বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগর উপজেলা ৫নং হরষপুর ইউনিয়নের হরষপুর গ্রামের মনোরম পরিবেশে অবস্থিত অবিনাশ শিশু একাডেমী ২০২৩ সালে ভর্তিকৃত নতুন ছাত্রছাত্রীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে প্রধান শিক্ষক সত্যরঞ্জন ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে ও পরিচালক এস এম কামরুল হাসান শান্তর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নতুন শিক্ষার্থীদের গোলাপ ফুল ও বেলুন দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা এর মাধ্যমে বরণ করা হয়। এ সময় আগত অতিথি বৃন্দকে শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সৌরভ সিরাজী জিদান এর কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মোঃ হুমায়ূন কবীর খাঁন, হাসান উল্লাহ খাঁন, মোঃ আবু সামা, শাহ মোহাম্মদ জামাল, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এসময় আগত অতিথিবৃন্দ কিন্ডারগার্ট পর্যায়ের নবীন বরণ অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট করার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের এমন সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কে পাঠদানে মনোযোগী করে তোলার প্রয়াসকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য পরিচালনা পরিশোধকে আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর সীমান্তে দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৩৪০কেজি ইলিশ জব্দ করে মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্প। এ সময় মাছ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কামালমুড়া সীমান্ত থেকে মাছের চালানটি জব্দ হয়।
সরাইল বিজিবি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ বলেন, বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের সীমান্ত দিয়ে ইলিশ মাছ ভারতে পাচার হচ্ছিল। এ সময় মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের দেখে মাছ ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। জব্দ করা হয় ৩৪০ কেজি ইলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন চতুর্থধাপে অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২০জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২জন, বিএনপির ৩জন ও স্বতন্ত্র ৫জন রয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, বিজয়নগরে ৬জন এবং নবীনগর উপজেলায় ৯জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের অনুজ মোঃ হেলাল উদ্দিন, সৌদি আরবের রিয়াদস্থ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিম রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন ও স্বতন্ত্র আবদুল কারিম।
এছাড়াও সদর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বিজয়নগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেত্রী নাছিমা মুকাই আলী (নাছিমা লুৎফুর রহমান), উপজেলা বিএনপির সাবেক যুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ আল জাবেদ।
অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলীর দেবর মোশাহেদ হোসেন ও বক্তিগত সহকারী হারুনুর রশিদ এবং যুবদল নেতা মোঃ আল জাবেদের ব্যক্তিগত সহকারী মুজিবুর রহমান।
এছাড়াও বিজয়নগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নবীনগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামীলীগের ৭ নেতা, বিএনপির ১ নেতা ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এইচ.এম. আল আমিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহ আলম, বিএনপির সমর্থক ফারুক আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবদুল মতিন।
এছাড়াও নবীনগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার শশই এলাকায় জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সহযোগিতায় আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার ২ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল কোর্টে মেসার্স সুবর্ণ শশই ব্রিকস নাম ইট ভাটাকে ১ টি মামলায় ৩,৫০,০০ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। এবং একইসাথে ৪ টি ভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৩ ( সংশোধিত ১০১৯) মেনে ভাটা পরিচালার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
পরিচালিত মোবাইল কোর্টে জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করেন মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, আসনার বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
এরূপ কার্যক্রম পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক অব্যাহত থাকবে বলে বিসল চক্রবর্ত্তী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান।
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগরে নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার দায়ে এক ইটভাটাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও মাটির কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর ২ টায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান খান শাওন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের সোনাই নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান খান শাওন সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি ভেকু জব্দ করেন ও নদীর পাড়ের মাটি কেনার দায়ে পার্শ্ববতী মেসার্স জামান বিকস্ ফিল্ডের কর্মচারী মোঃ সালেক (২৬) কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রঞ্জন কুমার ঘোষ, বুধন্তী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কাজল কুমার বণিক উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার ইয়াকুব আলী চৌধুরী সড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বের পুকুরে মুখ বাধা অবস্থায় একটি বস্তা ভেসে উঠে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান, বস্তার মুখ খুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৫টি টুপি, ১টি ব্যাগ, ২টি হেলমেট, ২টি বেল্ট, ১টি ক্যাপ, ৫টি রেংক ব্যাজ, ৫টি নেইম প্লেট।
যাহাতে মহসিন নামটি লেখা, ১টি প্রসেস যাহাতে ক্যাপ্টেন মহসিন নামটি লেখা, ৩টি কেমোফ্লাগ ক্রিম, ১টি ব্যাজ, ২ জোড়া পিটি সু, ১টি টেপ সাদৃশ সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। এসব জিনিস পাওয়ায় আমার নিকটতম আর্মি ক্যান্টনমেন্টগুলোতে খবর পাঠিয়েছি। তবে আমাদের প্রাথমিক ধারনায় হয়তো কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব ব্যবহার করত।