চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান বলেছেন, মানুষ ভোট দেওয়া ভুলে গেছে। ভোট দিতে চায় না কারণ মনের মতো মানুষ পায় না। এটা আমাদের জন্য কলঙ্ক হয়ে গেছে। আমি যদি না থাকতাম তাহলে নির্বাচনের গন্ধই থাকত না।
২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমবেত জনতাকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে পাওয়া একটি ভিডিওতে ফিরোজুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ ধৈর্য ধরেন। প্রশাসন থেকেও বলেছে একটু ধৈর্য্য রাখেন।
তারাও মনে করে যে আপনাদের জয় হবেই। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হবে। নির্বাচন খারাপ হলে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। যারা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে জনগণ নেই।
কেউ গালি দিলে ধন্যবাদ দেবেন। আঘাত করতে এলে নাম ঠিকানা দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি আমার নির্বাচন করতে এলে কেউ আহত হলে সেই দায়িত্ব আমার। আমার জন্য করতে গিয়ে কেউ আহত হলে আমি চলে যাব আমি এমন মানুষ না।’
অভিযোগের সুরে ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেকে মন্তব্য করে।
আমি একাডেমিকেলি দুর্বল। কিন্তু আমি লায়ন্স-এর গভর্ণর। আমি এখানে একে একে আসছি। ইউনিয়ন, উপজেলা ও সংসদ। তিলে তিলে ব্যবসা করতে করতে এখানে এসেছি। আমি পারব না দুর্নীতি করতে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে। আমরা তো আওয়ামী লীগেরই।’
তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হবে আপনাদেরকে সম্মান দেওয়া। মানুষের মূল্য একটাই তার আচার ব্যবহার। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে শান্তিমতো কাজ করতে পারিনি। অনেক বাধা-বিপত্তি আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার বাড়িতে আসাটাও বন্ধ রাখছে কেউ কেউ। আমাদের গ্যাস আমরা সবাই পাই না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলে না কেউ। আমি সংসদের যেতে পারলে এসব বলব।’
সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে ভোট কেন্দ্রে থাকতে হবে। যদি পাহারাদার ঠিক থাকে তাহলে চোর চুরি করতে পারবে না। আপনারা না গেলে চুরি করে নিয়ে যাবে।’
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিল করলে আপিলে তিনি তা ফিরে পান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের চান্দি গ্রামে চান্দি যুব কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে দুইশত পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে যুবকরা।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে চান্দি যুব কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূূঁইয়া। অনুষ্ঠানে তেল, চিনি, ছোলা বুট, ডাল, মুড়ি, শরবত, আলু ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, গরীব-দুখী মানুষ যাতে রমজানে রোজা রেখে ভালোভাবে ইফতার করতে পারেন এজন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধ্য অনুযায়ী ইফতার সামগ্রী দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করেছেন “মাজলুম ওলামায়ে কেরাম” নামে একটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজ ১১ আগস্ট রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম, নবীনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম ফারুকীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উম্মুল কোরআন মাদরাসার মোহতামিম মুফতি উবায়দুল মাদানী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পতন হওয়া স্বৈরাচারি সরকার গত ১৬ বছর এদেশে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছেন।
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলায় জেলার ৬৪জন আলেম দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। এ সময় আইন-শৃংখলাবাহিনীর গুলিতে ১৬জন আলেম ও মাদরাসার ছাত্র শাহাদাৎ বরণ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫৬টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া থানায় একটি মামলা রয়েছে। নেতৃবৃন্দ এসব মামলা সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় ২০২১ সালে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি এবং ২০২১ সালে চাকরিচ্যুত আলেম-ওলামাদেরকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যার সাথে জড়িতরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা নিয়ামুল করিম, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মাওলানা আমানুল হক, মাওলানা খন্দকার ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০ জন প্রতিবন্ধীর হাতে আম ও কাঁঠাল তুলে দেওয়া হয়েছে। ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ড্রিম ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ. কুদদূস। শোকের মাস আগস্ট এর প্রথম দিন উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সঞ্চালনায় ফল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাউছার আহমেদ, হিসাব কর্মকর্তা গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজী, নগর পরিকল্পনাবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন দত্ত, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা, সাংবাদিক আ ফ ম কাউছার এমরান, আজিজুর রহমান পায়েল।
অনুষ্ঠানে মোট ৫০ জন প্রতিবন্ধীর হাতে আম ও কাঁঠাল তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে ক্রীড়া সংগঠক আব্দুল জলিল নামে এক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বিডি অ্যানিমেল হেলথ, স্বপ্নতরী ও মৌসুমী প্রেস নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানে এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজক পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধামন্ত্রী জননেত্রী হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা ও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন জানানোর জন্য, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এবং বিভিন্ন উপজেলার সাবেক কমান্ডাদের যৌথ উদ্যোগে আগামী ৫ অক্টোবর সকাল-১০ টায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিরোধ যুদ্ধ সূচনা কারীদের অন্যতম ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গলের তৎকালীন সিপাহসালার সাবেক সেনা প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. জেনারেল হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক।
সমাবেশে সফল করার লক্ষ্যে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, হাজী রজব আলী, রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, আবদুর রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম ধনু, মোঃ ফসিউর রহমান হাসান, আবু হানিফ, মোঃ সহিদুল্লাহ, মতিউর রহমান, মোঃ ইসমত আলী, এড. আখতার হোসেন সাঈদ, এম ওয়াছেল সিদ্দিকী, মোঃ আবু হোরায়রাহ, মোঃ আনোয়ারুল হক, মোঃ রইছ মিয়া, জাকির হোসেন, ওমালেক ভূঁইয়া, মোঃ আ: সামাদ প্রমুখ বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।