চলারপথে ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশে বিদ্যমান ইটভাটার ৬০ শতাংশই অবৈধ। এসব ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
একই প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ মন্ত্রী জানান, সারাদেশে (জুন ২০২২ পর্যন্ত) মোট ইটভাটার সংখ্যা সাত হাজার ৮৮১টি। এর মধ্যে তিন হাজার ২৪৮টি বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বাকি চার হাজার ৬৩৩টি ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৭৭২টি অভিযান পরিচালনা করে তিন হাজার ৩৭টি ইটভাটার থেকে ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৯০৭টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৮০ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সরকারদলীর এমপি এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশেরর শহরগুলোতে দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। আগামী ২০২৫ সালে দৈনিক বর্জ্য ৪৭ হাজারে উন্নীত হবে।
তিনি আরো জানান, কঠিন বর্জ্যের প্রায় ১০ শতাংশ (বর্তমানে তিন হাজার টন) প্লাস্টিকজাত।
সরকারি দলের আরেক এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষি নমুনা শুমারি (শস্য) ২০২০ অনুসারে, বর্তমানে দেশে মোট কৃষি জমির পরিমাণ ২ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৭ হেক্টর। এর মধ্যে চাষযোগ্য এক কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪২ একর। দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ শূণ্য দশমিক শূণ্য দুই শতাংশ হারে কমছে বলে মন্ত্রী জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
বার কাউন্সিলের বেনেভোলেন্ট ফান্ডে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ফান্ড থেকে ৩০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২১ অক্টোবর শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আইনজীবী মহাসমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের কল্যাণ ও বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।
আইনজীবী মহাসমাবেশে সভাপতিত্বে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব শেখ ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ সারাদেশ থেকে আগত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসারী আইনজীবীরা এই মহাসমাবেশে অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আজ ২৩ মে শুক্রবারদুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে লেখা এক পোস্টে এ আহ্বান জানায় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী বলছে, সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর লোগো ব্যবহার করে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী ও জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা চলছে। পোস্টে আরও লেখা হয়, গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না। সত্যতা যাচাই করুন, সচেতন থাকুন। এ পোস্টের সাথে ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিরপুর থানার সাগর হত্যা মামলায় সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের চার দিনের রিমান্ড রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ১৩ মে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানির সময় তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে তোলা হয়।
এ দিন তাকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
খালেদা জিয়ার পরিবারের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ১২ মার্চ রবিবার এ মতামত দেওয়া হয়।
শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে। গত সপ্তাহে তার পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়। এরপর মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেটার সময় শেষ হয়ে আসায় পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। আমরা তাকে আগের মতো দুটি শর্তে সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি করেছি। শর্তগুলো হলো তিনি ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসাগ্রহণ করবেন। হাসপাতালে যেতে পারবেন না-তা নয়, যেতে পারবেন এবং উক্ত সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
খালেদা জিয়া বাসায় থেকে রাজনীতি করতে পারবেন কি-না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে আসা আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। সেক্ষেত্রে রাজনীতি করার প্রশ্নটাই অবান্তর। তিনি মুক্ত, তিনি অসুস্থ, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমার মনে হয়, এখানে রাজনীতির কথা আসার কোনো প্রয়োজন নেই।
আনিসুল হক বলেন, একজন অসুস্থ মানুষ কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, আমি সেই নির্দেশনা দেব না। সবাই স্বীকার করছেন, তিনি অসুস্থ। এটা পরিষ্কার করার কিছু নেই। একটা বাস্তবতা, তাকে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেই আবেদনের মধ্যে প্রথমে থেকেই যে কথাটা কনস্ট্যান্ট ছিল, তিনি গুরুতর অসুস্থ। এজন্য দুই শর্তে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে মুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আবেদনসংক্রান্ত নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এরপর সেখান থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে।
করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ৬ মাস স্থগিত করার পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার কারামুক্তির মেয়াদ ৬ বার বাড়ানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাস ও লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে বিএনপি বরাবরই দাবি জানিয়ে আসছে। এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকেও কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা নাকচ করে দেয় সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ফিরে আসবে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সড়কটি পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তোমরা আসো, কাজ করো- আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। যতো দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করো। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও কথা বলেছেন উল্লেখ করে সচিব মো. এহছানুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে রয়েছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি দেখার জন্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আমাকে পাঠিয়েছেন।’ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার লেন সড়ক প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১০ই আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ এই প্রকল্পের কাজ। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক কিলোমিটার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ যানজটে নাকাল হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।