চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২টায় তিনি আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেন।
এসময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী সঙ্গে ছিলেন। তিনি স্থলবন্দর, শুল্ক ষ্টেশন, ইমিগ্রেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। সীমান্তের শূণ্য রেখায় পর্যন্ত গিয়ে বন্দরের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এসময় বন্দরের ব্যবসায়ীদের সাথেও কথা বলেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা বন্দর চেয়ারম্যানকে অবকগত করেন।
পরিদর্শন শেষে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরেজমিনে আখাউড়া স্থলবন্দর দেখতে এসেছি। এ বন্দরে ১৫ একর জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে কিছু জায়গায় উন্নয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি প্রজেক্ট নিয়েছে। এ প্রজেক্টের আওতায় আখাউড়া স্থলবন্দর এবং তামাবিল স্থলবন্দরে ২১৭ কোটি টাকায় উন্নয়ন কাজ করা হবে। দ্রুত এর এ কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ হলে আখাউড়া স্থল বন্দরে বিরাট পরিবর্তন আসবে। ফলে এখানে ব্যবসার আকার এবং সুযোগ অনেক বেশি হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রজেক্টি শেষ হবে বলে তিনি জানান।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও প্রজেক্ট পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির জানান, এখানে পাকা ইয়ার্ড, গুদাম, কাঁচামালের পার্কিং, ওয়েব্রীজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অফিস এবং আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা খুব সহজে সকল সেবা নিতে পারেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মাহমুদুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্ট সভাপতি হাসিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান খলিফা, ব্যবায়ী নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, সবাই মিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিশেষ সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার বিকেলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, কেউ অনিরাপদ মনে করলে প্রশাসনকে জানাবেন। কেউ যাতে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি করতে না পারে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, দেশটা আমাদের, সবাই দেশটাকে ভালোবাসতে হবে। সবার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কেউ শান্তি বিনষ্ট করলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড: কামরুজ্জামান মামুন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড: আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, জেলা হেফাজতে ইসলামীর সভাপতি মুফতি মোঃ মোবারকুল্লাহ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি দিলীপ কুমার নাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষন দেবনাথ, বিটিজেএ’র সভাপতি আল-আমীন শাহীন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রবীর চৌধুরী রিপন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সু-দীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান আছে। কাউকে এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেয়া হবেনা।
বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ও বিভিন্ন উপজেলার কিছু দুর্বৃত্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে, সামাজের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ছবি বিকৃত করে ছবি আপলোড করে ও ফেসবুকে লেখালেখি করে সামাজিক অস্থিরতা ও ধর্মীয় উম্মাদনা ছড়াচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রশাসনের উদ্যোগে আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিশেষ সভা এবং শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ করার দাবি জানান এবং আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইমামদেরকে বয়ান ও জেলার বিভিন্ন উপাসনালয়ে তাদের উদ্যোগে কেউ যাতে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সভা করার আহবান জানান।
সভায় আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জেলার সূধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি দেশের ৬০টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সব পৌরসভার মেয়রকেও অপসারণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ আগস্ট সোমবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
মৃত্যুর কারণে নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হয়েছে। আটটি জেলা পরিষদে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে (সার্বিক) এবং ৫৩টি জেলা পরিষদে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব কর্মকর্তা নিজ নিজ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে এক আদেশে দেশের সব (৪৯৩টি) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। এদিকে জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি দেশের সব (৩২৩টি) পৌরসভার মেয়রকেও অপসারণ করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে পৃথক আরেকটি আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এর আগে গত শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে গেছেন। জেলা ও উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রায় সব শীর্ষ পদই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দখলে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। পরে বিকল্প ব্যবস্থা করে সরকার। যেমন উপজেলা চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে সরকার।
অনলাইন ডেস্ক :
দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠা বিচারপতিদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এদিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের দপ্তরে একে একে প্রবেশ করছেন অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের বিচারপতিরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চারজন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির চায়ের দাওয়াতে এসেছেন। তারা হলেন- বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান ও বিচারপতি শাহেদ মো. নুরউদ্দিন। তাদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আজ ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। তাদের স্লোগান, অবস্থান কর্মসূচিতে উত্তাল পুরো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাঁওতালসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ গাইবান্ধা জেলা কমিটির উদ্যোগে সাঁওতাল যুব নারী-পুরুষদের সাথে অনুষ্ঠিত হয়। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের ভুতগাড়ী মিশনে দিনব্যাপী এ মতবিনিময় সভায় জনউদ্যোগ যুব ফোরামের ৫০ জন তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করে।
মতবিনিময় সভায় সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার, অ্যাপস ডাউনলোড ও ব্যবহার, অনলাইনে সরকারি সেবাপ্রাপ্তি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষতা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইনকানুন, নীতিমালা সম্পর্কে এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি দফতরের সেবা গ্রহণে যুবদের অভ্যস্থ হয়ে উঠার আলোচনা করা হয়।
এ সময় সমাজকর্মী রেবেকা কিস্কুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সত্য রনজন সাহা, অবলম্বনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মাহাবুব মুকুল, রেবেকা মুর্মু, মিখাইল, মারিয়া মুর্মুসহ সাঁওতাল যুব নারী-পুরুষরা আলোচনায় অংশ নেন।