ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির আয়োজনে “ফার্মেসীতে মানসম্পন্ন ঔষধ বিক্রয় নিশ্চিত করতে ও নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় প্রতিরোধে এক আলোচনা সভা আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সভাপতি আহাম্মদ হুসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, ঔষধ প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহরুল ইসলাম মোল্লা।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আপনারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করবেন।স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রেখে মানুষকে না ঠকিয়ে ব্যবসা করবেন। ঔষধ নিয়ে কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় না করতে ফার্মেসীর মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, মানুষ তার জীবন রক্ষা করার জন্য ঔষুধ সেবন করে, তাই জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বিক্রিতে আপনারা কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি ঔষধ ব্যবসায়ীদের ন্যায় সঙ্গত দাবির প্রতি সব সময় পাশে থাকার ঘোষনা দেন।
আলোচনা সভায় জেলার ৯টি উপজেলা থেকে প্রায় চারশতাধিক ফার্মেসীর মালিক যোগদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম শফিক হত্যা মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। নিহত শফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের গৌতমপাড়ার ধন মিয়া খন্দকারের ছেলে। শফিক পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন।
গতকাল সোমবার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মোঃ কাছম আলী (৫৫), কাছম আলীর ছেলে মোঃ জামান মিয়া (২৭) ও একই গ্রামের মোঃ ডাক্তার আলীর ছেলে মোঃ রিয়াদ মিয়া (২০)।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গৌতমপাড়া গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম শফিকের চাচাতো ভাই বাকপ্রতিবন্ধী মোঃ আবদুল্লাহর সাথে কাছম আলীর পক্ষের লোকজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে পরদিন ৪ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় কাছম আলীর লোকজন শফিকুল ইসলাম শফিকে ঘাটুরা পেট্টোল পাম্পের সামনে একা পেয়ে এলোপাথারি মারধোর ও ছুরিকাঘাত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শফিকের ভাই বাদী হয়ে কাছম আলীকে প্রধান আসামী করে চারজনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতদেরকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগের ফলে দেশে নারীশক্তি ক্রমান্বয়ে বিকশিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আইসিটি ডিভিশন কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নবীনগর উপজেলার ১৬০ জন নারী উদ্যোক্তার প্রশিক্ষণ শেষে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সনাতন ধর্মীয় মতে নারী হচ্ছে আদ্যশক্তি। ইসলাম ধর্মীয় মতেও সমাজে নারীর গুরুত্ব পুরুষের চেয়ে কম নয়। যে কোনো জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য নারী পুরুষ উভয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, কিন্তু বিভিন্ন কারণে এদেশে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীশক্তির পূর্ণবিকাশ ও উন্মোচন এখনো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে নারীর অপরিমেয় শক্তির বিকাশ হতে শুরু করেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তাদের ভূমিকা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশে নারীর ক্ষমতায়নে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন, বিমান বাহিনী, পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদসমূহ এমনকি বিচারপতি হিসেবেও নারীদের নিয়োগ ও পদায়ন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে নারীরা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায?িত্ব পালন করছেন। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নারীরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে এবং নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। এ সেক্টরে আরও বিস্তর সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার এ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমে দেশের ৪৪টি জেলার ১৩০টি উপজেলায় নারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নবীনগর উপজেলায় ১৮০ জন নারী উদ্যোক্তাকে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ করা এসব নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রকল্পের আওতায় মন্ত্রী বিনামূল্যে একটি করে ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শান্তনু চৌধুরী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সদর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভা ও মাসিক সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে মন্ত্রী সার্কিট হাউজে ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির পক্ষ থেকে জেলার নয়টি উপজেলার অসহায়, দুস্থ ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের কাছে ৯ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এদিন বিকালে তিনি ৮ কোটি ৫০ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের ছয় তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পরে মন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকনের পক্ষে জেলার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ৫০০ অসহায়, দুস্থ ও দরিদ্রের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা এবং পিপি কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ইফতার মাহফিলের আয়োজন না করে ইফতার মাহফিলের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করে এসব ঈদ সামগ্রী ক্রয় করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ফিরে আসবে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সড়কটি পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তোমরা আসো, কাজ করো- আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। যতো দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করো। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও কথা বলেছেন উল্লেখ করে সচিব মো. এহছানুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে রয়েছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি দেখার জন্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আমাকে পাঠিয়েছেন।’ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার লেন সড়ক প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১০ই আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ এই প্রকল্পের কাজ। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক কিলোমিটার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ যানজটে নাকাল হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থগিত হওয়া সিএনজিচালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন দ্রুত চালু করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতি। আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন বন্ধ ছিল। নিবন্ধনহীন গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে গাড়ির মালিক চিহ্নিত করা কষ্টকর হতো। চালকরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় রেজিষ্ট্রেশন না থাকায় পুলিশের হাতে নানা ভাবে নাজেহাল হতো।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি বিআরটিএ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিস পুনরায় রোজিষ্ট্রশন কার্যক্রম চালু করে। সরকার অটোরিক্সার লাইসেন্স চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা জেলার জন্য ১০ হাজার লাইসেন্স দেওয়ার আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ১ হাজার ৮৫০টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স প্রদান করা হয়। যা থেকে সরকার প্রায় ৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাশের কুমিল্লা জেলায় ২৩ হাজার, মৌলভীবাজার জেলায় ২১ হাজার এবং হবিগঞ্জ জেলায় ১৩ হাজার নিবন্ধনকৃত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা রয়েছে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন করে ১ হাজার ৮৫০টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার রেজিষ্ট্রেশনের পর হঠাৎ করে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এতে করে সিএনজি মালিক-চালকরা বিপাকে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে প্রতিটি অটোরিকসার রেজিষ্ট্রেশন করি। কাউকে কোন ধরনের অনৈতিক সুবিধা দেইনি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অবিলম্বে স্থগিত হওয়া সিএনজিচালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন দ্রুত চালু করার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ হাজার নতুন রেজিষ্ট্রেশন দেয়ার দাবি জানান। এতে করে একদিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব পাবে অপর দিকে সড়কে বৈধ যানচলাচল বৃদ্ধি পাবে। সড়কে যান চলাচলে শৃংখলা ফিরে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কুদ্দুস মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হারুন মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহের মিয়া, অর্থ সম্পাদক কামাল মিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক ও সূধী সমাজের উদ্যোগে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার) শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানবন্ধনে শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়। আজ ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও এশিয়ান টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম, সাংবাদিক আবদুন নূর, আল-আমিন শাহীন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, ওর্য়াকার্স পার্টির সদস্য কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা যুবমৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুবেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয় প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিককে আটক করে দেশ চলতে পারে না, গণতন্ত্র টিকতে পারে না। সাংবাদিকদের টার্গেট করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং সংখ্যালঘুদের আটকের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার হচ্ছে। দেশে ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। সাংবাদিক শামসের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল মামলার কোনো প্রাইমেসি নেই।
বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন উল্লেখ করে অবিলম্বে সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার, সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি ও বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।