নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বিশেষ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৮ জানুয়ারি শনিবার সকালে স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রায়হান আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিতু মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগ নেতা আল কাউছার।
কর্মী সভায় উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন করার লক্ষ্যে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কর্মী সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছাত্রলীগের এক কর্মী উপস্থাপনা করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানামহলে সমালোচনার ঝড় উঠলেও উল্টো বিষয়টি নিয়ে থোরাই কেয়ার করছেন নাসিরনগরের এসিল্যান্ড কাজী রবিউস সারোয়ার। গতকাল ১৪ এপ্রিল সোমবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও ‘কিছু যায় আসে না’ বললেন ঐ এসিল্যান্ড। তবে জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও তাৎক্ষণিক সমালোচনার মুখে অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হয় উপজেলা প্রশাসন।
অভিযোগ উঠেছে, পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিলের ব্যক্তিগত পছন্দেই ঐ ছাত্রলীগ কর্মীকে উপস্থাপক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম দিদার হোসেন। ১৪ এপ্রিল সোমবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে দিদারের ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল – মিটিং এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সবার একটাই প্রশ্ন উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার দায়িত্বে কীভাবে একজন ছাত্রলীগ কর্মী থাকে?
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম. এ. হান্নান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিন, শিক্ষা কর্মকর্তা ইসহাক মিয়াসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মী নিহারেন্দু চক্রবর্তী তার ফেসবুকে লিখেন (হুবহু তুলে দেওয়া হল), সকালে উঠেই একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস চোখে পড়লো। ওই লোক লিখেছে “ফ্যাসিষ্টমুক্ত প্রথম বৈশাখ” একটা লাইক দিয়েছিলাম। এর কিছুক্ষণ পর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দেখলাম ঐ লোকের লেখায় ভুল ছিল। দেখলাম প্রশাসন আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের মূল উপস্থাপক দিদার নামে একটি ছেলে। সে শুধু ফ্যাসিষ্টের দোসর বললে ভুল হবে। সে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একজন কর্মী।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নানসহ সকল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গগণ।
এছাড়াও একই পোস্টে তিনি দুইটি ভিডিও আপলোড করে লিখেন, ১নং ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ) এর সিনি. সহ সভাপতি আরমান নূর এর সাথে ছাত্রলীগের মিছিল ও শোডাউনে দিদার। ২নং ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম বৈশাখে উপজেলা প্রশাসনের হতে প্রাপ্ত উপহার বিশ্বরঙ ফ্যাশন হাউসের রঙিন পাঞ্জাবি পড়ে প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বীরদর্পে উপস্থাপনা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিল বলেন, আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে জানতাম না। ছাত্রলীগের মিছিলে তার ভিডিও দেখার পর তাকে আর উপস্থাপনা করতে দেওয়া হয়নি। পরে আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করা হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে সাংবাদিকদের উপর মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার। তিনি বলেন, সংবাদ হলে কি হবে..? কিছুই হবেনা।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ কর্মীর উপস্থাপনার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে নািসরনগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিনের সভাপতিত্বে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিম আরফিনের সঞ্চালনায় সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার, সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো: রেজাউল ইসলাম,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: দিবাকর ভাট, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো: হাসান জামিল খান,উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সায়না বেগম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান, বুড়িশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী,সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, দাতঁমন্ডল এরফানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইলিয়াছ মিয়া, জামায়াতে ইসলামির প্রতিনিধি অধ্যাপক মো: সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আবদুর সাত্তার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক সবুজ,উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অনাথবন্ধু দাস, গুনিয়াউক ইউপি সচিব মো: শাখাওয়াত হোসেন, চাতলপাড় ইউপি সচিব মো: আলমগীর হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সসদ্যগণ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা নাসিরনগর উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি মাদক-জুয়া,চুরি-ডাকাতি বন্ধসহ আইনশৃংখলা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে অসহায় ও দরিদ্র শতাধিক পরিবারের মধ্যে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৭ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে খাগালিয়া মানব কল্যান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে “গরীব-দু:খীর সাহায্য কর, মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন গড়” এই স্লোগানকে সামনে রেখে নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া নতুন বাজার চত্বরে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রত্যেককে চাল, ডাল, তেল, ছোলা, মুড়ি, পেয়াঁজ ও আলু দেয়া হয়। এ সময় সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ রুহুল আমিন রুবেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলামসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে খাগালিয়া মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আমরা আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সামান্য কিছু সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আশা করি অন্যান্য সমিতি,সংগঠনসহ সমাজের বিত্তবান মানুষ যার যার সামর্থ্য অনুয়াযী এই পবিত্র রমজান মাসে অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। হামলার হাত থেকে রেহাই পায়নি গবাদি পশুও। প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালায় দাঙ্গাবাজরা। আহতের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের কামাল দিঘী পাড়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ফান্দাউক গ্রামের শাহজানের ছেলে রুবেল শাহ একজন মাদক কারবারী। একই গ্রামের আজদন মিয়ার ছেলে শাফায়েত মিয়া রুবেলের কাছ থেকে কিছু ইয়াবা কেনেন। এ নিয়ে কিছুদিন পর পর পাওনাদারদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে, গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে মাদক কারবারি রুবেল শাহ ও শাফায়েতের আত্মীয় পারভেজ মিয়ার মধ্যে মাদকের টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এসময় উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ ৭০ জন আহত হয়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে পশুর হাটে যাওয়ার সময় শাফায়েতের পক্ষের মারুফ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় রুবেল শাহের লোকজন। এসময় দুই পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এতে আরো ৪০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় শাফায়েতের পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠে।
অভিযুক্ত রুবেল মাদকের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বড় ভাই নাইম শাহ পাশের বাড়ির শাফায়েত ও পারভেজের কাছে ৭০ হাজার টাকা পায়। সে টাকা ফেরত চাওয়ায় আমাদের উপর হামলা করে শাফায়েতের লোকজন। দু’দফা হামলায় আমাদের প্রায় ৭০-৮০ জন আহত পরে।
আহতরা হলো-বক্কর শাহা, ফকরুল শাহা, সাফিউল শাহ, সালাউদ্দিন শাহ, আলামিন শাহা, সালমান শাহ, ইয়ামিন শাহ, ইমন শাহ, জাকির শাহ, মেরাজ শাহ, মবিন শাহ, হৃদয় শাহ, লালন শাহ, মহিন শাহ, রায়হান শাহ, নিজাম শাহ, মুন্না শাহ, মুক্তাদির শাহ, মুন্নী শাহ, সজল শাহ, ফয়সাল শাহ, শিফন শাহ, শামীম শাহ, বাদল শাহ, ইধন শাহ, নাজুল শাহ, আলম শাহ, শাকিল শাহ, ইমন শাহ, মাসুক মিয়া, কামরুল মিয়া, নিজাম মিয়া, জুবায়ের মিয়া, শাহনাজ মিয়া, আবদুল্লাহ মিয়া, বক্কর মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, তানভির ফয়সল মিয়া, লীমা বেগম, রাকিবা বেগম, নাসুমা, নাছিমা বেগম, ফারহানা বেগম, লীজা বেগম, কল্পনা বেগম, আকলিমা বেগম, তানজু বেগম, শেলিনা বেগম, খুদেজা বেগম, রাকিবা, সিমু বেগম, সুমাইয়া বেগম, জান্নাত বেগম, ইভা বেগম ও নুসরাত বেগম।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের পর দু’পক্ষের আহত লোকরাই চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। মাদকের টাকা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ফেব্রুয়ারি মাসে পাবলিক লাইব্রেরিতে সর্বাধিক উপস্থিত হয়ে বই পড়ায় ৯ শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরষ্কার তুলে দেন।
পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, বালিকা ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন ছাত্রী শেখ সুমাইয়া ও ঐশী সরকার, যৌথভাবে ২য় হয়েছে ইসরাত জাহান ও হাফসা বেগম এবং ৩য় হয়েছে সুমাইয়া জাহান। বালক ক্যাটাগরিতে প্রথম অময় সরকার, ২য় সৌমক রায়, ৩ যৌথ ভাবে হয়েছে অয়ন সূত্রধর ও অনির্বান দাস।
জানা যায়, আগে উপজেলার লাইব্রেরিতে আগে তেমন পাঠক ছিলো না। জরাজীর্ণ ভবনে নানান রকমের বই থাকলেও গড়ে এক বা দুইজন শিক্ষার্থী এখানে আসতেন। পাঠক ফেরাতে সপ্তাহব্যাপী বই মেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছিলেন লাইব্রেরিতে সর্বাধিক উপস্থিত ব্যক্তি পাবেন পুরস্কার। সেই ঘোষণায় বেড়েছে নাসিরনগর পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠক উপস্থিতি।
এ উপলক্ষে পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম, আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
এ সময় মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি নেই। এটি নাসিরনগরের সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। আমি উপজেলায় যোগদানের পর লাইব্রেরি ভিজিট করতে গিয়ে দেখতে পাই প্রতিদিন পাঠক সংখ্যা খুবই কম। পরে ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম পাবলিক লাইব্রেরিতে যারা সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়বেন, তারা আমার পক্ষ থেকে পুরস্কার পাবেন। পাশাপাশি লাইব্রেরিটি সংস্কার করা হচ্ছে। ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বইয়ের পাঠকদেরকে আমরা পুরস্কৃত করেছি।