চলারপথে রিপোর্ট :
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ মনে করে না, তারা বাংলাদেশকে ভারতের উপনিবেশ মনে করে। আর আমাদের লড়াই হচ্ছে তার বিরুদ্ধে, যাতে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে পারি।
আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহসচিবসহ আলেম উলামাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের দুর্ঘটনাকবলিত একটি বাস নিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমসহ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মিথ্যাচার সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ইসলাম আমরা যাতে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা করতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য। হিন্দুত্ববাদীরা মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়েছে, তারা মিথ্যা দিয়ে পৃথিবীকে জয় করতে চায়। আল্লাহর আইন হচ্ছে সত্যের জয় হবে এবং মিথ্যা পরাজিত হবে।
আজ সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে ঐতিহাসিক শহীদ বাবরী মসজিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিবাদী কনফারেন্সে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হেফাজতের আন্দোলনে গণহত্যা, ২০২১ সালের মোদি বিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যা বিচার দাবি ও বাবরী মসজিদ দিবস উপলক্ষে জামিয়া ইসলামীয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম আল্লামা মুফতী মুবারক উল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রতিবাদী কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলিম নির্যাতনসহ মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে। যারা নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলার। তিনি ভারত তথা সমগ্র বিশ্বে মুসলিমদের নির্যাতন নীপিড়নের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি বলেন, এদেশের তৌহিদি জনতা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে ভারতীয় হেজেমনিকে উৎখাত করেছে। তারা আর কোনোদিন ভারতীয় হেজেমনি বা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে এদেশে প্রত্যাবর্তন করতে দিবেনা।
সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় বিষয়ে বিভাজন থাকতে পারে কিন্তু দেশের স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে পারবেনা। যদি ফাটল থাকে তাহলে ফ্যাসিবাদ আবারো প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাও: জুনাইদ আল হাবিব, কবি ও রাষ্ট্র চিন্তক মুসা আল হাফিজ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আতাউল্লাহ আমিন, লেখক ও গবেষক রুহুল আমীন সাদী, আলী হাসান তৈয়ুব, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আশরাফ মাহদী প্রমুখ।
এসময় ড. মাহমুদুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে আমাদের দেশে এখন অপপ্রচার হচ্ছে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন আমাদের দেশে হিন্দুদের চাকরী বেশী। বাংলাদেশের হিন্দুরা নিরাপদে আছে। আমাদের দেশের আলেমগণ তাদের বক্তব্যে হিন্দুদের নিরাপত্তার কথা বলেন। মন্দির পাহারা দেন। আর ভারতীয়রা মুসলমানদের হত্যার কথা বলে, কী পার্থক্য এবার বুঝেন। ভারতে মুসলমানদের প্রতি অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে আমরা বারবার ব্যর্থ হয়েছি। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুব ফোরামের উদ্যোগে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পেশাদার তিনজন অটোরিকসা ছিনতাইকারী ও একজন গাড়ি চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে সদর উপজেলার রামরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার কুরগাও গ্রামের মৃত গোলাম মাহমুদের ছেলে মেহেদী শেখ হীরা-(৩২)। সে একজন আন্তঃজেলা গাড়ি চোর।
অটোরিকসা ছিনতাইকারীরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের তালশহর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে শান্ত প্রকাশ বাপ্পি-(২৪), একই এলাকার বাজাইন্না বাড়ির মান্নান প্রকাশ মন্নর মিয়ার ছেলে মেহেদুল-(২২), একই এলাকার মৃত মাহবুব মিয়ার ছেলে মিঠন প্রকাশ লিটন। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারীও চোর। বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি বিল ইজারা নিয়ে মাটি কাটার অভিযোগে মাসুদ হায়দার (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ মে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশাররফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মাসুদ হায়দার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আহরন্দ গ্রামের মৃত আবু নাসেরের ছেলে। এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ২৬ মার্চ একই অভিযোগে মাসুদ হায়দারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের উজানিসার গ্রামের সরকারি চামাউড়া বিল (জলাশয়) মাছ চাষের জন্যে জোনাকি মৎস্যজীবী সমিতিকে ইজারা দেয় প্রশাসন। শুকনো মৌসুমে এই বিলের জমিতে কৃষি কাজ করা হয়। কিন্তু সমিতির সভাপতি মাসুদ হায়দার শুকনো মৌসুরেম দীর্ঘদিন ধরে বিলের মাটি অবৈধ ভাবে ইটভাটায় সরবরাহ করে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ মার্চ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাসুদ হায়দারকে আটক করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও সে আর মাটি কাটবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে।
এ ঘটনার পর মাসুদ হায়দার আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বিলের কৃষি জমি ও পাশ্ববর্তী সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি অব্যাহত রাখে।
বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার উজানিসার এলাকায় বিলের কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের সময় মাসুদ হায়দারকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত তার ভেকুটি জব্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দায়িত্ব বণ্টন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। আসনটি থেকে টানা চারবার নির্বাচিত হয়েছেন যুদ্ধাহত এ বীর মুক্তিযোদ্ধা। আগের মন্ত্রিসভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কোনো মন্ত্রী ছিলেন না।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামে। তার বাবা মো. আবদুর রউফ চৌধুরী ও মাতা মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন চৌধুরী।
ঢাকা মাদরাসা-ই-আলিয়া থেকে ফাজিল পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা অবস্থায় ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৭০ সালে উবায়দুল মোক্তাদির ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান বাহিনীর গুলিতে তার একটি পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে ১৯৭৩-৭৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন হলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন উবায়দুল। ১৯৭৫ সালের কালরাত্রিতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলের নেতৃত্বদান ও ৪ নভেম্বর ঢাকার রাজপথে প্রথম প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম সংগঠক হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন তিনি।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ছিলেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন।
২০১০ সালের ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু মৃত্যুবরণ করলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, দশম জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ভবনের চারতলা থেকে দেশীয় তৈরি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলিসহ মো. ইউসুফ (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
১৭ মে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শহরের কালাইশ্রীপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ইউসুফ ওই ভবনের মালিক মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোপন সূত্র্যের তথ্যের ভিত্তিতে শহরের কালাইশ্রীপাড়া এলাকায় মৃত শহীদের বহুতল ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ভবনের চতুর্থ তলায় ইউসুফের ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে একটি দেশীয় তৈরি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ইউসুফকে আটক করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইউসুফ জানায়, উদ্ধার অস্ত্র ও গুলি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রসফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী উজ্জ্বলের। সে মারা যাওয়ার আগে এগুলো ইউসুফের কাছে রেখে গিয়েছিল বলে দাবি করে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।