বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগরে নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার দায়ে এক ইটভাটাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও মাটির কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর ২ টায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান খান শাওন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের সোনাই নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান খান শাওন সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি ভেকু জব্দ করেন ও নদীর পাড়ের মাটি কেনার দায়ে পার্শ্ববতী মেসার্স জামান বিকস্ ফিল্ডের কর্মচারী মোঃ সালেক (২৬) কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রঞ্জন কুমার ঘোষ, বুধন্তী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কাজল কুমার বণিক উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পূর্বাঞ্চল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, মাদক, ওষুধ, চশমা, চকলেট, থান কাপড়সহ একাধিক চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২৫ বিজিবি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। গতকাল ৩ নভেম্বর রোববার দুপুরে ২৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতেয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্বাঞ্চলের আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলা সীমান্তে বিজিবি গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় ৩১ অক্টোবর রাত থেকে ২ নভেম্বর শনিবার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, অভিযানে ভারতীয় উন্নতমানের ব্লেজারের থান কাপড় ১২২৪ মিটার, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার উন্নতমানের চশমা ৭৮৭০ পিস, ভারতীয় চকলেট ৩১৮০ পিস, বিভিন্ন ব্রান্ডের এন্ড্রয়েড মোবাইল ২৬টি, কুকুর ও বিড়ালের ওষুধ সামগ্রী ৩৬২ পিস, বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী সামগ্রী ৪৩ পিস, ইস্কফ ৪৩০ বোতল, মদ ৫৭ বোতল এবং ভারতীয় গাঁজা ১০ কেজি আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত মাদকদ্রব্য এবং চোরাচালানি মালামালের সর্বমোট বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
ভারত থেকে আনা চোরাচালানি মালামাল জব্দ করা হলেও কোনো চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেননি বিজিবি জওয়ানরা।
২৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতেয়াজ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তপথে যাতে চোরাচালানি মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর ও অবৈধ চোরাচালানি মালামাল আটকে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পুলিশের উপর হামলা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে আইয়ূব নূর (৫৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয় এবং পুলিশের একজন এস.আইসহ ১০জন পুলিশ আহত হয়।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের গাবানিমোড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ূব নূর গাবানিমোড়া গ্রামের মন্তু মিয়া প্রকাশ মস্তু মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায় নিহত মাদক ব্যবসায়ী আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকের ৫টি মামলা রয়েছে। হামলার সময় নিহত আইয়ূব নূরের ছেলে আরিফকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় ছিনিয়ে নিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ী ও তার স্বজনরা।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী আইয়ূব নূরের পরিবারের সবাই এলাকার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। বিজয়নগর থানায় আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে মাদকের ৫টি, তার ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে ৫টি ও তার ভাই তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে ১০টি মাদকের মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে পুলিশ আরিফকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পড়ালে পুলিশের উপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরা। তারা আরিফকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে আইয়ূব নূর, সালামা বেগম ও ইমন নামে তিনজন আহত হয়।
মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় এস.আই সাঈদুল, এ.এস.আই সেলিম, এ.এস.আই আবদুল্লাহ আল-মামুন ও কন্সটেবল তুষারসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আহত পুলিশ সদস্য এ.এস.আই আবদুল্লাহ আল-মামুন ও কন্সটেবল তুষারকে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। তিনি বলেন, আমরা আইয়ূব নূরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকের ৫টি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার ইয়াকুব আলী চৌধুরী সড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বের পুকুরে মুখ বাধা অবস্থায় একটি বস্তা ভেসে উঠে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান, বস্তার মুখ খুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৫টি টুপি, ১টি ব্যাগ, ২টি হেলমেট, ২টি বেল্ট, ১টি ক্যাপ, ৫টি রেংক ব্যাজ, ৫টি নেইম প্লেট।
যাহাতে মহসিন নামটি লেখা, ১টি প্রসেস যাহাতে ক্যাপ্টেন মহসিন নামটি লেখা, ৩টি কেমোফ্লাগ ক্রিম, ১টি ব্যাজ, ২ জোড়া পিটি সু, ১টি টেপ সাদৃশ সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। এসব জিনিস পাওয়ায় আমার নিকটতম আর্মি ক্যান্টনমেন্টগুলোতে খবর পাঠিয়েছি। তবে আমাদের প্রাথমিক ধারনায় হয়তো কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব ব্যবহার করত।