নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে কড়ইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবনির্মিত শহীদ মিনারের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফিতা কেটে নবনির্মিত শহীদ মিনারের শুভ উদ্বোধন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক। পরে তিনি অত্র বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আকবর সরকারের সভাপতিত্বে মা সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল সরকার, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল কাইয়ুম, মতিউর রহমান, মনসুর আহম্মেদ ও শিউলী কর, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজ, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম, ইউপি সদস্য বশির আহম্মেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি মায়ের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের মানুষের মতো মানুষ করতে হলে এবং তাদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে মায়েদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি পরিবার থেকে যদি একজন ছেলে মেয়েও মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলা যায়, তাহলেই সেই পরিবার, সমাজ ও দেশ আলোকিত হবে। তাই ভালো ফলাফলের পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক ও মায়েদের প্রতি আহব্বান জানান তিনি। এছাড়াও এসময় তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করে দিবেন বলেও জানান।
বিশেষ প্রতিনিধি :
নবীনগরে আজ ৩ মে বুধবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এসডিজি বাস্তবায়নে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি।
প্রধান আলোচক ছিলেন মো. আখতার হোসেন মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জুয়েনা আজিজ সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ড. মো. কাউসার আহাম্মদ সদস্য সচিব পরিকল্পনা কমিশন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, মো. মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, শিউলি রহমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নবীনগর, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার সহ সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রথম স্বাধীনতার পর সরকারি ভাবে নবীনগর উপজেলায় চারজন সচিব পদমর্যাদার ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে অভীষ্ট লক্ষ্য তা মানুষের কাছে উপস্থাপন করার জন্য একসাথে উপস্থিত হয়েছেন। অতিথিগণ সকলেই এসডিজির ১৮ টি লক্ষ্যমাত্রা তা সুন্দর ও সাবলীল ভাবে সকলের নিকট উপস্থাপন করেন। এসডিজির বাস্তবাবনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে। আমরা সকলেই সমন্বিত ভাবে কাজ করলে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি ত্বরান্বিত করতে সহজ হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এসডিজির ১৮টি গোল্ড বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রথম হওয়ায় জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। গতকাল ২৮ জুলাই রোববার সকালে পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার বসতঘর থেকে তাদের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, সোহাগ মিয়া (৩৩), তার স্ত্রী জান্নাত বেগম (২৫), কন্যা ফাহিমা আক্তার (৪) ও সাদিয়া আক্তার(২)। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শোকের ছায়া নেমেছে পুরো নবীনগরে। সর্বত্রই আলোচনার কেন্দ্র এই একটি পরিবার কীভাবে শেষ হয়ে গেলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের ধারণা স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন সোহাগ। তবে পরিবার ও প্রতিবেশীরা সেটি মানতে নারাজ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার আমির মিয়ার ছেলে ও নবীনগর নিউ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে বিজয় পাড়ার নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে স্ত্রী জান্নাতকে নিয়ে নবীনগরের বাইরে রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বাসায় ফেরেন। রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সোহাগ মিয়া। রোববার সকালে তারা ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাদের সবার মরদেহ দেখতে পান। এরমধ্যে সোহাগ ও এক কন্যার মরদেহ ঘরের তীরের কাঠে ঝুলছিল। স্ত্রী জান্নাত ও অপর কন্যার মরদেহ খাটে পড়ে ছিল।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জের ধরে বা আর্থিক লেনদেনের কারণে সোহাগ মিয়া তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যা শেষে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা জানিয়েছেন সোহাগ অত্যন্ত বিশ্বস্ত একটি ছেলে ছিলেন। তিনি একটি মসজিদের কোষাধ্যক্ষও ছিলেন। তার কাছে টাকা-পয়সা জমা থাকতো। এছাড়াও একটি সমিতির মতো করে আর্থিক লেনদেনের দায়িত্ব ছিল তার কাছে। আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকের সঙ্গেই লেনদেন ছিল তার। লোকমুখে শোনা যাচ্ছে তিনি লেনদেন নিয়ে ইদানিং চাপে ছিলেন। কিন্তু এই কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পারিবারিক অশান্তির কারণেও আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে বলা যাবে এটি আত্মহত্যা না কি হত্যা।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচিন চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পিবিআইয়ের একটি টিম। যেহেতু মরদেহ যে ঘরে ছিল তা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল, তাই কেউ হত্যা করে ভিন্ন উপায়ে দরজা-জানালা লাগিয়ে পালিয়ে গিয়েছে কিনা এসব খতিয়ে দেখছেন তারা। কিন্তু তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা যায় সোহাগ তার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, সোহাগের বড় কোনো লেনদেন ছিল না, যার কারণে সে আত্মহত্যা করবে। সোহাগের স্ত্রী জান্নাতের বড় বোন তাসলিমা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ি পাশাপাশি। সোহাগ অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিল। আমার বোনের সঙ্গে কোনোদিন দেখিনি ঝগড়া বা বকাবকি করতে। তার ব্যবসায়িক কারণে লেনদেন করায় অল্প ঋণ ছিল। তা একেবারে কম। এছাড়া তার সৎ মা এক লাখ টাকা পেতেন। কিন্তু এই কারণে আত্মহত্যা করবে বলে বিশ্বাস করা যায় না। সোহাগের বোন ইয়াছমিন আক্তার বলেন, আমার ভাই ব্যবসা করলে ঋণতো থাকতেই পারে। তার ঋণ ছিল ৪-৫ লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকার জন্য এ ধরনের কাজ করতে পারে না।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে করিম শাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্ষার্থীদের মাঝে আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীকক্ষে শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করার জন্য সুন্দর পড়ার টেবিল এবং স্কুল ব্যাগ বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক জানান, শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি শিক্ষকের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। করোনা মহামারীর কারণে আমরা শিক্ষা অনেক ব্যাথা কষ্ট হয়েছি এখন আমাদের সেই সময় এবং সুযোগ এসেছে আমাদের দক্ষ মানব সম্পদ তৈরীর মাধ্যমে আগামী বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তর করার। তিনি বলেন, তাদের মানুষের মতো মানুষ করতে হলে এবং তাদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আপনাদের শিক্ষকদের পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার থেকে যদি একজন ছেলে মেয়েও মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলা যায়, তাহলেই সেই পরিবার, সমাজ ও দেশ আলোকিত হবে। তাই ভালো ফলাফলের পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রতি আহব্বান জানান তিনি। এছাড়াও এসময় তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করে দিবেন বলেও জানান। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাকিল রেজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল সরকার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস কে হেলাল, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মনসুর আলী, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজ, যমুনা টিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃ শফিকুল ইসলাম, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আবু কাওছার, ডোপা কান্দা প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান খান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া খাতুন।
আলোচনা সভার শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে স্কুল ব্যাগ ও টেবিল প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাত (আনুমানিক ৪০) এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নবীনগর উপজেলার পৌরশহরের মাঝিকাড়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাস জানান, মাঝিকাড়া গ্রামের একটি ডোবায় এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, মরদেহটি কয়েকদিন পানিতে থাকার কারণে সারা শরীরে পচন ধরেছে। মরদেহ সনাক্তের জন্য চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার তিতাস নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১২ মার্চ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ঋষিপাড়া এলাকায় তিতাস নদী নদী থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার জানান, দুপুরে উপজেলার নাটঘর ঋষিপাড়া এলাকায় স্থানীয় জেলেরা তিতাস নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তিতাস নদী থেকে ওই ব্যক্তির লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। তার বয়স আনুমানিক ৫০ হবে।
তিনি আরো জানান, লাশ ৮ থেকে ১০ দিন আগের হবে। লাশের শরীরে পঁচন ধরেছে। নদীর স্রোতে লাশটি কোথাও থেকে ভেসে আসতে পারে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।