সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই এমপি। আজ ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সরাইলে উপজেলায় অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে আয়োজিত কর্মী সভায় অংশ গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ)।
সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানূর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপনির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করার পর প্রত্যাহার করা আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নেতা শাহজাহান আলম সাজু উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়াকে সমর্থন করি একজন সাহসী মানুষ হিসেবে। যিনি তারেক রহমানের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় এই বয়সেও শিরদাঁড়া শক্ত করে মাথা উঁচু করে আছেন। আশা করি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেবে এবং গণতন্ত্রের বিজয় ঘোষণা করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তিনি এই আসনে পাঁচ বার এমপি ছিলেন।
আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলার বিজয়নগরের ইসলামপুর শশই এলাকার সামছু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খাটিখাতা হাইওয়ে থানার ওসি আশীষ কুমার সার্নাল জানান, বিকেলে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় একটি কাভার্ডভ্যান পথচারী জাহাঙ্গীর মিয়াকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসৎক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার সোনালী ব্রিকস এবং ভি, আই, পি ব্রিকসকে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবিনের নেতৃত্বে সরাইল উপজেলায় অবৈধ দুই ইটভাটায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে দেখা যায়, সোনালী ব্রিকস এবং ভি আই পি ব্রিকসকে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২ লক্ষ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় ও ফাইয়ার বিগ্রেড এর মাধ্যমে ব্রিকস এর আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়। অভিযানে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবিন।
এ সময় সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কায়ছার আলম, পুলিশ সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষির উন্নয়েনে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্টের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকায় ফসল উৎপাদনে আগাম ও আকস্মিক বন্যা, সেচের পানির অপ্রতুলতা ইত্যাদি নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি’র অর্থায়নে ফ্রিপ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিভিন্ন ধরনের সেচ অবকাঠামো নির্মান ও যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে অনবাদী জমি আবাদের আওতায় আনাতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
সরাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষক হিসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত) এবিএম রকিবুল হাসান।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত ৫ নভেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফল গেজেট স্থগিত করে নির্বাচনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের গঠন করা দুটি তদন্ত কমিটির উপর অনাস্থা দিয়েছেন নির্বাচনে কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড: জিয়াউল হক মৃধা।
গতকাল বুধবার তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত কমিটির উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। অ্যাড: জিয়াউল হক মৃধা নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের বিচার বিভাগীয় কিংবা নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের বাদ দিয়ে তদন্ত করার দাবি জানান।
এদিকে কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের বিষয়ে অনিয়ম নিয়ে উঠা অভিযোগের তদন্ত দ্বিতীয় দিনের মতো আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবারও অব্যাহত ছিলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। গত দুইদিনে তদন্ত কমিটি কমপক্ষে সংশ্লিষ্ট দুইশত জনের সাথে কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসনের তদন্তকারি কর্মকর্তা হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন আর জেলা পুলিশের কর্মকর্তা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোঃ জয়নাল আবেদীন। গতকাল বুধবার তদন্ত কমিটি আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদে সংশ্লিষ্টদেরকে ডেকে কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি অভিযোগ উঠা কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। তদন্ত কমিটির লোকজন ওইসব জায়গায় যাওয়ার আগেই ওইসব কেন্দ্রের সামনে আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত হন। এ সময় কাউকেই অনিয়মের কথা বলতে শুনা যায়নি।
এদিকে, আশুগঞ্জের একটি ভোট কেন্দ্রের অনিয়ম নিয়ে দুই মিনিট ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় একাধিক সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার (নারী) ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর করে তুলে দিচ্ছেন তাদের সামনে জটলা বেঁধে থাকা যুবকদের হাতে। যুবকরাও ওই কর্মকর্তার সামনেই সিল মারছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন তদন্ত কার্যক্রম বিষয়ে বুধবার বিকেলে একজন সাংবাদিকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, পত্রিকায় প্রকাশিত ভেতরের ক্লোজ ছবিতে কারা রয়েছেন তা স্পষ্ট না হওয়ায় এবং অন্য তিনটি কেন্দ্রের অনিয়মের কোনো ছবি না থাকায় পত্রিকার বক্তব্য পড়ে নির্বাচনের অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সম্পর্কে ধারণা করা যাচ্ছেনা। চিঠিতে তিনি আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর হাফেজিয়া নূরানীয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রের সম্পূর্ণ চিত্র ও অন্য তিনটি কেন্দ্রের কোনো ডকুমেন্টরি ভিডিওচিত্র অথবা স্থিরচিত্র থাকলে তা সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান। চিঠির প্রেক্ষিতে ওই গণমাধ্যমকর্মী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একাধিক ভিডিও ও স্থিরচিত্র সরবরাহ করেন।
গত ৫ নভেম্বর উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান আলম ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাবেক এম.পি জিয়াউল হক মৃধা কলারছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট। তবে আশুগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এরই প্রেক্ষিতে নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
তবে, কমিশনের তদন্তে নিজের আস্থা নেই বলে জানিয়েছেন জিয়াউল হক মৃধা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর দেওয়া অভিযোগ ও সাংবাদিকদের কাছে তিনি উল্লেখ করেন, বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট ছাপা হয়েছে। আশুগঞ্জের শরীফপুর কেন্দ্রের ভোট ছাপার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাৎক্ষণিক ভাবে নানা অনিয়ম বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাই যারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদেরকে দিয়ে তদন্ত করলে কোনো লাভ হবেনা। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা হলে প্রয়োজনে তিনি উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হবেন বলে সংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তদন্তকারি কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন মুখ খুলতে রাজি নন। তবে তিনি জানান, তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ি তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জেলা আমীর মাওলানা মোবারক হোসেন আখন্দকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ মে শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের মডেল মসজিদের হল রুমে ‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সরাইল উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সভায় এ ঘোষণা দিয়েছেন দলটির জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সৎ শিক্ষিত যোগ্য দুর্নীতিমুক্ত আদর্শবান খেতাবে ভূষিত করে এই প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনার জন্য এখনই মাঠে নেমে পড়ার আহবান জানিয়েছেন নেতারা। বলে দিয়েছেন ভোট চাওয়ার নানা কৌশল।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সরাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় মডেল মসজিদের সভা কক্ষে সরাইল উপজেলা আমীর মো. এনাম খাঁর সভাপতিত্বে দলটির এক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্ড ইউনিয়ন ও উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক নেতা কর্মীর অংশ গ্রহণে জেলার সেক্রেটারী মাওলানা আমীনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার দাওয়া সম্পাদক লেখক গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার।
বক্তব্য রাখেন- জেলা শাখার আমীর মাওলানা মোবারক হোসেন আখন্দ, প্রফেসর মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. ফজলুর রহমান, তিন উপজেলার সঞ্চালক এডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান, সরাইল উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. এনাম খাঁ ও সেক্রেটারী মো. জাবেদুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের সর্বত্র শান্তি স্বস্তি ফিরে এসেছে। এখন সকলের প্রত্যাশা অনিয়ম দুর্নীতি চাঁদাবাজি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ ও দেশ। এ জন্য প্রয়োজন কোরআনের আইন ও শাসন। সেটা নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কোন বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন-‘হতাশ হইয়ো না, দুশ্চিন্তা গ্রস্ত হইয়ো না, যদি তোমরা মুমিন হও।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সদস্যরা মুমিন। তাই সাহস রেখে আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে। সফলতা আল্লাহ দিবেন। চরিত্র ও শিক্ষা সবার উপরে। কারো চাকচিক্য আর টাকা দেখে হতাশ হওয়া যাবে না। মোবারক হোসেন একজন আদর্শবান শিক্ষিত যোগ্য সৎ চরিত্রবান লোক। জামায়াতে ইসলাম ইসলামী ব্যাংক ও ইবনেসিনা হাসপাতাল করেছেন। ২০০১-২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে জামায়াতের দুইজন নেতা বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ছিলেন। মন্ত্রীও ছিলেন। কোন সংস্থা তো তাদের দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারেননি। এতে সহজেই প্রমাণিত হয় জামায়াতে ইসলামের প্রার্থীরা সৎ। তিনি নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার ছাত্র শিবিরের সাবেক সফল সভাপতি ছিলেন। তিনি এমপি হতে পারলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনকে দুই চোখে দেখবেন না। এক চোখ থাকবে সরাইল আরেক চোখ আশুগঞ্জে। এসব যুক্তি প্রমাণ দিয়ে মোবারক হোসেনের জন্য ভোট চেয়ে জয়ী করতে হবে। দেশের মানুষ বাবা মেয়ে স্বামী স্ত্রীর শাসন দেখেছেন। এখন ইসলামী শাসন দেখতে চাই। দেশের সকল ইসলামী দল এক প্ল্যাটফর্মে চলে আসছে। আমরা আর কাউকে কলা ক্ষেতে দিব না।
বক্তারা বলেন, ৫ আগষ্টের পর দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের মন্দির মন্ডপ পাহাড়া দিয়েছেন জামায়াতের লোকজন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে আমাদের সকল প্রকার কৌশল প্রয়োগ করে জনগণের ভোট / সমর্থন আনতে হবে। সততা ও ঈমানী শক্তির বলে ৫ আগষ্ট আমরা জয়ী হয়েছি। আগামী সংসদ নির্বাচনেও ঈমানী শক্তির বলে আমরা জয়লাভ করে সরকার গঠন করব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের নির্বাচন পরিচালনার কৌশল ব্যাখ্যা করে প্রধান অতিথি বলেন, দুই উপজেলায় পৃথক দু’টি পরিচালনা কমিটি হবে। তারা নিজ উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে কমিটি করবেন। ইউনিয়ন কমিটি, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। নারী পুরুষ সকল ভোটারের কাছে মোবারক হোসেনের ছালাম পৌঁছাতে হবে। সমর্থন/ভোট চাইতে হবে। এভাবে সকল প্রকার কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। সবশেষে তারা আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরাইলে ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সিলেকশন করেন।