‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার মূল হাতিয়ার হবে ডিজিটাল সংযোগ: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 26 January 2023, 1137 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত করার মূল হাতিয়ার হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের জন্যে ডিজিটাল সংযোগ মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।’

প্রধানমন্ত্রী আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধন উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।

ভিডিও বার্তায় তিনি ডিজিটাল পণ্য বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় তিন দিনের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার আয়োজন করে। দেশের আইটি ও আইটিইএস পণ্য ও সেবাসমূহ প্রদর্শনই এ মেলার লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন একটি বাস্তবতা। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সরকারি বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবোটিকস এন্ড বিগ-ডাটা সমন্বিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘শিল্পাঞ্চলে ফাইভ-জি সেবা নিশ্চিত করা হবে।’

ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্ম এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখছে।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন রাঙামাটি জেলার বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশন স্থাপন করেন। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচনী অঙ্গীকারে রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেছিল, যার মূল লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশী জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, তার সরকার ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করেছে, যা সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর সিত্রাং ঘুর্ণিঝড়ের সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় বিচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছেন।

এছাড়া তিনি বলেন, স্যাটেলাইটের অব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের স্যাটেলাইট পরিবারের ৫৭তম গর্বিত সদস্য।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যে বহুমুখী কার্যক্ষমতা সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -২ স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তার সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করতে যাচ্ছে। কারণ, ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা অর্জন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যান্ডউইথের সক্ষমতা ৭২০০ জিবিপিএসে উন্নীত করা হবে। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের পর এটি ১৩,২০০ জিবিপিএসে উন্নীত হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, সৌদি আরব, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া ও ভারতকে ব্যান্ডউইথ লিজ দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি বছর ৪.৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আর বিদেশি স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভর করতে হবে না।

সরকার প্রধান উল্লেখ করেন যে, সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত প্রায় ৯৫৬২৯৮ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ গিগাবাইট ক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে যা জনগণ ও সরকারি অফিসগুলোতে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করতে সহায়তা করে।

তিনি বলেন, সারাদেশে মোট ৮৬০০টি পোস্ট অফিসকে ডিজিটালে পরিণত করা হয়েছে। বর্তমানে ১৮ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ডিজিটাল বৈষম্য এবং দামের পার্থক্য দূর করা হয়েছে।

প্রত্যন্ত এবং দুর্গম এলাকায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার সরকারের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সারাদেশে ‘এক দেশ এক দরের’ একটি সাধারণ শুল্ক চালু করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে বৈষম্যহীন ‘এক দেশ এক দর’ শুল্ক ব্যবস্থা চালু করার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অ্যাসোসিও (এএসওসিআইও)-২০২২ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিকম খাতে প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে ১৪টি ক্যাটাগরিতে প্রথম প্রবর্তিত পোস্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যাওয়ার্ড বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ মন্ত্রী মুস্তাফা জব্বার, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান বক্তব্য রাখেন। সূত্র : বাসস

Leave a Reply

আইসিসির পরোয়ানা : নেতানিয়াহু কানাডায় গেলে…

অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ Read more

মামলায় কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির…

অনলাইন ডেস্ক : ৫ আগস্টের পরে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে Read more

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষে…

চলারপথে রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে Read more

সাহিত্যের আড্ডায় গুণীদের মিলনমেলা

চলারপথে রিপোর্ট : প্রাণবন্ত এক হঠাৎ আড্ডায় মেতে উঠেছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। Read more

নবীনগরে অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান ভস্মিভূত

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে Read more

মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more

এনআইডি সংশোধন আবেদনে ভুল হলে ফের গুণতে হবে ফি

জাতীয়, 24 April 2023, 1148 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন আাবেদনে কোনো ভুল হলে এখন থেকে সেটা শোধরানোর কোনো সুযোগ পাবেন না সেবাগ্রহীতারা। এক্ষেত্রে সেই আবেদন বাতিল করে আবার ফি দিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে।

সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডি অনুবিভাগের ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবস্থাপনা অধিশাখার সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন এন্ট্রি সাবমিট হওয়ার পর অথবা সরাসরি উপজেলা অফিস হতে সংশোধনের আবেদন এন্ট্রি করে সাবমিট করার পর ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের অ্যাকাউন্ট হতে issue (Category Pending) করার এখন হতে আর কোনো সুযোগ নেই।

কোনো আবেদন NIDW থেকে ক্যাটাগরি অ্যাস্যাইন করার পর অফিসার অপারেটর কোনো পর্যায়েই Issue Incomplete করার অথবা অন্য কোনো স্ট্যাটাসে নিয়ে কোনো ফিল্ড Edit করার আর কোনো সুযোগ থাকছে না।

নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এনআইডি উইং হতে Online Adjudication Pending Adjudication Pending স্ট্যাটাস থেকে ক্যাটাগরি অ্যাসাইন করা হবে।

তাই কোনো সংশোধনের আবেদন সাবমিট করার পর যেহেতু কোনো এডিট করার সুযোগ থাকছে না, তাই আবেদন করার সময় সতর্কতার সঙ্গে ফিল্ড এডিট করতে উপজেলা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হলো। কারণ এন্ট্রিতে কোনো ভুল হলে পুনরায় ফি দিয়ে নতুন আবেদন করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই। আর নতুন আবেদন করার আগে অবশ্যই আগের আবেদন বাতিল করতে হবে।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের আবেদন Approve Cancel Reject করার পর কোনো আবেদনের স্টেটাস পরিবর্তন না করার জন্যও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

এনআইডি অনুবিভাগ থেকে নাগরিকদের সংশোধনের আবেদনগুলো গুরুত্ব বিবেচনায় ক, খ, গ ও ঘ চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এক্ষেত্রে ক ক্যাটাগরিতে ছোটখাটো ভুলের জন্য থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সংশোধনের এখতিয়ার দিয়েছে ইসি। এভাবেই গুরুত্ব বিবেচনায় খ, গ ও ঘ ক্যাটাগরির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এনআইডি মহাপরিচালককে। এনআইডি মহাপরিচালকও কোনো সংশোধনের আবেদনকে স্পর্শকাতর মনে করলে সেটা কমিশনের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কমিশন অনুমোদন দিলেই কেবল সংশ্লিষ্ট আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেকেই একটি আবেদন করার পর সেখানে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে নতুন করে ফের আবেদন করেন। এখন থেকে সেই সুযোগটি আর থাকলো না। তাই আবেদন চূড়ান্তভাবে সাবমিট করার আগেই ভালো করে দেখে নিতে হবে। অন্যথায় আগের আবেদনটি বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর ফি জমা দিয়ে নতুন করে আবার আবেদন করতে হবে।

বর্তমানে আবেদনের ধরণ ভেদে ১১৫ টাকা সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা ফি দিতে হয়।

ইন্টারনেট সেবা ব্যাহতের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন পলক

জাতীয়, 2 August 2024, 159 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কোনো ভুল করে থাকলে, তার জন্য করজোড়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ ২ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে নাটোরে নিজ বাসভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের কাছে যদি আমার কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

একই সঙ্গে জুনাইদ আহমেদ বলেছেন, তাঁদের কারও দায়িত্বকর্তব্যে অবহেলার কারণে তরুণ প্রজন্ম যদি তাঁদের ভুল বোঝে, ক্ষুব্ধ হয়, তাহলে সে দোষে যেন তাঁরা শাস্তি পান। যেকোনো সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিতে রাজি আছেন। কিন্তু তাঁদের ব্যর্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করা হলে তাঁরা কষ্ট পান। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ভুল না বুঝতে আহ্বান জানান।

সরকারের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যে দূরত্ব হয়েছে, তাতে ছাত্রছাত্রীদের দোষ নেই। এটি আমাদের দোষ। এই দায় আমাদের, যারা আমরা দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতা আমাদের এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই ব্যর্থতা আমারও।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, এটা কখনোই তাদের প্রতি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান করতে হবে। কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে শাসনের পথ বেছে না নিয়ে আমরা যদি তাঁদের প্রতি সংবেদনশীল হই, স্নেহ–মমতা নিয়ে তাঁদের কাছে বসি, তাঁদের কথা শুনি, তাহলে আমাদের বিশ্বাস, অবশ্যই এই ভুল–বোঝাবুঝির দূরত্ব দূর হবে এবং ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের সঙ্গে যে চেষ্টা করছে, তা সফল হবে না।’

শোকসভায় বক্তব্যের শুরুতে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে আমাদের এই শোকসভা, আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করছি, উপস্থিত হয়েছি, যখন আমাদের এই বাংলাদেশ, শিশু, কিশোর, কিশোরী, আমাদের সন্তানেরা একটি আন্দোলনে আছে। যখন আমাদের সরকারের সঙ্গে এই ছাত্রছাত্রী ভাইবোনেদের একটি ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেই সময়ে দেশে–বিদেশে স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে অশান্ত করা ও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার সব দায়ভার আমার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা তাঁদের যৌক্তিক কোটাবিরোধী আন্দোলন রাজপথে শান্তিপূর্ণভাবে করেছেন। তাঁদের এক মাস আন্দোলনে কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আওয়ামী লীগের বা ছাত্রলীগের কেউ তাঁদের কোনো জায়গায় কোনো আঘাত করেনি। তারাও কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি। পুলিশ কোথাও শক্তি প্রয়োগ করেনি। কিন্তু মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে ছাত্র মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে অশান্তির চেষ্টা করে বিএনপি–জামায়াত, ছাত্রদল–শিবির, জঙ্গি সন্ত্রাসীরা।

তবে সরকারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটা উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘যে দূরত্ব ও ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, সেটা আমাদের দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের ঘর, প্রতিবেশী ও প্রতিষ্ঠান থেকে করতে হবে। ছাত্রছাত্রী ভাইবোনদের চোখের ভাষা আমাদের বুঝতে হবে। তাঁদের মনের কথা বুঝতে হবে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক প্রাণহানি এবং দেশ টানা ৫ দিন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় সরকারের পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রীও সমালোচনার মুখে রয়েছেন। সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করলেও তিনি বলেছেন, মহাখালীতে ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও ফাইবার কেবল কাটা পড়ায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।

প্রতিমন্ত্রী ইন্টারনেট বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশব্যাপী ইন্টারনেটের সেবা ব্যাহত হওয়ার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তাহলে সে আমি। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেশব্যাপী ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়ার দায় আমার। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ হওয়ার জন্য যদি কারও শাস্তি হয়, তাহলে আমার হওয়া উচিত। কিন্তু কেন প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হচ্ছে?’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে হামিদ কারজাই মার্কা সরকার বসানোর জন্য কিছু মুখোশধারী, চক্রান্তকারী টিভিতে ভালো মিষ্টি কথা বলছেন। এ ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটন করতে সময় লাগবে।

গুজব প্রতিরোধ করতে ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যদি তিনি ব্যর্থ হন, সে জন্য আওয়ামী লীগ ও সংযোগী সংগঠনের সদস্যরা প্রতিমন্ত্রীকে দোষারোপ করতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়, 7 September 2023, 591 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।’

এ সময় তিনি দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো পদক্ষেপ এবং জাতির অগ্রগতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার সম্পর্কে সবাইকে সর্বদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। খবর বাসসের

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্মার্ট সরকার, স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সোসাইটি নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আরো এগিয়ে যাবে। কারণ তাঁর সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইতোমধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে সব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্মের অধিকার রক্ষা ও ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সব অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিলেন।

তিনি বলেন, জিয়া সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেন, যা আমাদেন ধর্মীয় নিরপেক্ষতাকে নিশ্চিত করেছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব স্বাধীনভাবে পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, দেশটি সবার, কারণ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানও বক্তব্য দেন।

শেখ হাসিনার সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 17 February 2024, 772 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।

আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে হোটেল বায়েরিসচার হোফের সম্মেলনস্থলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠকের আগে জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে সকালে সম্মেলনস্থলে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেন।

সফর শেষে শেখ হাসিনা আগামীকাল রাতে মিউনিখ ত্যাগ করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা পৌঁছার কথা রয়েছে।

বিচারকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণে জড়িতদের শাস্তি দাবি

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 6 January 2023, 2190 Views,

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে সংগঠনটির সভাপতি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কতিপয় আইনজীবী ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাস কক্ষে বেআইনিভাবে বিচারিক কাজে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা বিচারকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণ করেন; যা অনভিপ্রেত, ন্যক্কারজনক ও দুঃখজনক। এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। শিষ্টাচারবহির্ভূত ওই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের নিন্দনীয় ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।
শিষ্টাচারবহির্ভূত ওই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের নিন্দনীয় ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে এজলাস চলাকালে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়াসহ কয়েকজন আইনজীবী বিচারককে গালিগালাজ করছেন। তবে তানভীর ভূঁইয়ার দাবি, তিনি বিচারককে গালি দেননি। ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়েছে।
এদিকে, আইনজীবী ও আদালত কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত। বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ, কর্মচারীদের মারধর, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আদালতের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।