চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে একসঙ্গে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বসেছে তিন সহোদর বোন। একসঙ্গে তিন বোনের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে। তারা হলো সখীপুর পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের তিন কন্যা সুমাইয়া ইসলাম, সাদিয়া ইসলাম ও রাবিয়া ইসলাম।
আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় তারা উপজেলার সখীপুর পিএম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তারা উপজেলার সখীপুর পিএম পাইলট মডেল সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।
সখীপুর পিএম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাইয়ুম হোসাইন বলেন, ওই তিন বোন মেধাবী শিক্ষার্থী। এর আগে তারা প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে। এবারের পরীক্ষায়ও তারা কৃতিত্বের ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিন বোনের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েদের সন্তোষজনক ফলাফল এবং একই সঙ্গে আমার তিন কন্যার পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত আনন্দের। মেয়েদের তিনি উচ্চ শিক্ষা লাভে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা শেষে সাদিয়া ইসলাম বলেন, তিন বোন একসঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার মজাই আলাদা। আমাদের তিনজনের পরীক্ষা ভালো হয়েছে। ভালো ফলাফলের জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন সাদিয়া ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈশাখী মেলা চলাকালে দুই গ্রামের দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। আর সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানালেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘটিত এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ও লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে এসময় লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক এলাকায় বৈশাখী মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ফান্দাউক গ্রামের একজনের কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। তবে সন্ধ্যার দিকে দুইপক্ষের কয়েকশ’ লোক স্থানীয় একটি মাঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা সাংবাদিকদের বলেন, “তুচ্ছ ঘটনার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
তিনি আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) উদ্যোগে খাদ্যভিত্তিক (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৯ মে রবিবার সকালে জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসের হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা।
এ সময় সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহেনা বেগম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সইন্টিফিক অফিসার জ্যৈার্তিলাল বড়ুয়া, বারটানের প্রশিক্ষক দীপ্রজিত সরকার উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বারটান পুষ্টি নিয়ে কাজ করে। পুষ্টিকর খাবারের সাথে আমাদের ভবিষ্যৎত প্রজন্ম জড়িত। পুষ্টিকর খাবার খেলে সুস্থ সবল প্রজন্ম পাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, গণতান্ত্রিকতার বিকাশের স্বার্থে এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সকলেরই অংশ নেয়া উচিত। সরকার ও ক্ষমতার পরিবর্তনের এই গণতান্ত্রিক চর্চায় কাউকে আমন্ত্রণ করে আনার বিষয় নয়, নির্বাচনে আসা ও অংশগ্রহণ প্রত্যেকের নাগরিক কর্তব্য।
তিনি আরো বলেন, দেশে নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সাংবাদিকরা সমাজের আয়না হিসাবে আপনাদের আয়নায় দেখুন সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে কতোটা উৎসাহী। তিনি আরো বলেন, জনগণ নির্বাচন চায়, তাই নির্বাচন যথাসময়ে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করবার জন্য তিনি সাংবাদিকদের ভূমিকা পালন করবার জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি এসময় আরো বলেন, দেশে প্রচুর রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি-জামাতের নাশকতার আন্দোলনে জনগণের কোনো প্রকার সাড়া নেই। তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনমুখী কাজের শুরু থেকেই সাংবাদিকরা আমাকে সহায়তা করছেন, আগামী নির্বাচনেও আমাকে তারা সহায়তা করবেন। নির্বাচনে কেউ জবরদস্তি করলে সাংবাদিকদের সোচ্চার হতে হবে। তিনি ৪র্থ বারের মতো মনোনয়ন পাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণ ও সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আমি সাংবাদিকদের ভালোবাসা, দোয়া ও সহায়তা চাই।
আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বাবুল, অ্যাড. মাহাবুল আলম খোকন, শেখ মো. মহসিন, শেখ মো. আনার, সৈয়দ মিজানুর রেজা, এহতেশামুল বারী চৌধুরী তানজিল, মাহমুদুর রহমান জগলু, শাহআলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে আগামী ২৫ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ধরে হিসেব করে যাত্রা বিবেচনায় টিকিট বিক্রি শুরুর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ মার্চ শুরু হওয়া অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
অগ্রিম ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৪ এপ্রিল।
১০ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রিম ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে। সাধারণত যাত্রার ১০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট শুরু করে রেল। তবে এবার ঈদের ক্ষেত্রে ৭দিন আগে পাওয়া যাবে অগ্রিম টিকিট।
ঈদযাত্রা কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণে ১৩ মার্চ বুধবার দুপুর আড়াইটায় রেলভবনে আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বৈঠক শেষে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম সংবাদ সম্মেলনে রেলের ঈদের প্রস্তুতি সংক্রান্ত পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সূত্র মঙ্গলবার জানিয়েছে, এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা সময়ে বিক্রি করা হবে। সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চলতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বুধবারের বৈঠকে বিশেষ ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারিত হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, পূর্বাঞ্চলের টিকিট সকালে ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিকেলে বিক্রি হবে। কমলাপুর থেকে চাপ কমাতে দেশের উত্তরাঞ্চলের ট্রেন রাজধানীর বনানীর ক্যান্টরম্যান্ট স্টেশন থেকে ছাড়া হবে। জয়দেবপুর স্টেশন থেকেও কিছু ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। বিশেষ ট্রেনের পাশাপাশি নিয়মিত পথের ট্রেনগুলোতে কোচের (বগি) সংখ্যা বাড়ানো হবে।