চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বিশিষ্ট নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তানিম, খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর প্রমুখ।
সভায় আজ ১০ এপ্রিল থেকে হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেলে ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনে কোন পাম্প থেকে জ্বালানী তেল সরবরাহ না করা, লাইসেন্সবিহীন ও খুচরা জ্বালানী তেলের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট কালোবাজারী বন্ধে রেলওয়ে স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সভায় রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী ছাড়া অহেতুক কাউকে ঘুরাফেরা না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে জেলায় কোন অবস্থাতেই যেন বাসের টিকেটের দাম বৃদ্ধি না করা হয়, মহাসড়কে কোন ধরনের চাঁদাবাজী যেন না করা হয় সে ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে কোন অবস্থাতেই যেন মহাসড়কে যানজট না হয়, এবং কোন যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হলে তা সাথে সাথে অপসারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় রেকার প্রস্তুত রাখার জন্য হাইওয়ে থানাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের খনাখন্দ অবিলম্বে সংস্কার করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। ঈদের সময় মহাসড়কে যেন ট্রাকে করে যাত্রী পরিবহন না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সভায় ঈদের আগে তিনদিন ও ঈদের পরে ৩দিন মহাসড়কে কোন অবস্থাতেই যেন সিএনজিচালিত অটোরিকসা চলাচল না করে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
সভায় জেলায় কোন অবস্থাতেই যেন মালবাহী পাওয়ার ট্রিলার রাস্তায় চলাচল করতে না পারে সেজন্য পাওয়ার ট্রিলার চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও শহরের যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন,বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যানগন, নির্বাহী অফিসারগণ, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগনসহ আইন-শৃংখলা রক্ষা কমিটির সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি মাসিক সভা আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি’র সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মীর মোঃ এমতাজুল হক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবার হোসাইন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ,কে এম কামরুজ্জামান মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জিপি অ্যাডঃ ওয়াসেক আলী, ডাঃ মোঃ মাহমুদ হাসান, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আঃ কাইয়ূম, জেল সুপার শহীদুল ইসলাম, এনটিভির স্টাফ রিপোটার শিহাব উদ্দিন বিপুর, এনজিও প্রতিনিধি এস.এম শাহীনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধিবৃন্দ।
এসময় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি ও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার বলেন, গরীব অসহায় ব্যক্তিদের মামলা ব্যয় বাংলাদেশ সরকার দেয় এ শ্লোগানটি সর্বমহলে পৌছে দিতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রাণের দাবি ও অধিকারের ন্যায্যতা আদায় আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ ১০ মে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্র মৈত্রী ও যুব মৈত্রী।
জেলা যুব মৈত্রীর সভাপতি কাজী তানভীর মাহমুদ শিপনের সভাপতিত্বে এবং জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি কমরেড ফজিলাতুন্নাহার, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সহ-সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন নাহিদ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিওর ইসলাম বিরোধী বক্তব্যে প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা ও ওলামা সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে ওলামা সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ক্বারী আনাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইলিয়াছ চৌধুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, ওলামা সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি কাজী আবুল কালাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার মুফতি মাকবুল হোসেন, মনিরুজ্জামান শিপু, কাজী খায়রুল ইসলাম, আবদুল আজিজ অনিক। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোমিন মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২১ নভেম্বর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, “মদ হচ্ছে একটা মেডিসিন। এটা মেডিসিন হিসাবে খায়।”
ফেসবুক লাইভে সজিবুল হুদা ভূঁইয়া নামে একজন যুবক ফিরোজুর রহমান ওলিকে প্রশ্ন করেন “আপনি সংসদ সদস্য হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মদের বার খুলবেন কি?”
জবাবে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, “সংসদ সদস্যরাই মদের লাইসেন্স দিচ্ছে। এ দেশে বিখ্যাত মদের কারখানা বানায়ে রাখছে। আগে তো রেলস্টেশনে মদের দোকান ছিল। তুমি যদি আবদার করো তাইলে দেব। তবে তোমরা এই মদ খাইতে পারবা না। সেই শক্তি তোমাদের হইছে না। মদ হচ্ছে একটা মেডিসিন। ভালো কথা বলো। এটা মেডিসিন হিসাবে খায়। তোমার যদি ইয়ে থাকে, ডাক্তার বললে ব্যবস্থা করে দেব। আমরা তো ঘুষ খাইনা। আমরা তো মানুষের মনে আঘাত দেই না। আমরা শুনি, ঘুষের টাকা কোথায় ধরা খাইছে। সরকারকে জিগাইবা কেন দেয়। তোমাদের সরকারই দিতাছে।’
তিনি বলেন, আমার ব্যবসা পবিত্র ব্যবসা। আমি হালাল ব্যবসা করি। হালাল না হলে সরকার ব্যবসা করে কেন। হালাল না হলে সরকারই বেহালাল হয়া যায়। আমি ব্যাংকের ব্যবসা করি। মদের ব্যবসার জন্য যদি ১০টা বেত মারে। তাহলে ব্যাংকের ব্যবসার জন্য একশটা বেত মারবে। ইসলাম কী কইছে না কইছে সরকার বুঝবে। ভালো কথা বলো।’
বক্তারা বলেন, ফিরোজুর রহমান ওলিও মদকে হালাল বলে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত করেছেন এবং যুব সমাজকে মাদকদ্রব্য সেবনে উৎসাহিত করেছেন।
বক্তারা বলেন, ফিরোজুর রহমান ওলিও একজন বিতর্কিত ব্যক্তি ও মদ ব্যবসায়ী। তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকের ব্যবসার প্রসার ঘটবে।
বক্তারা ফিরোজুর রহমান ওলিও বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত করায় ফিরোজুর রহমান ওলিওকে মুরতাদ ঘোষনা ও তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ ব্যাপারে ফিরোজুর রহমান ওলিওর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি হালাল ব্যবসা করি কিন্তু মদকে হালাল বলি নাই। উল্লেখ্য, ফিরোজুর রহমান ওলিওর রাজধানী ঢাকায় হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনাল, গোল্ডেন ড্রাগন ও পিকক নামে তিনটি মদের বার আছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় নিউ স্কয়ার জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই হাসপাতালের অভিযুক্ত চিকিৎসক ওবায়দুল হক গাঢাকা দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাজিরখলা গ্রামের বাসিন্দা নবজাতকের বাবা শাহিদুল আলম জীবন বলেন, আমার স্ত্রী নূরুন্নাহার প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হয়। গত ৫ ডিসেম্বর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নিউ স্কয়ার জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয় সে। জন্মের পর শিশুটি অনেকটা সুস্থ ছিল। পরবর্তীতে শারীরিক লক্ষণ কিছুটা খারাপ দেখা গেলে একই হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ওবায়দুল হককে দেখানো হয়। তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসক ওবায়দুল হক আমাদের বলে যাচ্ছিলেন নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো।
তিনি বলেন, শিশুর অবস্থা খারাপ রেখেই তিনি আমাদের রিলিজ দিয়ে দিচ্ছিলেন। এই অবস্থায় আমার নবজাতক সন্তানকে অন্য একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অবহেলা করেছেন। নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরো আগেই ইনকিউবেটরে রাখা উচিৎ ছিল।’ পরে শিশু হাসপাতালে ইনকিউবেটরে রাখা অবস্থায় আমার প্রথম সন্তানটি মারা গেলো।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকের অবহেলায় আমার সন্তান মারা গেছে। পরে স্কয়ার হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে পাইনি। আমি এই ঘটনায় অভিযোগ দেবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু রোগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আকতার হোসেন বলেন, শিশুটির জন্মের সময় ওজন কম হয়েছে এবং তার ইনফেকশন হয়েছিল। এই অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো উচিৎ ছিল। সেই হাসপাতালে থাকায় নবজাতকের অবস্থা খারাপ হয়। পরবর্তীতে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসার আধা ঘণ্টার ভেতর নবজাতকটি মারা যায়।
এ বিষয়ে জানতে নিউ স্কয়ার জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শিশু চিকিৎসক ওবায়দুল হকের চেম্বারে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বলেন, আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি।