চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নিয়মিত বেড়েই চলছে হাতির চাঁদাবাজি। ভয়ে চাঁদা দিলেও হাতির ঘনঘন আগমনে অতিষ্ঠ এখানকার ব্যবসায়িরা। সড়কে হঠাৎ করে হাতি দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড় থেকে সকাল বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে চাঁদা উত্তোলন করেছে একটি হাতি। স্থানীয় ব্যবসায়ি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি সরাইল সদরে হাতির সহায়তায় চাঁদা উত্তোলনের চিত্র প্রায়ই চোখে পড়ছে। হাতির উপরে বসে থাকেন মালিক। মালিকের ইশারায় বা সিগনালে হাতি প্রধান সড়কে ধীর গতিতে হাঁটে। হাঁটার সময় মালিকের সিগনালে হাতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বা অটোরিকশার যাত্রীদের কাছে শোর বাড়িয়ে দিয়ে চাঁদা দাবি করে। টাকা দিলে শৌর উঁচু করে ঘুরিয়ে পিঠে বসা মালিকের কাছে টাকাটা দ্রুত পৌঁছে দেয়। হাতির শৌর বাড়িয়ে দিলে অনেক ব্যবসায়ি ও পথচারী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। আকৃতি বড় হওয়ায় চাঁদা উত্তোলনের সময় সড়কের বিশাল অংশ দখল করে দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট লেগে যায়।
ব্যবসায়ি নাদির হোসেন, আসমত আলী, জুলফিকারসহ অনেকেই বলেন, ২/৩ বা ১ মাস পরপর যদি আসে সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতিমাসে ঘুরে ফিরে ৪-৫ বার আসছে। এমন নিয়মিত চাঁদাবাজিতে আমরা অতিষ্ঠ। টাকা না দিলে অথবা বিলম্ব হলে হাতিটি এমন ভাব ধরে মনে হয় শৌরের সাহায্যে মানুষকে উঠিয়ে নিবে। এটাতো আসলে মালিকরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। আমরা জানি না মালিক পিঠে বসে থেকে হাতিকে দিয়ে এভাবে চাঁদা উত্তোলন বিধি সম্মত কিনা। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
নগদ ছয় লাখ টাকা, মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সুমন মিয়া নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খাটিহাতা এলাকা থেকে আশুগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের একটি দল সুমনকে আটক করে। আটককৃত সুমন মিয়া ওই এলাকার সোলেমান মিয়ার ছেলে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর ইমতিয়াজ মাহমুদ খান।
সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, সুমন দীর্ঘদিন ধরে খাটিহাতা এলাকায় মাদক ব্যবসার করে আসছিলেন। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সেনা সদস্যরা তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে তার কাছ থেকে নগদ ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৪১০ টাকা, এক হাজার ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২২ বোতল এস্কাফ সিরাপ, ১০ গ্রাম গাঁজা, ছয়টি দেশীয় অস্ত্র ও তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করে। উদ্ধারকৃত মাদক ও টাকা সহ তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ী ও উদ্ধারকৃত আলামত থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ঘন্টাব্যপি সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছে। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আখিতারা গ্রামে আজ ২০ আগস্ট রবিবার সকাল ১১টায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রাতে আখিতারা বাজারে চায়ের দোকানে আখিতারা গ্রামের মো, আব্বাস উদ্দিন এর ছেলে মামুন খান ও একই এলাকার মো, আরব আলীর ছেলে মাহমুদের বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে সকালে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘন্টাব্যাপী চলমান সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন লোক আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তুচ্ছ ঘটনায় সরাইলে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা আঞ্চলিক সড়কের ১০/১২টি দোকান ভাংচুর চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর সড়কের উচালিয়াপাড়া গ্রামের বাদশা আলমগীরের ছেলে আমান এর মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে বড্ডাপাড়া গ্রামের মৃত তাহাজ্জত আলীর ছেলে ভ্যান চালক এরশাদের গাড়ির।
এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়।
এসময় আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের শুরুতে খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী এসে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানে হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।