চলারপথে রিপোর্ট :
তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ আয়োজিত পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
কলেজের রসায়ন বিভাগীয় প্রধান ও পিঠা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আব্দুল কাদের আলম শাহ্’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ আবু হানিফ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, তারুণ্য হচ্ছে আমাদের বিশাল একটা শক্তি। আগামীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণরাই সহযোগিতা করবে। পিঠা উৎসবে ১৫টি স্টলে প্রায় শতাধিক দেশীয় পিঠা প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে পাপড়ি, ঝিনুক, তালেক কোন, নারিকেল পিঠা, পাক্কন, রেশমী, ঝিল মিল, ডিম সুন্দরী অন্যতম। পরে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের বৈষম্য মানা হবেনা। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে জেলার সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সম্বন্বয়ক ও সূধীজনদের সাথে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশকে শান্তিপূর্ণভাবে চলতে দিতে হবে। কেউ পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস করে দিতে চায় কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, দোষীদের শাস্তি দিতে হলে তদন্ত করে বের করতে হবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তারের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান, সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বুলবুল আহমেদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বকুল, সাংবাদিক ইব্রাহিম খাঁন সাদাত, সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, সমন্বয়ক সিয়াম, সমন্বয়ক শাহআলম, অভিভাবক মোঃ আজিম, মাহাবুবুর রহমান অভিভাবক অ্যাডভোকেট ইমরুল মুর্শিদ, তানজিনা আক্তার, শিক্ষার্থী শাবনুম শিখার মাতা, শিক্ষার্থী তানহার মাতা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর জেলার ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা চলছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকগনকে বের করে দিয়েছেন। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষকগন নাজেহাল হয়েছেন। এই অবস্থা চলতে দেয়া যায়না। বক্তারা বলেন, সামনে স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা এই অবস্থায় গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকতে পারেনা। বক্তারা আগামীকাল ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের মধ্যে গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল খুলে দেয়ার দাবি জানান। বক্তারা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে কোন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এর আগে অভিযুক্ত শিক্ষকদেরকে পাঠদানের সুযোগ দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সভায় বুধবার গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসীসহ দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত প্রবাসী মায়ের মরদেহ দেখতে ইতালি থেকে দেশে এসেছিলেন। এরপর সড়কপথে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান তিনি। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রবাসীর নাম শাহ আলম (৬২)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাজাহান মেম্বারের ছেলে। অপরজন হলেন শাহ আলমের ছোট বোন জামাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৫) নিহত হন।
নিহতের স্বজনরা জানান, মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে শাহ আলম সকালে বাংলাদেশে আসেন।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাকে আনতে ছোট বোনজামাই সেলিম ও ভাগনে সাব্বির একটি মাইক্রোবাস ঢাকা নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরের পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং তিনজনই গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেলিমের মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫, অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপনের দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেছে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেল। বক্তব্যে তিনি সেশনজট, করোনায় বয়স হারানো লক্ষ লক্ষ বেকার যুব সমাজের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ব্যতিত বিশ্বের সকল দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ এর উপরে এবং কোন কোন দেশে বয়সসীমা উন্মুক্ত।
বিগত ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা যুক্তিসংগতভাবে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার তৈরী করার সাড়ে চার বছর পার হলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ জানিয়ে বলেন আগামী নির্বাচনী ইশতেহার আপনারা কাদেরকে নিয়ে করবেন।
তরুণদেরকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ যে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখছে সে স্বপ্ন একটি দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে তরুণদেরকে সাথে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
বিশেষ বক্তার বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছে।দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়েনের অগ্রযাত্রায়। আমরা চাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ এ উন্নীত করে সেশনজট, করোনায় বয়স হারানো লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী সমাজকে হতাশা মুক্ত করে যুব সমাজেরও উন্নয়ন করা হোক। লক্ষাধিক বেকার যুব সমাজ আজ হতাশাগ্রস্ত হয়ে চার দেয়ালে বন্দি। তাদেরকে কাজে লাগিয়ে, সুযোগগুলো উন্মুক্ত করে এই বিশাল যুবশক্তিকে কাজে লাগানো হোক। অন্যথায় মুখ তুবড়ে পড়বে আগামীর উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন।
বিশেষ বক্তার বক্তব্যে আরিফা সুলতানা বলেন, দেশে গড় আয়ু বেড়েছে, জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, এই স্বপ্নের পথে ৩২ বছরের পুরনো এনালগ সিস্টেম চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ কে বিলুপ্ত করে স্থায়ীভাবে বয়সসীমা ৩৫ এ উন্নীতকরণ করা হোক। লক্ষ লক্ষ শৃংখলিত শিক্ষার্থী সমাজকে ৩০ এর ভয়াবহ কারাগার থেকে ম্ক্তু করা হোক। করোনার কথা বিবেচনা করে সব দেশ স্থায়ীভাবে তাদের বয়সসীমা বৃদ্ধি করেছে আর বাংলাদেশ দিয়েছে বৈষম্যমূলক ব্যাকডেট সিস্টেম। এই বৈষম্যমূলক সিস্টেম বাদ দিয়ে অবিলম্বে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করে দেয়া হোক। সবশেষে শত শত শিক্ষার্থী শ্লোগানে শ্লোগানে চাকরিতে বয়স সীমা ৩৫ চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে আঁচ লেগেছে। এক সময় ঈদের আগে জেলার পাদুকা পল্লীতে চরম ব্যস্ততা থাকতো। কিন্তু এবারে দেখা মিলছে চিত্র ভিন্ন।
একদিকে উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে মন্দার প্রভাবে কাজ কমে যাওয়ায় কারখানা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মালিকদের। সেইসঙ্গে যেটুকু কাজ মিলেছে, তাও করতে গিয়ে লোডশেডিংয়ের ছোবল পহাতে হচ্ছে।
এদিকে, অটো মেশিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না হাতে জুতা তৈরির আদি কারাখানাগুলো। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে মজুরি না বাড়ায় হতাশ পাদুকা কারিগররা।
সরেজমিনে পাদুকা শিল্প পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ঈদের আগে জুতা তৈরির যে ব্যস্ততা সচরাচর থাকতো সেটি আর আগের মতো নেই। হাতে তৈরির কারখানাগগুলোতে শ্রমিকের পরিমানও কমে গেছে। নেই কোনো কর্মচাঞ্চলতা। যে পরিমান অর্ডার পাওয়া গেছে, তা নিয়ে কাজ করছেন তারা।
পাদুকা তৈরির কারিগর এরশাদ মিয়া বলেন, বর্তমানে আমাদের কাজকর্ম অনেক কমে গেছে। চার বছর ধরে চায়না অটো মেশিনের কারণে আমাদের হাতে তৈরি জুতাগুলোর কদর কমে গেছে। আগে একটি কারখানাতে ২০/২৫ জন শ্রমিক কাজ করলেও এখন মাত্র চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক আছে। রমজান মাস যে আমাদের মৌসুম তা বুঝাই যাচ্ছে না। কাজ না থাকায় অনেক কারিগররা এখন অন্যান্য পেশায় চলে গেছেন।
প্রবীণ কারিগর এরশাদ মিয়া বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি এই পেশার সঙ্গে জড়িত। আগে চাহিদা অনেক ভালো ছিল। অটোমেশিনের কোম্পানি বের হয়ে আমাদের চাহিদা কমে গেছে। যে কাজ তা দিয়ে এখন আর কাঙ্খিত মুনাফা পাওয়া যায় না। পরিবার নিয়ে চলতে এখন কষ্ট হচ্ছে।
কারিগর বাদশা মিয়া বলেন, দিন দিন সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের মজুরির দাম আর বাড়ছে না। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করে ৫০০ টাকা মতো রোজগার হয়। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় এই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
পাদুকার একাধিক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির পর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে। আর যেটুকু জুতা তৈরির অর্ডার মিলেছে, লোডশেডিংয়ের কারণে তাও করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকতে গিয়ে কম মূল্যে তাদের জুতা বিক্রি করতে হচ্ছে। আর জুতা তৈরির উপকরণগুলোর দাম যেভাবে বেড়েছে, সেই অনুপাতে জুতার মূল্য বাড়ে নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পাদুকা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। নান্দনিক ডিজাইন ও গুনগত মান ভালো হওয়ায় ক্রমেই বিকাশ ঘটতে থাকে এ শিল্পের। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখানকার জুতার বেশ শুনাম। তবে গেল কয়েক বছর ধরে এই শিল্প খাতটি অনেকটাই দমে গেছে।
মাত্র কয়েক বছর আগেও জেলায় ৫ শতাধিক পাদুকা কারখানা থাকলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫০ এর ঘরে। কোনোরকমে টিকে থাকা অবশিষ্ট কারখানাগুলো চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এসব কারখানার মধ্যে ২৫টি অটোমেটিক মেশিন এবং বাকিগুলোতে হাতেই তৈরি হয় লেডিস, জেন্টস, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফুট ওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, জুতার উপকরণগুলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জুতা তৈরি করে বিক্রি করতে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা যাবে।