নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উদ্যোগে আজ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত। পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বশির আহাম্মদ সরকার পলাশ, সদস্য মুরাদ পারভেজ, মনা মিয়া, সেলিনা বেগম, বিদ্যালয়ের সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক কাওসার বেগম এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুরাদ পারভেজ এবং সভাপতি মহোদয় ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেক ষ্টলকে ১ হাজার টাকা করে সম্মানি প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে নিখোঁজের একদিন পর আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার হেলাল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া কৃষি জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। হেলাল মিয়া নবীনগর উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। হেলালের মা পিয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে তার বউ প্রতিনিয়ত মারধর করতো। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। কিভাবে মারা গেলো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার ছেলের মৃত্যুর সাথে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জড়িত থাকতে পারে। হেলালের বোন পারভীন বেগম বলেন, আমার ভাই নবীনগরে ভাড়া বাসায় থেকে ঝাল মুড়ি ফেরি করে বিক্রি করতো। আবার মাঝে মাঝে রিকশা চালাতো। বউয়ের নির্যাতন ও পারিবারিক অশান্তির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, নারায়ণপুর গ্রামে কৃষি জমিতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল করেছে। তিনি আরো বলেন, লাশের দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঠান্ডার কারণে তার শরীর শক্ত হয়ে গেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে আবুল কালাম (৩৫) নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যার’ অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২২ ডিসেম্বর রবিবার উপজেলার বিটঘর মধ্যপাড়া নয়ন সরকারের পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, আবুল কালাম দীর্ঘদিন ধরে বিটঘর মধ্য পাড়ার মৃত রূপ মোল্লার বাড়িতে বাসা ভাড়া থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতেন। তিনি স্থানীয় অলি মিয়ার বাড়িতে কাজ করতে গেলে সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ উঠে। এই অপবাদে জালাল মিয়ার বাড়িতে তাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বেঁধে রাখা হয়। এই অপমান সহ্য করতে না পারে তিনি সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার খোকন মিয়া বলেন, আবুল কালাম আমার বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতেন। শুনেছি মোবাইল চুরির অপবাদ দেয়া হয় তার বিরুদ্ধে। অপবাদ সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সন্ত্রাসী হামলায় জামালপুরের বকশীগঞ্জের ৭১ টিভি ও বাংলা নিউজের নির্ভীক সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুন শুক্রবার শেষ বিকেলে নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নবীনগর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, মাহাবুব আলম লিটন, আসাদুজ্জামান কল্লোল, কান্তি কুমার ভট্টাচার্য্য, তাজুল ইসলাম, মেহাম্মদ হোসেন শান্তি, মিঠু সূত্রধর পলাশ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য টিটন দাস, সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় শীল, সাধারণ সম্পাদক কয়েছ আহম্মেদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন- সাংবাদিক গোলাম রব্বনী সহ ইতোপূর্বে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার বিচারসহ অধিকাংশ সাংবাদিক হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়নি। ধারাবাহিক ভাবে সাংবাদিক হত্যাও নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সকল সাংবাদিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।
সভায় এ হত্যকান্ডের প্রতিবাদে তিন দিন কালো ব্যাজ ধারণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ সেপ্টেম্বর ‘সুরসম্রাট’ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনিই প্রথম বাঙালি, যিনি সর্বপ্রথম পাশ্চাত্যে উপমহাদেশের রাগসঙ্গীতকে পরিচিত করান।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন খ্যাতনামা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ও সরোদবিশারদ। বাবা সঙ্গীতজ্ঞ সবদর হোসেন খাঁ ওরফে সদু খাঁ, মা সুন্দরী বেগম। ছোটবেলায় তার বড় ভাই ফকির (তাপস) আফতাব উদ্দিন খাঁর কাছে সঙ্গীতের হাতেখড়ি। সুরের সন্ধানে মাত্র ১০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যাত্রাদলে যোগ দিয়ে ঘুরে বেড়ান গ্রামে গ্রামে। ওই সময় তিনি জারি-সারি, বাউল, ভাটিয়ালি, কীর্তন, পাঁচালি প্রভৃতি গানের সাথে পরিচিত হন। পরে কলকাতায় গিয়ে প্রখ্যাত সঙ্গীত সাধক গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য ওরফে নুলো গোপালের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বাঁশি, পিকলু, সেতার, ম্যান্ডোলিন, বেঞ্জো ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখেন সঙ্গীত পরিচালক অমৃত লাল দত্ত ওরফে হাবু দত্তের কাছে। সেই সাথে তিনি লবো সাহেব নামে এক গোয়ানিজ ব্যান্ডমাস্টারের কাছে পাশ্চাত্য রীতিতে এবং বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ অমর দাসের কাছে দেশীয় পদ্ধতিতে বেহালা শেখেন। এ ছাড়া হাজারী ওস্তাদের কাছে শেখেন মৃদঙ্গ ও তবলা। ১৯১৮ সালের পর তিনি ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘খাঁ সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করে। আলাউদ্দিন খাঁ ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মাইহারে মদিনা ভবনে মারা যান। রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যু কোনো দিবসই পালন করা হয় না। অপর দিকে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে নামে-বেনামে বেদখল হয়ে যাচ্ছে জমিজমা, বাড়িঘর, নিজ হাতে তৈরি করা মসজিদের জায়গা ও পুকুর। সবমিলিয়ে নিজ জন্মভূমিতেই অবহেলিত উপমহাদেশের সঙ্গীতজগতের কিংবদন্তি ‘সুরসম্রাট’ খ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ – ২০২৩ উপলক্ষে শিউলী পারভীন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কলেজ) নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি নবীনগর মহিলা কলেজের বাংলা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
উল্লেখ্য, তিনি এবারের ন্যায় ২০১৯ সালে ও উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক (কলেজ) নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তিনি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা বিষয়ক ট্রেণিংয়ে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সাথে বিভিন্ন সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে সাধারণ জীবন যাপন করা এই গুণী শিক্ষক সব সময় পেশাগত কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। উল্লেখ্য তার একমাত্র পুত্র শাহরিয়ার শুদ্ধ ও এ বছর নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ স্কাউট (মাধ্যমিক পর্যায়) নির্বাচিত হয়েছে।