অনলাইন ডেস্ক :
দুই দশক আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) ও আপিলের রায় ঘোষণা হয়েছে। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইনজীবীরা জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর শুরু হওয়া আপিল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, রাসেল আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার।
লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
প্রায় ছয় বছর আগে বিচারিক আদালতের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্সের ও আসামিদের আপিল-জেল আপিলের শুনানি শুরু হয় ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর।
গত দেড় বছর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হয়েছে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিচার বিভাগেও পরিবর্তন আসে। প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের পর আপিল বিভাগের আরো পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।
নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১, ১২ ও ১৫ আগস্ট এখতিয়ার পরিবর্তন করে হাইকোর্টের ৫৪টি হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন। বেঞ্চ পুনর্গঠনের পর মামলাটি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগের দাবি, এ হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হামলার পরদিন মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই শরীফ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে সিআইডি এই মামলার তদন্তভার পায়। ঘটনার চার বছর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১১ জুন হত্যার অভিযোগ এবং বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির।
জঙ্গি দল হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে সেখানে আসামি করা হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচারও শুরু হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। সিআইডির বিশেষ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আসামির তালিকায় আরো ৩০ জনকে যোগ করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
সেখানে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারদলীয় জোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের নাম আসে। দুই মামলায় মোট ৫২ আসামির বিচার শুরু হলেও অন্য মামলায় তিনজনের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় মোট ৪৯ আসামির বিচার করেন বিচারিক আদালত।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ওই মামলার রায় হয়। রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত। সেই সঙ্গে ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের পর ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছে। দণ্ডিতরাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল-জেল আপিল করেন। পরে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী টেকসই, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ খাদ্য সম্মেলনে পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সঙ্গে তিনি টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সম্মিলিতভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানান।
আজ ২৪ জুলাই সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থাপণা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
টেকসই, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতে ৫ দফা প্রস্তাবে আর্থিক প্রণোদনা, খাদ্য ও সার রপ্তানির বিধি-নিষেধগুলো তুলে নেওয়া, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ফুড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, প্রযুক্তি বিনিময়, খাদ্য অপচয় রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সারা বিশ্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বৈশ্বিকভাবে ৬৯০ মিলিয়ন মানুষ এখনও অপুষ্টিতে ভুগছে, প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নেই এবং প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষ সুষম খাবার থেকে বঞ্ছিত।
তিনি বলেন, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার ফলে সৃষ্ট খাদ্য, সার, জ্বালানি ও আর্থিক সংকট বিশ্বজুড়ে ক্ষুধা ও অপুষ্টির সমস্যাকে ঘনীভূত করেছে।
সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহের অক্ষমতার জন্য কৃষি ও খাদ্যপণ্যের মূল্যই একমাত্র প্রতিবন্ধকতা নয়।
তিনি বলেন, সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলে আমরা বিশ্বব্যাপী টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করতে পারব।
জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দফা প্রস্তাব
প্রথমত, আধুনিক কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্থিক প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ডিল’-কে চালু রাখার পাশাপাশি খাদ্য ও সার রপ্তানির বিধি-নিষেধগুলো তুলে নেওয়াসহ যে কোন বাণিজ্য বাঁধা অপসারণের লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত দরকার।
তৃতীয়ত, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ‘ফুড ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার রূপান্তরের লক্ষ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।
চতুর্থত, কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল রেখে ন্যানো-প্রযুক্তি, বায়ো-ইনফরমেটিক্স ও অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তিগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
পঞ্চমত, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের অপচয় রোধে তরুণ সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরের প্লেনারি হল রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মন্ত্রী, রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্লেনারি হল ছাড়াও জাতিসংঘের সদরদপ্তরে গ্রিন রুম, রেড রুম, ইরান রুমসহ বেশ কয়েকটি হল রুমে বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়। এসব রুমে বিপুল সংখ্যক শ্রোতা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন এবং করতালির মাধ্যমে তার বক্তব্যকে সমর্থন জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দহল, সামাও এর প্রধানমন্ত্রী ফিয়ামি নাওমি মাতাফা, ইতালির উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তেনিও তাজানি, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
২৪ থেকে ২৬ জুলাই রোমে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আয়োজিত জাতিসংঘ খাদ্য ব্যবস্থাপণা সম্মেলনে ২০টির বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ১৬০টির বেশি দেশ থেকে প্রায় ২ হাজারের অধিক প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করছেন।
কৃষিতে বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরে বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের সরকার যখন দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয় তখন আবার ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি দিয়ে শুরু করি।
তিনি বলেন, আমরা কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি প্রদান, ১০ টাকায় কৃষকের জন্য ব্যাংক হিসাব চালুকরণ, শৃঙ্খলাপূর্ণ সার বিতরণ ব্যবস্থাসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এরফলে, ২০১৩ সালের মধ্যে আমরা শুধু খাদ্যে স্বয়ং-সম্পূর্ণতাই অর্জন করিনি, বরং খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হই।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন কতটা বেড়েছে তার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এফএও-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ খাদ্য উৎপাদনকারী ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ২০০৮-০৯ অর্থছরে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ৩২.৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টনে।
তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ থেকে ২০২০-২১ বছর পর্যন্ত প্রতিবছর দেশে সবজি উৎপাদন গড়ে ৫ শতাংশ এবং ফল উৎপাদন গড়ে ১১ শতাংশের বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশ ধান ও মাছ উৎপাদনে ৩য়, পাট উৎপাদনে ২য়, সবজি উৎপাদনে ৩য় এবং আলু উৎপাদনে ৬ষ্ঠ।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদানের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান জানান, বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১১.৬৬%। তবে আমাদের কর্মশক্তির প্রায় ৪০.৬% কৃষিতে নিয়োজিত। আমাদের জিডিপিতে মৎস্যখাতের অবদান ২.৪৩% এবং প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১.৯০%।
বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। দেশে বর্তমানে ৮টি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৪ বছরে ৬৯০টি উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল শস্যের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা লবণাক্ত-সহিষ্ণু ধান উদ্বাবন করেছেন এবং খরা ও জলমগ্ন-সহিষ্ণু ধান উদ্বাবনের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণে সরকারের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে ২০১০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রায় ৮১ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছি। সার, বিদ্যুৎ ও সেচ ইত্যাদির জন্য ১ লাখ ২ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা উন্নয়ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃষি ও খাদ্যপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে উৎপাদন হতে শিপমেন্ট পর্যন্ত উত্তম কৃষি চর্চা, হাইজিন প্র্যাকটিসেস, গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিসেস অনুসরণ করার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব স্থাপন করে দেশি পণ্যের মান নিশ্চিত করার দিকে সরকার মনোনিবেশ করেছে বলে জানান তিনি।
আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের কৃষি উদ্ভাবন ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করার কথা উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান।
জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আয়োজিত ফুড সিস্টেম সামিটে যোগ দিতে রোববার (২৩ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেলে ইতালির রোম আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে আগামী বুধবার দেশে ফিরবেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১২ আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে রাণীহাটী ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামে সড়কের পাশে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত ককটেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কে বা কারা এবং কেন ককটেলটি রেখে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
সেখানের আশপাশ তল্লাশি করে অন্য কোনো ককটেল বা বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চে উঠতে গিয়ে নারী-শিশুসহ ৫ যাত্রী বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন সবাই। আজ ৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এ ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধারে নেমে পড়েন। পরে লঞ্চের রশি বেয়ে সবাইকে একে একে উপরে টেনে তোলা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই যাত্রীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত চাপের কারণে সদরঘাটে লঞ্চে ওঠার সময় ধাক্কাধাক্কিতে ওই পাঁচজন যাত্রী বুড়িগঙ্গায় পড়ে যান। পরে ঘটনার পরপরই দ্রুত স্থানীয় কয়েকজন পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তলিয়ে যাওয়ার আগেই সবাইকে উদ্ধার করে নিরাপদে উপরে তোলেন। একপর্যায়ে লঞ্চের রশি ও ঘাটের সিঁড়ি ব্যবহার করে সবাইকে উদ্ধার করা হয়। তারা প্রত্যেকে সুস্থ রয়েছেন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিআইডব্লিউটিএ বা নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ইন্টারনেট ডাটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে সরকার ও কোম্পানিদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর এ নোটিশ পাঠান।
গতকাল ১৩ জানুয়ারি সোমবার দেওয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন মিজানুর রহমান।