আখাউড়া প্রতিনিধি :
তিন টিকেট কালোবাজারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার চর-নারায়নপুরের হিরণ মিয়া (৩৯), পৌর শহরের বড় বাজার এলাকার মজিবুর রহমান (৪৫) ও তারাগন গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩৫)। এর আগে সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ও আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত মোঃ আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ৫১টি আসনযুক্ত টিকেট উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহাত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ধানবীজ বিতরণ করা হয়েছে। রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের মাঝে এ বীজ বিতরণ করা হয়।
আজ ৩০ আগস্ট শুক্রবার উপজেলা কৃষি অফিস এ আয়োজন করে। প্রত্যেক কৃষককে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে রোপা আমন ধানের বীজ দেওয়া হয়।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুমের পরিচালনায় বিনামূল্যে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জাহিদুল হাসান, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ উপজেলায় ১৭৭০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে যায়। ইতোমধ্যে জমি থেকে পানি সরে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বন্যা-পরবর্তী সহায়তা হিসেবে রোপা আমন বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য, কসবা-আখাউড়া আসনের বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী কবির আহমেদ ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, সাবেক অবৈধ আইন মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক ও তার দোসররা আখাউড়ায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। মামলা-হামলা দিয়ে বহু নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছে। আনিসুল হক ও তার দোসরদের বাঁধার কারণে বিএনপির সম্মেলন করতে পারিনি। রক্তপাত এড়ানোর স্বার্থে আমরা তখন সম্মেলন থেকে সরে আসি। ৫ আগষ্টের পর স্বাধীন রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি আখাউড়ার ইতিহাসে একটি নজির বিহীন সফল সম্মেলন করতে পারবো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সম্মেলনের প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও কেন্দ্র ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর বুধবার (২৭ নভেম্বর) আখাউড়ায় উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিগত ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসের ২৯তারিখ সর্বশেষ আখাউড়ায় বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকএর ৪টি পদে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হলেন বর্তমান আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলেন বর্তমান সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া, পৌর বিএনপির সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া ও সদস্য সচিব প্রার্থী মোঃ আক্তার খান। সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করাহয়েছে। সম্মেলনেপ্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক উপস্থিত থাকবে বলে আশা করছে দলটির নেতারা। পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সভাপতি প্রার্থী মোঃ সেলিম ভূইয়া বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বত:স্ফূর্ত ভাবে সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করবে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর সম্মেলন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতনের পর কসবা-আখাউড়ার গণমানুষের নেতা জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহমেদ ভূইয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উৎসব মুখর পরিবেশে বিএনপির সম্মেলন করতে যাচ্ছি। একটি সেরা সম্মেলন করতে পারবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক, নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা, ইভটিজিং, আত্মহত্যা, শিশুশ্রম, স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ, মাদক প্রতিরোধ, নারীর অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছে আখাউড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী ও কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা রুবা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষক মো. আতাউর রহমান, প্রশিক্ষক সৈয়দা জাফরিন সুলতানা মিতু। এর আগে সকালে আখাউড়া মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে একই বিষয়ে সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এবার উপজেলার ৫৩৩ জন কৃষকের কাছ থেকে মোট ১৬৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ টাকা। একজন কৃষক তিন মন থেকে শুরু করে তিনটন পর্যন্ত ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
এ উপলক্ষে সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সজীব কাউসারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুন নাহার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, চলতি মৌসুমে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। উদ্বোধনী দিনে একজন কৃষক ধান দিয়েছেন।
ধান দিতে আসা কৃষক উপজেলার দ্বিজয়পুর গ্রামের তাহের মিয়া বলেন, ‘বাড়িতে বিক্রি করলে লোকসান হয়। বেপারিরা ১১০০ টাকা মন দরের বেশি নিতে চাননা। সরকারের এ উদ্যোগের ফলে তিনি ধান বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব পণ্য আসার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো আমদানীর সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম। আজ ৬ মে শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে স্থাপিত ব্যাগেজ স্ক্যানারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভারত থেকে যে পণ্যগুলো আমদানির সুযোগ আছে সেগুলোর তালিকা দিলে আমরা আমদানির অনুমতি দেব। তবে সব পণ্য আমদানির অনুমতি দিতে গেলে- বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যেসব সুবিধা প্রয়োজন, সেগুলো এখানে নেই। সেজন্য আমরা একসাথে সব পণ্যের জন্য বন্দর খুলে দিতে পারি না।
তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অবৈধ সুবিধা দেওয়া হবে না। এতে যদি বাণিজ্য কমে যায় তাহলে কিছুই করার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতকে নিজ দেশে পণ্য পরিবহনের সুযোগ দেয়ায় বন্দর ও কাস্টমস রাজস্ব পাবে। পরিবহন খাতেও কিছু কর্মসংস্থান হবে। সড়ক ব্যবহারের জন্যও মাশুল পাব আমরা। সর্বোপরি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।
পরে তিনি বন্দর সভাকক্ষে কাস্টমস, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি পরিচালনায় নানা সমস্যাসহ বন্দরসংশ্লিষ্ট বাধাগুলো তার কাছে তুলে ধরেন। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান এসব সমাধানে দ্রæত পদক্ষেপ নেবেন বলে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।
পরে ব্যবসায়ীরা জানান, ৬টি পণ্য আমদানীর অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান এগুলোর অনুমতি দেওয়ার ব্যপারে ব্যবসায়ীদেরকে আশ^স্ত করেছেন।
এসময় এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।