জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দ্যেশে জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপি দলীয় সদস্যদের পদত্যাগ এবং উপ-নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা বিএনপি রাজনীতির দেউলিয়াত্তের প্রমাণ বহন করে। কোন দেশপ্রেমিক নাগরিক বিএনপি’র এই অপরাজনীতিকে সমর্থন করতে পারেনা।
তিনি গতকাল তালশহর হাই স্কুল মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থনে এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই কথা বলেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সুলেমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ, আবু নাছের আহমেদ, মঈন উদ্দিন মঈন, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, এড. কামরুজ্জামান আনসারী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী মো. রুবেলের ছুরিকাঘাতে হৃদয় খান (২৫) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় রুবেলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মামলায় আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে রুবেল, আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে সেলিম, সৈয়দ হোসেন মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন বাক্কি, আরিজ মিয়ার ছেলে মো. মনির ও আবু আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মতিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে হৃদয় খানকে ছুরিকাঘাতে খুন করে।
নিহতের পিতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল ও সেলিম। পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ আহম্মেদ জানান, নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা রুবেল ও মতিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলমান আছে। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের দায়িত্ব হল আপনারা কিভাবে আগামীতে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সার্বজনীন স্বীকৃত নির্বাচন করবেন এটি আপনাদের দায়িত্ব। যেই সংস্কারের কথা আপনারা বলছেন এই সংস্কার ২০২৩ সালে ২৩ জুলাই সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমান ৩১ দফার কথা তুলে ধরেছেন। এই ৩১ দফার মধ্যেই নির্বাচন থেকে শুরু করে সব বিষয়েরই সংস্কারের কথা উল্লেখ আছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন যতই বিলম্ব হবে আরেকটি ফ্যাসিস্ট মাথাচারা দিয়ে উঠবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করার সুযোগ করে দিতে তিনি আহবান জানান।
২৬ মার্চ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহাম্মেদ এর সভাপতিত্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এই কথা বলেন।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদ কবির আখন্দের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।
এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তারেকুল ইসলাম খান রুমা, জেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মইনুল হোসেন চপল।
দোয়া পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট শফিকুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষের উপর অত্যাচার করেছে। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম খুন করা হয়েছে। পুলিশ দিয়ে নেতাকর্মীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। অতঃপর জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা ভারতে পালাতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয় বড় বড় নেতারা বুজ পাখির মত নাই হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, ৭৫ এর পর দেশের মানুষ যেভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ঘরে ঘরে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ এই ষড়যন্ত্র কিছু কিছু টের পাচ্ছে। ভোটের কোন নিশানা দেখা যাচ্ছে না। তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেন, এদেশের মানুষ সব সময় ভোটের জন্য আন্দোলন করেছে, বারবার রক্ত দিয়েছে। মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা না নিয়ে দ্রুত ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরি করতে আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এ দেশ চলবে মানুষের রায়ে। জনগণ যাকে খুশি তাকে বেছে নিয়ে ক্ষমতায় বসাবে। বিএনপি আর কোনদিন এদেশে বিনা ভোটের সরকার আসতে দেবে না।
আজ ২০ অক্টোবর রবিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর প্রথম গেট এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) উপজেলার জনগণের আয়োজিত ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালার ও দেশবরেণ্য জাতীয় নেতা অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি কৃতি সন্তান জন্ম দেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসনগুলোতে তাক লাগানো সব সংসদ সদস্য আমরা এতো বছর দেখে আসছি। ইনশাআল্লাহ আপনারা যদি পাশে থাকেন। আপনারা যদি আমাদের হাত শক্তিশালী করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যে ছয়টা আসন আছে, সে ছয়টা তাক লাগানো এমপি তৈরি করে দেব আমরা।
বিএনপি নেতা মুন্সী আমানুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি জহিরুল হক খোকন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সহ-সম্পাদক ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা। ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হক মুকুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেটিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খোকন সেন, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুর রহমান সফিক, সরাইল উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন মাস্টার, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু, আশুগঞ্জের বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারনম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
সভা শেষে প্রয়াত রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি অলি আহাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি শহিদুল ইসলাম।
স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী রোববারে বিএনপির এমপিদের ছেড়ে দেওয়া শূণ্য আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনার বলেন, চলতি মাসের ১৮ ডিসেম্বরে আমাদের কমিশন সভা রয়েছে। সে সভায় শূণ্য আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে সিডিউল রয়েছে এবং সভাশেষে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কবে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি ছুটি, পাবলিক পরীক্ষা এবং ধর্মীয় উৎসবের কথা মাথায় রেখেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শূণ্য আসনের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে কারা কাজ করবেন, এ বিষয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি। সামনের নির্বাচনে বিএনপিকে ডাকবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, আমরা নির্ধারিত কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো না। আমাদের তফসিল ঘোষণা হবে সব দলের প্রতি। আইন সংশোধনে আইন মন্ত্রণালয় ইতিবাচক বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের উভয় পক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তারা পরিক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। পরিক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তারা এ বিষয়ে সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত দেবেন। আইনের ভাষা, দাড়ি-কমাসহ অন্যান্য দিকগুলো ঠিক আছে কিনা তা যাছাই-বাছাই করেই আইন সংশোধন হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপর ১১ ডিসেম্বর দুপুরে শূন্য ঘোষিত ওই ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটির সদস্য সশরীরে স্পিকারের কাছে ছয়জনের জন্য পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে একজন ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বিধায় তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ হয়নি।