ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তিতাস সংগঠন ইন গ্রীসের নবনির্বাচিত কার্যকরি পরিষদ ২০২৩ গঠিত হয়েছে। এতে কসবা উপজেলার কৃতি সন্তান মোঃ সামছুল আলমকে সভাপতি এবং বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ সিরাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সিনিয়র সহ-সভাপতি সায়েম হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ হামদু ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ আদেল মিয়া (আলী হোসেন), সহ-সভাপতি মোঃ ডিপটী হাজারী, সহ-সভাপতি মোঃ আলমগীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ ভূঞা, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান টিটু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান খোকন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিপন ভূঁইয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুম, সহ সাধারণ সম্পাদক সামির হাজারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজমুল হাসান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুন মিয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মারুফ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন, সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক নিরব আহমেদ রুমন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুল্লাহ, সহ-কোষাধ্যক্ষ মোঃ মুছা মিয়া, প্রচার সম্পাদক মোঃ স্বপন, প্রচার সম্পাদক মোঃ আঃ জব্বার, দপ্তর সম্পাদক মোঃ শাহীন, সহ-দপ্তর সম্পাদক জামাল সরকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুর আলম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নুর আলম বিজয়, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ সবুজ মিয়া, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ আশরাফ আলী, ক্রীড়া সম্পাদক তানবীর আহমেদ সাগর, সহ ক্রীড়া সম্পাদক সাগর, আইন বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উল্লা মুন্সী, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ একরাম, মহিলা সম্পাদীকা মোসাঃ রিনা আক্তার, শিক্ষা ও তথ্য সম্পাদক মোঃ নবী, ধর্ম সম্পাদক মোঃ খোকন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৫৮ জন নিহত হয়েছেন ও ৮৪ জন আহত হয়েছেন। ২২ ডিসেম্বর ভোর থেকে সোমবার পর্যন্ত এসব হামলা ঘটে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ নিয়ে ১৪ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৩১৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আরো ১ লাখ ৭ হাজার ৭১৩ জন আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে অনেকে চাপা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। তাছাড়া, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, যা উপত্যকাটির মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ।
গত মাসে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে এরই মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছে দখলদার দেশ ইসরায়েল। নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিতব্য এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আয়োজক নোবেল ফাউন্ডেশন। ওই তিন দেশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষোভ সঞ্চার হলে এই সিদ্ধান্ত নেয় ফাউন্ডেশন।
এর আগে ২০২২ সালে নোবেল ফাউন্ডেশন নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ও ভোজ সভায় রাশিয়া ও বেলারুশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানায় ফাউন্ডেশন।
যদিও গত বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশন জানিয়েছিল, তারা তাদের পুরোনো রীতি অর্থাৎ সুইডেনে প্রতিনিধিত্বকারী সব দেশকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তে ফিরে যাবে। তবে এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।
আজ শনিবার ফাউন্ডেশন জানায়, নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ রক্ষায় নোবেল পুরস্কার যে বার্তা বহন করে তা তুলে ধরতে।
এক বিবৃতিতে ফাউন্ডেশন জানায়, ‘আমরা গত বছরের ব্যতিক্রমকে সাধারণ চর্চা হিসেবে আবারও গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আর এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানকে স্টকহোমে অনুষ্ঠিতব্য নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ডাকাতের গুলিতে মো. সোহাগ নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় ১ এপ্রিল শনিবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ৬ নং নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম ট্যান ডলার বাড়ির মো. কোবাদ মিয়ার ছেলে। সোহাগের মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
ছয় ভাই-বোনের মধ্যে ছোট ছেলেকে হারিয়ে সবাই পাগল প্রায়। কোনোভাবে সোহাগের এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। মৃত্যুর খবরে সোহাগের স্ত্রী এক বাচ্চা নিয়ে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয় প্রবাসীরা জানান, রাত আটটার দিকে জোহানেসবার্গে সোহাগের কনফেকশনারী দোকানে ডাকাত দল অতর্কিত গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। বর্তমানে সোহাগের মরদেহটি আফ্রিকার হিলব্র ক্লিনিকে রাখা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে হোটেল বায়েরিসচার হোফের সম্মেলনস্থলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠকের আগে জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে সকালে সম্মেলনস্থলে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেন।
সফর শেষে শেখ হাসিনা আগামীকাল রাতে মিউনিখ ত্যাগ করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা পৌঁছার কথা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বে কেউ উঁচু দালান দেখলে ভয় পায় আবার কেউ অন্ধকারে ভয় পায়। কলা দেখে ভয় পাওয়ার কথা কেউ কি কখনো শুনেছেন? এবার বিরল এই ‘ব্যানানাফোবিয়া’ বা ‘কলাভীতি’ সমস্যার কথা শুনা যাচ্ছে। ওই ভীতিতে ভুগছেন সুইডেনের লিঙ্গ সমতাবিষয়ক মন্ত্রী পাওলিনা ব্রান্ডবার্গের।
তিনি বিরল কলা-ভীতির সমস্যায় আক্রান্ত। একে বলা হয় ‘ব্যানানাফোবিয়া’। সেই কারণে তার সরকারি সফরের সময় আশপাশ থেকে সব কলা সরাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মন্ত্রীর সফরের সময় তার কক্ষ থেকে আগে থেকেই সমস্ত কলা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন সুইডিশ সরকারি কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এমনই খবর জানায় বিবিসি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসেনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্র্যান্ডবার্গের সহকারী কর্মকর্তারা ই-মেইলে অনুরোধ করেছেন, মন্ত্রীর উপস্থিতির আগে যেন কোথাও কলা না থাকে। ২০২০ সালে ব্র্যান্ডবার্গ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ নিজেই তার বিশ্বের অদ্ভুততম কলা-ভীতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। যদিও সেই পোস্টটি পরে মুছে ফেলা হয়।
কলা-ভীতি শুধু ব্র্যান্ডবার্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সুইডিশ রাজনীতিবিদ টেরেসা কারভালোও একই ধরনের ভীতিতে ভোগেন। কারভালো মজার ছলে উল্লেখ করেন যে, যদিও কর্মক্ষেত্রে নানা বিষয়ে তার এবং ব্র্যান্ডবার্গের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, কিন্তু কলা নিয়ে ভীতি তাদের মধ্যে একটি ‘সাধারণ শত্রু’ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যানানাফোবিয়া খুবই বিরল একটি মানসিক সমস্যা। এর কারণে কলা দেখা বা গন্ধ পাওয়ার সাথে সাথেই উদ্বেগ, মানসিক অস্বস্তি বা বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ব্র্যান্ডবার্গের অফিস থেকে পাঠানো ইমেইলে এটি শক্তিশালী অ্যালার্জি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মন্ত্রী নিজেও একে ফোবিয়া হিসেবে স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, তিনি এই সমস্যার সমাধানে পেশাগত সাহায্য নিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেক বিরল ফোবিয়ার মতো ব্যানানাফোবিয়ার কারণও অস্পষ্ট। তবে শৈশবে ঘটে যাওয়া কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকে এই ভীতি জন্ম নিতে পারে। ব্র্যান্ডবার্গের এই বিশেষ কলা-ভীতির খবর মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। মানসিক ফোবিয়া যে ধরনেরই হোক, তা ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সুইডেনের সরকারি কর্মকর্তারা এই ধরনের বিরল ফোবিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।