চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে কসবায় পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন বিজিবি’র কুমিল্লা সেক্টর সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল রেজাউল কবির পিবিজিএম।
আজ ৭ অক্টোবর সোমবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী গোবিন্দ জিউর মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দির ও পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শকালে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন ৬০ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাবের বিন জাব্বার পিএসসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ কসবা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, আখাউড়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বিসহ গোবিন্দ জিউর মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
কসবা সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে বিজিবির পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরপত্তা দেয়ার আশ্বাস দেন সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল রেজাউল কবির। এসময় তিনি নির্বিঘ্নে পুজা উদযাপনে এলাকার সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কসবা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র সাহা জানান, পূজা উদযাপনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। কসবায় এ বছর ৪১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারবাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন এর তত্ত্বাবধানে একটি কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন ট্রেনের ৭১টি আসনযুক্ত ৪৪টি টিকেটসহ মোঃ সুমন মিয়া (২৩) ও সাব্বির মিয়া (২৪) নামে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে এই কারাদন্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত সুমন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার উত্তর মৌড়াইলের বাসিন্দা ও সাব্বির মিয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রামের বাসিন্দা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমন মিয়া নামে টিকেট কালোবাজারিকে স্টেশনের বাইরে থেকে আটক করে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এ সময় সুমন মিয়া তার পকেটে থাকা বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের আসনযুক্ত টিকেট ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ডাস্টবিন থেকে টিকেটগুলো সংগ্রহ করে।
খবর পেয়ে সদর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে গননা করে চারটি আন্তঃনগর ট্রেনের ৭১টি আসনযুক্ত ৪৪টিকেট পাওয়া যায়। পরে টিকেট কালোবাজারির সহযোগী সাব্বির মিয়াকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারা লঙ্ঘণের অপরাধে দোষী সাব্যস্থ হওয়ায় সুমন মিয়াকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একই ধারায় সাব্বির মিয়াকে ছয় মাসের কারাদন্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সাব্বিরের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, সুমন মিয়া নামে এক টিকেট কালোবাজারীকে ৭৪টি আসনের টিকেটসহ আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সুমনকে ১ বছর ও তার সহযোগী সাব্বিরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এ সময় মোবাইল ফোন নাম্বার যাচাই ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ট্রেনের টিকেট বিক্রি না করার জন্য রেলস্টেশন মাস্টারকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
“নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে শহরের কাউতলী মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও র্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ভিকারন্নিছার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী শতকরা এক ভাগ ভোটারের প্রায় ২৫০ স্বাক্ষরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারের কাছে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ দিয়েছেন ফিরোজুর রহমান।
তিনি (ফিরোজুর রহমান) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। নির্বাচনে অংশ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে ফিরোজুর রহমানকে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে এখন পর্যন্ত একক এবং হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী।
ফিরোজুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মোট ভোটার সংখ্যার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনস্বরূপ সাক্ষরিত একটি তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভোটারদের তালিকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসার পথে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের খালকাটা এলাকায় আমার কর্মী মহিবুর রহমানের কাছ থেকে ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরিত একটি তালিকা ছিনতাই করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
তিনি আরো বলেন, শুনেছি বর্তমান সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আবু মূসা আনসারির মদদে ভোটার তালিকা ছিনতাই করা হয়েছে। আমি যেন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারি সেজন্যই এটি করা হয়েছে।
ফিরোজুর রহমানের কর্মী মহিবুর রহমান বলেন, আমরা ভোটারদের তালিকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে খালকাটা মোড়ের সেতুর ওপর অবুঝ নামের এক যুবকসহ সাত-আটজন আমাদের পথরোধ করে। এ সময় তারা আমার কাছ থেকে সমর্থনকারী ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মূসা আনসারি বলেন, উনি (ফিরোজুর রহমান) একেক সময় একেক কথা বলছেন। একবার বলছেন খালকাটার লোকজন ছিনতাই করেছে, আবার বলছেন চিনাইরের লোকজন করেছে। আরেকবার বলছেন আমার লোক নিয়েছে। আমি কেন ছিনতাই করাব? উনার কথাবার্তা অসংলগ্ন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোটার তালিকার কয়েকটি পাতা ছিনতাই হয়েছে বলে মৌখিকভাবে ফিরোজুর রহমান আমাকে জানিয়েছেন। তবে তার কাছে তালিকার অতিরিক্ত কপি আছে। এছাড়া তিনি নিজেই ছিনতাই হওয়া তালিকা উদ্ধার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সাব্বির আহমেদ (২৪) নামে এক যুবককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত সাব্বির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারূপ পশ্চিমপাড়া গ্রামের হানিফ ভুঁইয়ার ছেলে।
আজ ৫ এপ্রিল শনিবার সকালে ওই যুবককে হত্যার অভিযোগ নিয়ে কসবা থানায় আসেন নিহতের পরিবারের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, দুবাইয়ে প্রবাস জীবন কাটিয়ে সাব্বির আহমেদ ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে বেড়াতে আসে।
নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সে পাশের ঘরে শুয়ে পড়ে। তবে রাতে অজ্ঞাত কয়েকজন এসে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে খায়রুল নামের এক যুবক এসে পরিবারকে জানায় সাব্বির গুরুতর অসুস্থ। পরে পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় সে জানায় তাকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে গিয়েছিল এরপরই সে অবচেতন হয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার লোকজনের দাবি সাব্বিরকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি টিম। এ ঘটনায় খাইরুল নামে এক যুবককে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে জানিয়েছে রাতে সাব্বির কসবা-নয়নপুর সড়কের পানিয়ারূপ এলাকাতে মাদকের ট্রাক আটকানোর জন্য অবস্থান করছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকটি তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘাতক ট্রাকটিকে সনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে।