সেই ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য কাজ করতে হবে। সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে তার গতিচাঞ্চল্য বাড়াতে কাজ করতে হবে। তিনি গর্বভরে বলেন, আমাদের সংস্কৃতি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও প্রফেসর ফাহিমা খাতুন এর নামে প্রবর্তিত বৃত্তি হিসেবে ১০ হাজার টাকা মুল্যমানের চেক ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনে দীর্ঘ সময় ধরে ভুমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রবীন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আব্দুল মান্নান সরকারকে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থের ১০ হাজার টাকা মুল্যের একটি চেক এবং ক্রেষ্ট।
সংগঠনের সদস্যদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বালুবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন অটোরিক্সা চালক।
৩০ আগস্ট বুধবার বিকেলে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতুলী কুরুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শঙ্কর কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকেলে একটি বালুবাহী ট্রাক কুমিল্লার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি কাউতুলী সেতুতে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছনের দিকে আসতে থাকে। এসময় দাঁড়িয়ে থাকায় একটি খালি অটোরিক্সাকে ট্রাকটি পিষ্ট করে। তবে ট্রাকটি আসতে দেখেই অটোরিক্সাচালক দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন। তাই কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এএসআই শঙ্কর কুমার বলেন, ঘটনার পর ট্রাক মালিক সমিতির স্থানীয় নেতারা অটোরিক্সার মালিকের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করেন। তারা অটোরিক্সাটির ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন।