আইনজীবীরা আদালতে ফিরেছেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 15 January 2023, 740 Views,

স্টাফ রিপোর্টার :
আইনমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আদালতে ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আন্দোলনরত আইনজীবীরা। আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার সকাল থেকে আইনজীবীরা তাদের কাজে যোগ দিয়েছেন। এতে করে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের পদচারনায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে আদালতপাড়ায়।

banner

তবে, আইনজীবীদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন অব্যাহত রেখেছেন।

আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের ২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালত ১ মাসের জন্য (অবকাশকালীন ছুটি) বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে তিন আইনজীবী তিনটি মামলা দাখিল করতে যান। কিন্তু বিচারক মোহাম্মদ ফারুক নির্ধারিত সময়ের পরে যাওয়ায় মামলা তিনটি গ্রহণে আপত্তি জানান। এনিয়ে বিচারকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর আইনজীবীরা সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। ১ জানুয়ারি আদালত খোলার পর এজলাসে বসে যথারীতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক। বিষয়টি জানতে পেরে ২ জানুয়ারি আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে গিয়ে তাকে এজলাস থেকে নেমে যেতে বলেন। এ নিয়ে বিচারকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে আদালতের কর্মচারিরা।

এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন শুরু করে আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নিজেদের দাবির কথা পুনরায় তুলে ধরেন আইনজীবীরা।

বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।

এ অবস্থায় গত শনিবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারন সভা করে দুই বিচারককে আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বদলির আল্টিমেটাম দিয়ে রবিবার থেকে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।

আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দুই বিচারককে বদলি না করা হলে তারা আবার সাধারণ সভা করে লাগাতার কর্মসূচি পালন করবেন বলে আল্টিমেটাম দেন।

সভা শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, দুই বিচারককে বদলির দাবি বহাল রয়েছে। আইনমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর তিনি এ বিষয়ে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। মন্ত্রীর আশ্বাসের কারণে আমরা ওই দুই বিচারক বাদে বাকি সব আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে দীর্ঘদিন পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিচার প্রার্থীরা।

বাঞ্ছারামপুর থেকে আসা বিচার প্রার্থী মোশারফ সরকার জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিচার কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। আমরা চাই আর যেন আইনজীবীরা আদালত বর্জন না করেন।

সদর উপজেলার সুলতানপুর থেকে আসা বিচার প্রার্থী আনোয়ার বলেন, আইনজীবীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে খবর পেয়ে আদালতে এসেছি। আর যেন ঝামেলা না হয় এমনটাই প্রত্যাশা করি।

নবীনগর থেকে আসা বিচার প্রার্থী শাহানা বেগম বলেন, কয়েকদিন আদালতে এসে ফিরে গেছি। রবিবার আদালত বসেছে। আমরা চাই আমাদের মামলা গুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হউক।

উল্লেখ্য, জেলা জজ আদালত এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোট ২৩ টি বিচারিক আদালত রয়েছে। দু’টি বাদে ২১টি আদালতের কার্যক্রম রবিবার শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ

banner

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।

অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’

এসএসসির ফরম পূরণে ফি নির্ধারণ করে দিল শিক্ষা বোর্ড

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 12 December 2022, 2143 Views,

স্টাফ রিপোর্টার :
আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ফি সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৪০ টাকা ধরা হয়েছে। ২০২৩ সালের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা ফরম পূরণের ফি বাবদ নেওয়া যাবে। গতকাল রোববার এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এসব কথা জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২০ টাকা। ফরম পূরণ শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর। আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণের ফি জমা দেওয়া যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করা যাবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের ফি জমা দেওয়া যাবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফির মধ্যে ব্যবহারিকসহ কেন্দ্র ফি অন্তর্ভুক্ত বলেও জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ১৪০ টাকার মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৬২৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৫১৫ টাকা। ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ২ হাজার ২০ টাকা ফির মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৫৩৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জের টাকা নিতে পারবে স্কুলগুলো। তবে নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়া যাবে না।

banner

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি দিতে হবে। আর জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা অনুমতি বা তালিকাভুক্তি ফি দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের তথ্য-সংবলিত সম্ভাব্য তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। সম্ভাব্য তালিকা থেকে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার সময় ৫ জানুয়ারি শেষ হবে।

কর্মকর্তা কর্মচারীদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা আজীবন আমার হৃদয়ের মধ্যে গাঁথা থাকবে : জেলা ও দায়রা জজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 1 July 2024, 727 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
পদোন্নতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, দীর্ঘ সময়ের কর্মক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা আজীবন আমার হৃদয়ের মধ্যে গাঁথা থাকবে।

banner

তিনি বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে অতীতের মতো সকলে একটি ইউনিট হয়ে কাজ করতে হবে।

আজ ১ জুলাই সোমবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে কর্মকর্তা কর্মচারী কর্তৃক আয়োজিত মোঃ মাসুদ পারভেজ জেলা ও দায়রা জজ পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ জজ) নিয়োগ হওয়ায় পদোন্নতি জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এঁর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকির যৌথ সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্যে রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সুমনময় চৌধুরী, বেঞ্চ সহকারী শরীফুল আলম, অফিস সহায়ক জিয়াউল আমিন প্রমুখ।

অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে সকল বিচারক এবং কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিদায়ী পদন্নোতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ এরঁ হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

জনস্বার্থ ও জনকল্যাণ বিবেচনায় জেলাপরিষদ থেকে সকল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে : জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 19 January 2023, 784 Views,

জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, জনস্বার্থ ও জনকল্যাণ বিবেচনায় জেলাপরিষদ থেকে সকল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে জেলার সকল উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের সাথে সমন্বয় করে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ থেকে উন্নয়ন বরাদ্দ বন্টন করা হবে।

banner

গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদের ২য় মাসিক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এই কথা বলেন। জেলাপরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এড. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া ও কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ও পৌর মেয়র শিব শংকর দাস, আখাউড়া পৌরসভা মেয়র তাকজিল খলীফা কাজল, বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা মেয়র তফাজ্জল হোসেন, নির্বাচিত সদস্য আব্দুল আজিজ, মোঃ নাছির উদ্দিন, সংরক্ষিত সদস্য রুমানুল ফেরদৌসী ও সনি আক্তার প্রমুখ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ গণপূর্তমন্ত্রীর

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 25 April 2024, 908 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

banner

আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় অগ্রগতির চেয়ে সামান্য বেশি হলেও মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক নয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই অগ্রগতি একটি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালযয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত ৩২টি এবং জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট ৪৮ টি, মোট ৮০টি প্রকল্পের বিপরীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ৬০৮১.৮০ কোটি টাকা। তন্মধ্যে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ ৫১৯২.৬১কোটি এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত প্রকল্পে বরাদ্দ ৮৮৯.১৯ কোটি টাকা। মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত অর্থ অবমুক্ত করা হয়েছে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ৫৮.১৬% এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়িত প্রকল্পে ৫৫.৬১%।

সামগ্রিকভাবে ( জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত) প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি বিবেচনায় সর্বোচ্চ অগ্রগতি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (৭৪.৫৪%) এবং সর্বনিম্ন অগ্রগতি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (১১.৫৯%)। মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অগ্রগতি ৪৩.৩৭% যা গত বছর একই সময় ছিল ৪৪.২৭%। এসময়ে আরএডিপি অনুযায়ী জাতীয় অগ্রগতি ৪২.৩০ %।

আরএডিপিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দ ১১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। তন্মধ্যে ১১ কোটি ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা (৯৯.৮৫%) ব্যয় করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১০০% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থা সমুহের মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রগতি। অন্যদিকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরএডিপি বরাদ্দ ২৪৭ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা যেখানে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ব্যয় ১৪ কোটি টাকা (৫.৬%) এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ৩২% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সংস্থাসমূহের এডিপি বাস্তবায়নের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সরকার, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুসসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।