চলারপথে ডেস্ক :
প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের চেয়ে পুলিশের দায়িত্ব বেশি। আইন অনুযায়ী আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই কেবল মামলা হবে। শুধু মামলা হলেই যেন গ্রেফতার করা না হয় সে বিষয়টিও বলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভালো ও খারাপ দিক খতিয়ে দেখতে একটা কমিটি কাজ করছে, যদি প্রয়োজন হয় এই আইন সংশোধন করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, রাজনৈতিক মামলা বলে কিছুই নেই। অপরাধ করলে মামলা হয়। সেই মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন আছে, সেগুলোর বিচার হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৭০ শতাংশ প্রচলিত ব্যবস্থার মতো নিয়োগ দেওয়া হবে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে- আগামী নির্বাচনের পর এটা কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট যেটা করা হবে সেটা কন্ট্রোল করার জন্য নয়, প্রটেক্ট করার জন্য। এটা সংসদে নেওয়া হবে। যেভাবে আইন পাস হয়, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় হবে এবং স্টেকহোল্ডারদের বক্তব্য শোনা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, পিপি ও জিপিদের (সরকারি কৌঁসুলি) আগে বেতন ছিল ২ হাজার ও ৩ হাজার টাকা, সেটাকে আমরা বাড়িয়েছি। আমি মনে করি, তাদের একটি সম্মানজনক অবস্থানে আনার জন্য এই বেতন কাঠামো বদলানো অত্যন্ত প্রয়োজন। আমার প্রস্তাব, ৬৪ জেলাকে ৩টি ভাগে বড়, মাঝারি ও ছোট জেলায় ভাগ করে বেতন কাঠামো প্রস্তুত করা হবে। বড় জেলার পিপির বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি জেলার ৪৫ হাজার ও ছোট জেলার পিপির বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, কতগুলো সহকারী প্রসিকিউটর এবং অতিরিক্ত প্রসিকিউটর ও অতিরিক্ত জিপি থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে কী কী কোর্ট আছে সেটার ওপর নির্ভর করে। সে জন্য ২৬৭ কোটি টাকা আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছি, তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে। আমার মনে হয়, আগামী নির্বাচনের পরে যেই সরকারে আসুন না কেন, তারা এটা অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে সাইবার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ ৯ জুলাই রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর। মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এনআইডি সেবা আমাদের অধীনে আসেনি, আমরা এখনো কার্যক্রম শুরু করিনি। এখনো এ কার্যক্রমটা নির্বাচন কমিশনের হাতেই রয়েছে। যে ঘোষণাটা (এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত) দেওয়া হয়েছে, আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে, সেগুলো শেষ করে শীঘ্রই এটা আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসবে। তখন থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যে বিষয়গুলো (তথ্য ফাঁস) বলছেন সেটা আমরাও শুনছি। এ বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে, জেনে আপনাদেরকে উত্তর দিতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বিস্তারিত নেই। আপনারা যেভাবে শুনেছেন আমরাও ঠিক সেরকমভাবে শুনছি। না জেনে উত্তর দেওয়ার মতো তথ্য আমার কাছে নেই।’
‘কী ঘটেছে, কতখানি কী ফাঁস হয়েছে- সেটা আমাদের দেখতে হবে। দেখে যদি দেখি কেউ এর সঙ্গে যুক্ত আছে, কেউ এতে সহযোগিতা করেছে- সেক্ষেত্রে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা আমরা নেব। এক্ষেত্রে আমরা কাউকে ছাড় দেই না। সেটা আপনারা দেখেছেন। পুরো বিষয়টি আমরা জেনে নিয়ে তদন্ত করে এটার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘শুরু করার মতো কোনো উপাদান এখন আমাদের হাতে আসেনি। আমরা প্রস্তুত হয়েছি জানার জন্য। আমাদের সাইবার ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে আরও তথ্য জানার জন্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কী ফাঁস হয়েছে, আমাদের প্রোটেকশনের কী আছে, সেটা আমাদের দেখতে হবে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্পণ হতে যাচ্ছে। আমরা সেই ব্যবস্থা নেব। কোনো ফাঁক-ফোকর থাকবে না। প্রোটেকশনের ব্যবস্থা আমরা নেব।’
বিএনপি আগস্টে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে যাচ্ছে- সেই বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিগোষ্ঠী, স্বাধীনতাবিরোধীরা কিংবা যারা চক্রান্ত করে তারা আগস্ট মাসকে বেছে নেয়। আমরা ১৫ আগস্ট দেখেছি। ২১ আগস্ট আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বোমায় বোমায় উড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সারাদেশে ৬৩ জেলায় ১৭ আগস্ট বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা তারা করেছিল। কাজেই আগস্ট মাস তাদের খুব প্রিয় মাস। তারা আগস্টকেই বেছে নেয়। আমার মনে হয় সেই ধরনের একটা ইঙ্গিত তারা (বিএনপি) দিচ্ছে কি না তারাই জানেন।’
তিনি বলেন, ‘তারা যে রকমভাবে আন্দোলনের কথা বলছে, আমাদের জনগণ ইতোমধ্যে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কোনো আন্দোলনে জনগণ সমর্থন ও সহযোগিতা করছে না। তারা আন্দোলনের কথা বলছে, বছরের পর বছর বলছে ওমুক দিন করবে, তমুক দিন করবে- এটা আমরা শুনেই আসছি। আন্দোলনে যদি জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকে, আন্দোলনে যদি জনগণ যুক্ত না হয়, সেটা কোনো আন্দোলনই হয় না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তারা আন্দোলনের কথা বলেছে। তারা যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়, মানুষ হত্যার কোনো পরিকল্পনা থাকে, সেগুলোর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী দেখবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃতে গত ১ দশকের বেশি সময় ধরে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষের সহায়তা আমাদেরকে আমৃত্যু বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যাওয়ার সময় সীমান্তের শূণ্য রেখায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স (সিভিল সোসাইটি) পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে কাজ করে তাদের আমন্ত্রণে আগরতলা যাচ্ছি। আগরতলার পলো টাওয়ার হোটেলে একটি সভা হবে। সভায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ত্রিপুরার ম‚খ্যমন্ত্রী থাকার কথা রয়েছে।
সভায় এই অঞ্চল দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি, মানুষের যাতায়াতের সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করবো। তছাড়া রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগে বিনিয়োগ হচ্ছে এগুলো আপডেট করবো।
সামনের দিনে আরও কিছু কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন সীমান্তের ১০০ মিটারের ভেতরে সাধারণত কোন স্থাপনা করার নিয়ম নাই। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ উভয় উভয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই আমরাও ছাড় দিয়েছি।
ভারতও ছাড় দিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে উত্তর-প‚র্ব ভারতের ৭টি রাজ্যের বাজার তৈরি হয়েছে। তাদের ক্রমবধর্মান উন্নতি হচ্ছে। এটাকে আমাদের বাজারের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাই। এজন্য কানেক্টিভিটির কোন বিকল্প নাই। সেটার উপায় খোঁজা, দেখা।
এ পর্যন্ত দু’পক্ষের সরকার যতটুকু করেছে এটা কতটুকু প্রভাব ফেলেছে সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিনে কাজ করা। এমন একটি ধারণা নিয়ে যাচ্ছি।
বিএসএফ’র আপত্তির কারণে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ ৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপডেট আছে। শিগ্রই দেখবেন। অপেক্ষা করেন সমাধান দেখবেন।
এসময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন নাঈম রাজ্জাক এমপি, সহকারি পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, মোঃ আল আমিনুল ইমাম, পরিচালক স্টেট মিনিস্টার অফিস।
ভারতে প্রবেশকালে সীমান্তের শূণ্য রেখায় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে সড়ক পথে আখাউড়া চেকপোষ্টে এসে পৌঁছেন। এসময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সংসদে ভূমিকা কী হবে, এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতারা দলীয় পদ-পদবি হারাতে চান না। এ কারণে তাঁরা সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি নির্দেশনা দিলে বেশির ভাগ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন।
অন্যথায় স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা রাখবেন।
জাতীয় সংসদের চিঠির অপেক্ষায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু স্বতন্ত্রদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়ায় ইসির পাঠানো চিঠির জবাব দিতে পারেনি সংসদ সচিবালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে বিজয়ী হলেও দ্বাদশ সংসদেও বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকছে, এটা অনেকটা নিশ্চিত।
সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তেমনটিই জানিয়েছেন। ফলে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা থাকছেন না। সে ক্ষেত্রে স্বতন্ত্রদের ভূমিকা কী হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে বেশির ভাগ সংসদ সদস্য সরকারি দলে যোগ দিতে আগ্রহী।
কারণ এবারের নির্বাচনে বিজয়ী ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের ৫৯ জন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। দুজন বাদে সবার দলীয় পদ-পদবি রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দলীয় প্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা, সংসদে বিরোধী দলের সঙ্গে থাকলে স্থানীয় রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হতে পারে। সরকারি দলের সংসদ সদস্যের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।
আবার আগামী দিনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সমস্যা হতে পারে।
জানা গেছে, একই কারণে দলের পদ-পদবি না থাকলেও সরকারের সঙ্গে থাকতে চান গাইবান্ধা-১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার। জাপার সঙ্গে সমঝোতার কারণে ওই আসনের নৌকার প্রার্থী আফরোজা বারী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় তাঁর মেয়ে নাহিদ নিগার স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। আফরোজা বারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর পিরোজপুর-৩ আসনে জয়ী শামীম শাহনেওয়াজেরও আওয়ামী লীগে পদ নেই। তাঁর ভাই উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমান মনোনয়ন পেয়েছিলেন। জাপাকে আসন ছাড়ায় নৌকা হারান। শামীম শাহনেওয়াজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন নীলফামারী-৪ আসনে জেলা জাপার সহসভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া সিদ্দিকুল আলম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে জয়ী হয়েছেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এ কে একরামুজ্জামান। এ ছাড়া সিলেট-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন ফুলতলীর হুজুরের ছেলে ও অনিবন্ধিত দল আঞ্জুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মোহাম্মদ হুছামউদ্দিন চৌধুরী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করলেও সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র এমপিদের স্বতন্ত্র থাকাই ভালো।
বরগুনা-১ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের। কিন্তু দল থেকে এখনো কোনো সিগন্যাল পাইনি।
যেকোনোভাবেই সরকার ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতে চান হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।
রাজশাহী-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। শেখ হাসিনা আমার নেত্রী। তাই দলের সিদ্ধান্তের ওপর আমার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে।’
সরকারে থাকতে আগ্রহী বরিশাল-৪ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে সংসদে কাজ করব।
কুষ্টিয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরেফিন বলেন, ‘স্বতন্ত্র এমপিদের নিয়ে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে আমরা আওয়ামী লীগের বাইরে নই।’ সরকারে থাকতে চান ময়মনসিংহ-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান সুমন।
রংপুর-৫ আসনে জয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সরকার বলেন, দীর্ঘ ৩৭ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে থাকতে চাই।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী ১৬ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য দশম সংসদে আওয়ামী লীগ নেতা হাজি সেলিমের নেতৃত্বে জোট করেন। তাঁরা আওয়ামী লীগের পদে থাকলেও দলটির সংসদীয় দলে যোগ দিতে পারেননি। যদিও পরবর্তী নির্বাচনী দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবারও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের জোট করে বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা বেশি। সে ক্ষেত্রে জোটবদ্ধ হয়ে তাঁরা সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন।
সংরক্ষিত নারী নির্বাচনের বিষয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের চিঠির অপেক্ষায় আছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির বৈঠকে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে। সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা এই নির্বাচনের ভোটার। যদিও সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, কোন দল কতটি আসন পাবে, সে বিষয়ে জানানোর জন্য জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। চিঠির জবাব এলে সংসদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হবে। এটার সময় আছে, আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। আশা করছি, এই সপ্তাহে অথবা আগামী সপ্তাহে সংসদ সচিবালয়ের চিঠির জবাব পাব।
স্বতন্ত্র এমপিদের অবস্থান জানতে চেয়ে ইসির চিঠি
স্বতন্ত্র এমপিরা রাজনৈতিক দলে বা জোটে যোগদান করতে চাইলে তা আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। এ বিষয়ে মতামত জানানোর জন্য সংসদ সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার ইসি সচিব জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দল ও জোট গঠনের বিষয়টি ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো নির্দলীয় সংসদ সদস্য আপনার দলে বা জোটে যোগদান করেছেন কি না, অথবা সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে অন্য কোনো দলের সঙ্গে আপনার দলে জোট গঠিত হয়েছে কি না; তা ৩১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমি ১৯৭৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। একটা প্রেক্ষাপটের কারণে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছি। এখন সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে যোগদান করব।’
অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা একবার উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলাম। এখন সেই উদারতা দেখানোর আরো কোনো সুযোগ নেই।
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, সেটা অনেক কমে গেছে। এমন অবস্থায় এই বোঝা আমরা আর কতদিন বইব?
তিনি বলেন, এটা মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা। আরাকান আর্মি তাদের দেশের সমস্যা। তাদের ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে তারা কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সমস্যার জন্য আমাদের এখানে যেন কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগ না হয়, সে বিষয়ে যারা যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সঙ্গে কথা বলব। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন। চীনের সঙ্গেও আমরা আলাপ আলোচনা করছি।
বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির মন্তব্য নিয়ে কথা বলার সময় আমার নেই। তাদের নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কিছু নেই। তাদের মধ্যে ব্যর্থ আন্দোলন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়া- এসব কারণে একটা হতাশা আছে। এ কারণে তারা বিরোধিতা করছে, করবে। তারা তো বিরোধী দল, তাদের কিছু তো বলতেই হবে। বললে সরকারের খারাপটাই বলতে হবে। কারণ তারা এখন কোনোকিছু ভালো চোখে দেখছে না। তারা হতাশার মধ্যে আছে। হতাশা থেকে তারা আবোল-তাবোল বলছে। এগুলোর কোনো বাস্তবতা নেই, এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
বাড়ানো হলো উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ২ জুন পর্যন্ত পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঐ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় আগামী ২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ‘সোনালি সেবার’ মাধ্যমে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত ফি পরিশোধ করা যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এইচএসসির ফরম পূরণে বিজ্ঞান শাখার জন্য ২ হাজার ৬৮০ টাকা, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে আরো ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। এ ছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরো ১৪০ টাকা যুক্ত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। এ কার্যক্রম ছিল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করার সুযোগ ছিল ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। এরপর ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ছিল ৭ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত। তারপর আবার ফরম পূরণের সময় ২০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এবার আবারো ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হলো।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হবে। এবার পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।