সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইলে চেকের মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. ফতেহ আলী নামের এক ইউপি সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন। প্রয়াত আহমদ আলীর ছেলে ফতেহ আলী উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
আজ ২২ জানুয়ারি রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার বছিউড়া গ্রামের কুদরত আলীর বাড়ি (ঠাকুর বাড়ি) থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন সরাইল থানার এস আই শাহীন পারভেজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন আগে ফতেহ আলী সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকার একটি ইটভাটার মালিক থেকে শ্রমিক দেওয়ার কথা বলে বড় অংকের টাকা এনেছিলেন। এক সময় মালিক ফতেহ আলীর কাছে অনেক টাকা পাওনা হন। ফতেহ আলী ইটভাটার মালিকের ওই টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। টাকা উদ্ধার করতে দীর্ঘদিন চেষ্টা করেছেন ভাটার মালিক। এক পর্যায়ে ইটভাটার মালিক নিরূপায় হয়ে ফতেহ আলীর বিরূদ্ধে সিলেটের ফেঞ্চুগজ্ঞ থানার চেকের মামলা করেন। মামলা নম্বর-৬১৬/২১। সিআর মামলা নম্বর-৩৫/২০। ওই মামলায় ফতেহ আলীর এক বছরের সাজা ও ২৭ লাখ টাকা জরিমানা করেন বিজ্ঞ আদালত হয়। সাজা নিয়েই কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে চলাফেরা করতেন ফতেহ আলী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, জনপ্রতিনিধি একটা সাইনবোর্ড। নানা অপরাধের সাথে জড়িত ফতেহ আলী। নারী মদ থেকে শুরূ করে মাদকের অভিযোগও আছে তার বিরূদ্ধে। গত ১০ জানুয়ারি ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। প্রসেস নম্বর-৮৫/২২, তারিখ- ১৫/০১/২৩ খ্রি. মূলে পরোয়ানাটি আসে সরাইল থানায়। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সাড়ে ৩ টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুদরত আলীর পাশের বাড়ি থেকে ফতেহ আলীকে গ্রেফতার করেছেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফতেহ আলীকে বিজ্ঞ আদালত এক বছরের সাজা দিয়েছেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনওর কার্যালয়ে আজ ৫ অক্টোবর বিকেলে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের সভাপতিত্বে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সরাইল বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক রহমান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোছা. বিউটি আক্তার, শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চৌধুরী বাদল, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর হোসেন, সরাইল উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়,সাধারণ সম্পাদক ঠাকুর ধন বিশ্বাস, সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিম উদ্দিন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সরাইল কালিবাড়ি পূজা মন্ডপের সভাপতি দিলীপ বণিক প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরা হয়। এবার সরাইল উপজেলায় ৪৭টি পূজা মণ্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মতবিনিময় সভা করেছেন। মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র দিয়ে শুরু করেছিলাম; আবার স্বতন্ত্র দিয়েই আমি শেষ করতে চাই’।
আজ ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সরাইল উপজেলার পাকশিমুল হাজী মুকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
হাজী সিরাজ খানের সভাপতিত্বে ও অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদির সঞ্চালনায় এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ৫ বারের সাংসদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, সাবেক পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার, সৌদি আরব বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রিফাত বিন জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কুতুবুল আলম, আইয়ুব খান, আকবর আলী, আবুল কালাম, আলী আজগর ভূঁইয়া, সামছু মিয়া মেম্বার, জালাল উদ্দিন, মোকলেছুর রহমান, মো. সুজন মিয়া প্রমুখ।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, আমি বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে পদত্যাগ করি। পরে বুঝতে পারি আমি আমার এলাকার জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারি নাই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চাইছি।
তিনি আরো বলেন, স্বতন্ত্র থেকে আমি শুরু করেছিলাম, আবার স্বতন্ত্র দিয়েই আমি শেষ করতে চাই। এজন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা আবার আমাকে কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। আমি যেন আপনাদের বাকি কাজগুলো শেষ করতে পারি। এ সময় উপস্থিত সবাই এই প্রবীণ নেতাকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ইঁদুর মারার ট্যাবলেট খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাকিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হচ্ছে- উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাকিয়া এলাকার ইলিয়াস মিয়ার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৪) ও একই এলাকার কাশেম মিয়ার মেয়ে জান্নাত (৪)। তারা সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো বোন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, দুপুরে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাকিয়া এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে দুই শিশু খেলা করছিল। খেলার কোনো এক ফাঁকে ঘরের পাশে ইঁদুরের গর্তে ইঁদুর মারার জন্য রাখা সাদা ট্যাবলেট চকলেট মনে করে খেয়ে ফেলে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। পরে স্বজনেরা তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক শিশুর মৃত্যু হয়। অপর শিশুকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত হয়।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে (শিউলি আজাদ) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৬ অক্টোবর রোববার রাতে ঢাকার নিকেতনের বাসা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁকে গ্রেফতার করে। রাতেই তাঁকে সরাইল থানা পুলিশের জিম্মায় দেয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক। আজ ৭ অক্টোবর সোমবার সকালে তিনি বলেন, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আমাদের জিম্মায় রয়েছেন। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
তিনি বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় করা একটি হত্যা মামলায় উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি। সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় সরাইল বিশ্বরোড মোড় এলাকায় আসামিদের গুলিতে নিহত হন উপজেলার কাটানিশার গ্রামের মুজান মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৭)। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। ওই ঘটনায় মামলা করেন সুলতান উদ্দিন।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রয়াত এ কে এম ইকবাল আজাদের সহধর্মিনী।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে মোঃ সাঈম (২০) নামে এক মাদকসেবী ও স্বপন আলী (৩৫) নামে এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদরের সরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের সাফকো সিএনজি পাম্পের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ সাঈম সরাইল উপজেলার চানমনিপাড়ার কবির হোসেনের ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত স্বপন আলী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার বাঁশকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে মাদক সেবনকালে মোঃ সাঈমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সারোয়ার উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
অপর দিকে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সাফকো সিএনজি পাম্পের সামনে থেকে স্বপন আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
সে সেখানে ঢাকা যাওয়ার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলো। পরে স্বপনকে তল্লাশী করে তার পেটের মধ্যে স্কচটেপ দিয়ে কৌশলে রাখা ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।