ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিন বাসযাত্রী আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 3 February 2023, 1564 Views,

স্টাফ রিপোর্টার :
ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিন বাসযাত্রী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বাইপাস সড়কের পৈরতলা রেলগেইট এলাকায় ।

banner

আহতরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দেবরাজ রায়ের ছেলে কলেজ ছাত্র সিগ্ধ রায়, একই এলাকার স্বপন বর্মনের ছেলে প্লাবন বর্মন ও অপূর্ব বর্মন। আহতদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহত সিগ্ধ রায়ের বন্ধু আকাশ সরকার ও তন্ময় রায় জানান, ৪৫জন যাত্রী নিয়ে বাসযোগে তারা কিশোরগঞ্জ সদর থেকে চট্টগ্রামে তীর্থ ভ্রমণের জন্য প্রবর্তক মন্দির ও পুন্ডুরি ধামে যাওয়ার পথে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বাইপাস সড়কের পৈরতলা রেলগেইট এলাকায় পৌছে বাসটি ট্রেন যাওয়ার কারণে লেভেল ক্রসিংয়ে আটকা পড়ে।

এ সময় তীর্থ যাত্রী প্লাবন, সিগ্ধ ও অপূর্ব প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য বাস থেকে নামার সাথে সাথে সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ৫/৬ জনের একটি ছিনতাইকারীর দল তাদেরকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে। এতে তারা তিনজন আহত হন।

পরে তাদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনে ভর্তি করা হয়। আহত তিনজনই কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার জানান, পৈরতলা রেলগেইটের স্পটটি দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইয়ের রেডজোন হিসেবে পরিচিত। এর আগেও এই স্থানে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এই স্পটে দূর পাল্লার বাস যাত্রী ও চালকেরা ছিনতাইয়ের কবলে পরছেন।

তিনি একাধিক বাস চালকদের বরাত দিয়ে জানান, গভীর রাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী এনা, শ্যামলী, সৌদিয়া, মামুন, ইউনিক, ও গ্রীনলাইনসহ একাধিক পরিবহনের যাত্রীবাহি বাস পৈরতলা রেলগেইট এলাকায় গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। যার কারণে বেশীর ভাগ সময়ে দূর পাল্লার পরিবহনের চালকেরা বাইপাস সড়ক বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভেতর দিয়ে চলাচল করতো। পরে শহরবাসীর আপত্তির মুখে রাতের বেলা দূর পাল্লার বাস শহরের মধ্যে দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথে কথা বলেন। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বীজ, সার ও গাছের চারা…

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সরাইল Read more

ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়

আল্লামা মাহ্‌মূদুল হাসান : ইখলাস মানুষের দিলে সৃষ্টি হয়। আর Read more

প্রাথমিক তদন্তেই ভুয়া মামলার আসামিরা রেহাই…

অনলাইন ডেস্ক : উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ফৌজদারি কার্যবিধির একটি সংশোধন Read more

গাজীপুরে শফিক, তারিক, পাপনের ১০ তলা…

জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর : গাজীপুর সদরের চান্দনা Read more

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা পরিষদ…

অনলাইন ডেস্ক : বরগুনার পাথরঘাটায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা Read more

ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরো ৮১ ফিলিস্তিনি…

অনলাইন ডেস্ক : গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮১জন ফিলিস্তিনি Read more

কৃষি বীজ সংরক্ষণাগার ভেঙে দোকান নির্মাণের…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি Read more

মিথ্যা মামলা করলে কী কী শাস্তি?

অনলাইন ডেস্ক : দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো মিথ্যা মামলা। Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিস্কার

চলারপথে রিপোর্ট : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা Read more

আখাউড়ায় অবৈধ চায়না রিং জাল ধ্বংস

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তিতাস নদীতে অভিযান পরিচালনা Read more

রেলপথে মাদক পাচার প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশের…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদক চোরাচালান, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ দমন Read more

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিউ শমরিতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাখ টাকা জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 30 January 2024, 818 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের জন্য এক হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

banner

আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় নিউ শমরিতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফ নেওয়াজের নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান সম্পর্কে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের মেডিকেল অফিসার (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মো. আশরাফুর রহমান হিমেল জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে দুপুরে জেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে শহরের মৌলভীপাড়ায় নিউ শমরিতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ওষুধ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়।পাশাপাশি প্যাথলজি পরীক্ষায় অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়।

পরে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফ নেওয়াজ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫২ ও ৫৩ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি তাদের সর্তক করা হয়।

তিনি আরো জানান, জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় হিউম্যান জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অভিযান চলাকালে বন্ধ পাওয়া যায়।প্রতিষ্ঠানটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আসার খবর পেয়ে তালা লাগিয়ে পলিয়ে যায়। তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা, স্বাস্থ্য অফিসের সহকারী সার্জন ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও সদর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত-৩৫, বিদেশী পিস্তলসহ গ্রেফতার ৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 March 2024, 777 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর (বড়গোষ্ঠী ও মহাজোট) লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়েছে।

banner

এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় ৪/৫টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করা হয়।

আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে ৫জন পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩৫জন আহত হন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি ককটেল, ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ মোঃ জসিম উদ্দিন (৩৫) সহ ৮ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করে। অস্ত্রধারী মোঃ জসিম উদ্দিন বিরাসার বড় গোষ্ঠীর মোঃ নূরুল ইসলামের ছেলে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলি করার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিরাসার গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বড়গোষ্ঠীর কাসেম মাস্টার ও চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর আল-আমিনের সাথে একই এলাকার মহাজোট হিসেবে পরিচিত পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারীর গোষ্ঠী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও সৈয়দ আলী মিয়ার গোষ্ঠীর নূরুল্লাহ ও সুজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জেরে সোমবার বিকালে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র রিভলবার এবং ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

আড়াই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট এবং ৪/৫টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় ককটেলের বিষ্ফোরনে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। নারী ও শিশুরা ভয়ে এদিক-সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ সময় পুলিশ গুলি করার সময় একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ বড়গোষ্ঠীর মোঃ জসিম উদ্দিন-(৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আরো ৭ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।

সংঘর্ষের সময় ইটপাটকেলের আঘাতে সময় টিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের ব্যুরোচীফ উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মোঃ সোহেল সহ ৫ পুলিশ সদস্য এবং উভয় পক্ষের আরো ৩০ জন আহত হয়।

আহতরা পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়।

এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, জুয়া খেলার ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সোমবার সংঘর্ষের বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। তিনি বলেন, বিরাসার গ্রামের কয়েকটি গোষ্ঠী এই সংঘর্ষে জড়িত হয়েছে। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বড়গোষ্ঠীর নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মোঃ বাবুল মিয়ার সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল নাম্বারে-০১৭১১-৪৬৪৪৮৫ চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও আনসারী গোষ্ঠীর নেতা মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী বলেন, মঙ্গলবার সকালে বড়গোষ্ঠীর আহত একজন মারা গেছেন এমন গুজব তুলে বড়গোষ্ঠীর দাঙ্গাবাজরা মহাজোটের লোকদের বাড়ি-ঘরে হামলা করলে সারা গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, সংঘর্ষ এখন নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয় এবং ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে গুলি করার সময় একটি বিদেশী পিস্তলসহ ৫ রাউন্ডগুলিসহ মোঃ জসিম উদ্দিন নামে এক অস্ত্রবাজকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

লিচু খেয়ে এক পরিবারের ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 7 June 2023, 1248 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচু খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন এক পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজন। তাদের ৬ জুন মঙ্গলবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করানো হয়।

banner

অসুস্থরা হলেন- সঞ্জিত ঋষি (২৫), অনামিকা ঋষি (৩০), সোহাগ ঋষি (১২), সিধু ঋষি (৮) ও স্মৃতিরানী ঋষি (৫)। তারা সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের কাশিনগরের বাসিন্দা।

অসুস্থ সঞ্জিত ঋষি জানান, দুপুরে শহরের কালাইশ্রীপাড়ার এক হকার থেকে ১৫০ টাকায় ৫০টি লিচু কিনেন। দুপুর ১টার দিকে বড়ভাবিসহ তার মেয়ে ও ভাতিজারা লিচু খান। এক পর্যায়ে প্রচুর পেট ব্যথা ও বমি হয় সবার। তাদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, লিচু খেয়ে পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। লিচুতে কেমিক্যাল অথবা ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হতে পারেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ হয়ে শিশুসহ পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে।

জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে উদীচীর মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 6 September 2024, 423 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে মানববন্ধন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

banner

আজ ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় শহরের আধুনিক পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সংসদের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট নাসির প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা যাবে না। এই গানের মধ্যে আবেগ আছে, ভালোবাসা আছে, দরদ আছে, দেশপ্রেম আছে। এই গানের জন্ম হয়েছে পূর্ব বাংলার শিলাইদহে। এই জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সুরে-সুরে আকাশ, বাতাস, প্রকৃতিকে নিয়ে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ দেশ প্রেমের এই সঙ্গীত রচনা করেছেন। ১৯৭১ সালের আগেও এই গান গেয়েছি আমরা। এই গানের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। আজকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পর্যন্ত আমাদের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসা আছে। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ভাদুঘরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 8 September 2024, 414 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

banner

আজ ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাদুঘর দারুচ্ছুন্নাহ (ডিএস) কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ একরাম হোসেনের অপসারণের দাবিতে দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

এসময় মাদরাসার শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ অভিযোগ করেন, পরীক্ষার ফি দুই-তিনগুন বেশি নিয়ে অধ্যক্ষ আত্মসাত করেছেন। ১৪ বছর যাবত উপাধ্যক্ষ নিয়ে দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শান্তা আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ একরাম হোসেন সব মেয়েদের হিজাব খুলে পড়াশোনা করতে চাপ প্রয়োগ করতেন। অথচ আমি খ্রিস্টানদের একটি স্কুলে পড়াশোনা করে এসেছি। কিন্তু সেখানে পর্দার ব্যাপারে কোন বাধা ছিলনা।