চলারপথে ডেস্ক :
প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের চেয়ে পুলিশের দায়িত্ব বেশি। আইন অনুযায়ী আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই কেবল মামলা হবে। শুধু মামলা হলেই যেন গ্রেফতার করা না হয় সে বিষয়টিও বলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভালো ও খারাপ দিক খতিয়ে দেখতে একটা কমিটি কাজ করছে, যদি প্রয়োজন হয় এই আইন সংশোধন করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, রাজনৈতিক মামলা বলে কিছুই নেই। অপরাধ করলে মামলা হয়। সেই মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন আছে, সেগুলোর বিচার হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৭০ শতাংশ প্রচলিত ব্যবস্থার মতো নিয়োগ দেওয়া হবে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে- আগামী নির্বাচনের পর এটা কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট যেটা করা হবে সেটা কন্ট্রোল করার জন্য নয়, প্রটেক্ট করার জন্য। এটা সংসদে নেওয়া হবে। যেভাবে আইন পাস হয়, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় হবে এবং স্টেকহোল্ডারদের বক্তব্য শোনা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, পিপি ও জিপিদের (সরকারি কৌঁসুলি) আগে বেতন ছিল ২ হাজার ও ৩ হাজার টাকা, সেটাকে আমরা বাড়িয়েছি। আমি মনে করি, তাদের একটি সম্মানজনক অবস্থানে আনার জন্য এই বেতন কাঠামো বদলানো অত্যন্ত প্রয়োজন। আমার প্রস্তাব, ৬৪ জেলাকে ৩টি ভাগে বড়, মাঝারি ও ছোট জেলায় ভাগ করে বেতন কাঠামো প্রস্তুত করা হবে। বড় জেলার পিপির বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি জেলার ৪৫ হাজার ও ছোট জেলার পিপির বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, কতগুলো সহকারী প্রসিকিউটর এবং অতিরিক্ত প্রসিকিউটর ও অতিরিক্ত জিপি থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে কী কী কোর্ট আছে সেটার ওপর নির্ভর করে। সে জন্য ২৬৭ কোটি টাকা আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছি, তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে। আমার মনে হয়, আগামী নির্বাচনের পরে যেই সরকারে আসুন না কেন, তারা এটা অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
হাওর এলাকায় বিনাচাষে মাসকলাই উৎপাদন বিষয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা হাওরে মাঠ দিবসের আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) এর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. দেবাশীষ সরকার। গাজীপুর বারির চীফ সাইন্টিফিক অফিসার (সিএসও) ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত উপ পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ, গাজীপুর বারির উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অপূর্ব কুমার চাকী ও ড. তাসলিমা জাহান।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন কিশোরগঞ্জ বারি সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন। মাঠ দিবসে স্থানীয় ৮০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
কিশোরগঞ্জ বারি সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল ইফাদের অর্থায়নে সার্ক কৃষি কেন্দ্রের সমন্বয়ে কনসর্টিয়াম ফর স্কেলিং আপ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার ইন সাউথ এশিয়া (C-SUCSeS) প্রকল্পের মাধ্যমে এ বছরই প্রথম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা হাওরে দশ একর জমিতে এ জাত আবাদ করা হয়। স্থানীয় কৃষক মো. কুতুব উদ্দিন ও আবুল হাসেম মুন্সির নেতৃত্বে ২৫ জন কৃষকের মাঠে গত বছরের ৩০ অক্টোবর এ জাতটি আবাদ করা হয়।
বারির মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. দেবাশীষ সরকার জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৯৬ সালে বারি মাস-৩ নামে মাসকলাইয়ের একটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করে। স্থানীয় জাতের চেয়ে এই বীজের আকার বড় হয়। জীবনকাল ৮০-৮৫ দিন। এতে আমিষের পরিমান ২১-২৪ শতাংশ। ফলন হেক্টর প্রতি ১৫০০-১৬০০ কেজি। এ জাত হলদে মোজাইক রোগ প্রতিরোধী । এ জাতের শুটিতে ঘন শুং আছে। হাওর এলাকার যে সমস্ত জমি থেকে অক্টোবরের শেষে পানি নেমে যায়, সে সকল জমিতে এটি চাষ করলে সহজেই বোরো ধান আবাদ করা যায়। ছিটিয়ে বপন করলে হেক্টর প্রতি ৩৫-৪০ কেজি বীজ লাগে। বিঘা প্রতি ইউরিয়া সার লাগে ৫-৬ কেজি, টিএসপি ১০-১৩ কেজি, এমওপি ৫-৬ কেজি, জিপসাম ৭-৮ কেজি, বোরন ১-১.৫ কেজি। সকল সার জমিতে বীজ বপনের আগে প্রয়োগ করতে হয়।
বালিখলা হাওরে বিনাচাষে নতুন এ জাতের মাসকলাইরে জমি পরিদর্শন করে মহাপরিচালক বলেন, এ জাতটি কৃষকদের মাঝে বিপুল উৎসাহের সৃষ্টি করেছে। এর ফলনও আশানুরূপ হয়েছে।
কৃষক কুতুব উদ্দিন জানান, নতুন মাসকলাইয়ের জাতটি সম্পূর্ণ বিনাচাষে আবাদ করা হয়েছে। এর আগে কৃষি গবেষণা বিভাগ কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ এবং বিনামূল্যে বীজ দিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ফসলের কর্তন শুরু হবে। ফলন ভালো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এটি দেখে স্থানীয় আরও অনেক কৃষক এই মাসকলাই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই।’
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো। বিএনপির দাবি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে না। অন্যদিকে সংবিধানের বাইরে ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুই দলের এমন অবস্থানের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়ে ওঠেনি মন্তব্য করেন হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেকোনো কারণেই হোক নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা অনাস্থা তৈরি হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই হবে না নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। নির্বাচনকে দৃশ্যমানভাবে স্বচ্ছ করতে হবে। নির্বাচনকে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র নির্বাচনে সহযোগিতা করতে বাধ্য। কোনো নির্বাচনই পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ হয়নি। আমাদের এখনও নিরবচ্ছিভাবে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আসেনি। তবে অস্বাভাবিক সহিংসতা কাম্য নয়।
নির্বাচনকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতি ও নির্বাচনী সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়নি। এখনও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। আপনাদের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আশা করি।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এমন ২৩৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিল করাসহ লিংক বন্ধ করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ ৩১মে বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, অনলাইন সংবাদপত্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের পরিকল্পনা আছে। কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।
সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা মোট ১ হাজার ১৫৮। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৫২২টি, সাপ্তাহিক পত্রিকা ৩৪৭টি ও মাসিক পত্রিকা ২৮৯টি।
তিনি বলেন, সরকারি বিজ্ঞাপন বর্তমানে চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। তাই বিজ্ঞাপন বাবদ সরকারি ব্যয় বা রাজস্ব আয়ের সঠিক তথ্য এ অধিদপ্তরে সংরক্ষিত নেই।
তিনি আরো বলেন, তবে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবসের ক্রোড়পত্র প্রকাশের বিল থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১০ শতাংশ সরকারি কর, ৪ শতাংশ আয়কর ও ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায় বাবদ ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকা জেলা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা থেকে মোট ২ কোটি ৫৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা নাক গলাতে এলে মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ডিসেম্বর ৩০ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিজের দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচালের যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরও একদিন উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। তারাও শাস্তি পাবে একদিন। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কেউ যদি নাক গলাতে আসে, আমরা সেটা মেনে নেব না। বাংলাদেশ মানে নাই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের অধিকার নির্বাচনের অধিকার; ভোটের অধিকার। আওয়ামী লীগ, আমরাই স্লোগান দিয়েছি—আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। আমরাই স্লোগান দিয়েছি—ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। আজকে আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আর এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে যাব।
যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশকে নিয়ে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, যে যেখানে আছেন, আগুন যারা দেয় বা যারা ক্ষতিগ্রস্ত করে, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে, ওদেরকে ধরিয়ে দিন। ওদের উপযুক্ত শাস্তি দিন।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। মানুষ হত্যা শুরু করেছে। রেললাইনে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারে। রাস্তা-ঘাটে যেখানে-সেখানে আগুন দেয়। বাসে আগুন দিয়ে পোড়ায়। এই দুর্বৃত্তপরায়ণতা আমাদের বন্ধ করতে হবে।
এবার যারা প্রথমবারের ভোটার তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রথমবারের ভোট, এ ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার, শুধু কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া না, সারা বাংলাদেশের জন্য আমার আহ্বান; নতুন ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দেবে। বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে। কারণ তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের অগ্রগতি। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি।
নিজের নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের কাছে ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সব সময় আমাকে ভোট দিয়েছেন। আর আমার দায়িত্ব তো আপনারা নিয়েছেন। আমার নির্বাচন তো সব সময় আপনারাই করে দেন। আজকেও আমি আপনাদের কাছে এসেছি প্রার্থী হিসেবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন। আমি সেটাই আপনাদের কাছে আবেদন করি।
জনসভা মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগেরা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, সাবেক পৌর মেয়র শেখ কামাল হোসেন, অহিদুল ইসলাম হাজরা প্রমুখ। জনসভায় সঞ্চালক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা দূরে সরিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট যথোপপযুক্ত হয়েছে বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘(বাজেট সম্পর্কে) কে কি বলছে তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার জন্য আমরা একটি উপযুক্ত বাজেট ঘোষণা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ ৩ জুন শনিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন (ঢাকা জেলা ও ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়) উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগরের হাজার হাজার উৎসাহী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী তাদের দলীয় প্রধানকে দেখতে সমবেত হওয়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি একটি মহাসমাবেশে পরিণত হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ আমাদের পক্ষে আছে। তাই, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
প্রায় ৭.৬২ লাখ কোটি টাকার এত বিশাল বাজেটের বাস্তবায়নে যারা শঙ্কিত, তাদের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাজেট পাশের আগে কেউ কেউ বলেন, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব না। কিন্তু, আমরা প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান, এমপি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সূত্র : বাসস