আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারতে মাছ রপ্তানী শুরু হয়েছে। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ১০ টি পিক-আপে করে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের মূল্যমানের ৬৫ টন মাছ রপ্তানী হয়েছে। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ফেসাই) খাদ্য নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে আগরতলা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত এক মাসের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। হঠাৎ মাছ রপ্তানী বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের রপ্তানীকারকসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারীরা। এদিকে আগরতলায় মাছের চাহিদা থাকায় সেদেশের ব্যবসায়ীরাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। পরে রাজ্য সরকারের অনুরোধে কেন্দ্রীয় সরকার এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানীর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ফলে বন্দরের আমদানী-রপ্তানীকারকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। অবশেষে আবারও মাছ রপ্তানী শুরু হলো। কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে এসছে বন্দরে।
স্থল বন্দর ও মাছ রপ্তানীকারক সূত্রে জানা গেছে, ত্রিপুরা রাজ্যটি বাংলাদেশী মাছের উপর নির্ভরশীল। এ বন্দর দিয়ে প্রচুর মাছ রপ্তানী হয় ভারতে। ১ ফেব্রুয়ারী হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় সরকার এক মাসের জন্য আখাউড়া স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে মাছ আমদানী বন্ধ করে দেয়। এর ফলে গত ১, ২ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ৩ দিন এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানী বন্ধ থাকে। পরে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানীর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে স্বস্তি ফিরে আসে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে। সোমবার ৬৫ মেঃ টন মাছ ভারতে রপ্তানী হয়েছে। যার মূল্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। রপ্তানী হওয়ার মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতল, পাবদা, পাঙ্গাস, পুটি, বিগ্রেট, ও মৃগেল ইত্যাদি।
আখাউড়া স্থল বন্দরের মাছ রপ্তানীকারক মোঃ শাহনেওয়াজ মিয়া শানু বলেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে এ বন্দর দিয়ে ভারতে তিন দিন মাছ রপ্তানী বন্ধ ছিল। গতকাল ভারতের চিফ কমিশনারের কাছ থেকে মাছ রপ্তানীর অনুমতি পেয়েছি। আজ থেকে মাছ রপ্তানী শুরু করেছি। আজ প্রায় ২ কোটি টাকার মূল্যের ৬৫ মেঃ টন মাছ রপ্তানী হয়েছে। মাছ রপ্তানী না হলে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে দেশ বঞ্চিত হতো।
আখাউড়া স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাবুল বলেন, রোববার কেন্দ্রীয় সরকার এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানীর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মাছ রপ্তানী শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। আজ এক লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের মাছ রপ্তানী হয়েছে। এতে ডলারের সংকটকালে দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া খাদ্য নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখেন ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে দু দেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনার মাধ্যমে ও রাজ্য সরকারের অনুরোধে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ফেসাই) এই বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। আজকে প্রায় ৬৫ মেঃ টন মাছ ভারতে রপ্তানী হয়েছে। মাছ রপ্তানি শুরু হওয়ায় বন্দরে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে একটি হেলথ ডেস্ক খোলা হয়েছে। ভারতের আগরতলা হয়ে বাংলাদেশে আসা প্রত্যেক পর্যটককে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মীরা পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। গত ৭ জুন থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.এম. রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খানকে সঙ্গে নিয়ে স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কার্যক্রম দেখেন।
স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বৃদ্ধির ফলে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। তাছাড়া গলা ব্যাথা, সর্দি, কাশি আছে কিনা জানতে চাই। তাদেরকে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিই। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। প্রতিদিন ৭০-৮০ জন পর্যটক বাংলাদেশে আসে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি. এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিদর্শনা অনুযায়ী ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। তাদের কার্যক্রম সন্তোষজনক। এখানে আমরা কিছু যাত্রীকে বিনামূল্যে মাস্ক দিয়েছি। এছাড়াও এ বিষয়ে সরকারের যে নির্দেশনা রয়েছে আমরা তা যথাযথভাবে প্রতিপালন করবো।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান বলেন, সম্প্রতি আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে একটি স্ক্রিনিং বুথ খোলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখানে স্বাস্থ্য কর্মীরা ভারত থেকে আসা পর্যটকদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। পাশাপাশি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুই শিফটে দুজন করে স্বাস্থ্য কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোভিড রোগীর জন্য।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদেশি কূটনীতিকদের গাড়িবহরে হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। কূটনীতিকদের কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের নিরাপদে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ২২ সেপ্টেম্বর রোববার কূটনীতিকরা আফগানিস্তানের সীমনান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের একটি পর্যটন এলাকায় ভ্রমণ করছিলেন। সংশ্লিষ্ট এলাকাটিতে তালেবানদের একটি ঘাঁটি রয়েছে বলে জানা গেছে। ওই গাড়িবহরে ১২টি দেশের কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনেরা ছিলেন। গাড়িবহরটি সোয়াত জেলার মালাম জাব্বায় পর্যটন স্পট এবং পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করার সময় হামলার শিকার হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং আরো তিনজন আহত হন। সোয়াত জেলার পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুল্লাহ খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কূটনীতিকদের গাড়িবহর পুলিশ প্রটোকলের মাঝে অবস্থান করছিল, তবে সামনে থাকা পুলিশ ভ্যানটিতে সরাসরি বোমা আঘাত হানে। এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একটি বড় দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
হামলায় হতাহতের বিষয়ে মুহাম্মদ আলি খান বলেন, নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম বুরহান। অন্যদিকে আহতরা হলেন- পুলিশের উপপরিদর্শক সার জামিন, কনস্টেবল হাবিব গুল ও আমানুল্লাহ। ১২টি দেশের কূটনীতিকদের একটি কাফেলা ওই এলাকা পরিদর্শনে বেড়িয়েছিলেন। এই কাফেলায় ছিলেন, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া, পর্তুগাল, কাজাখস্তান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, জিম্বাবুয়ে, রুয়ান্ডা, তুর্কমেনিস্তান, ভিয়েতনাম, ইরান, রাশিয়া এবং তাজিকিস্তানের কূটনীতিকরা। তারা সবাই নিরাপদে ইসলামাবাদে ফিরে আসেন। কূটনীতিকরা পর্যটন, হস্তশিল্প এবং রত্নশিল্পের প্রচারের জন্য স্থানীয় চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে যাচ্ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাফেলাটিকে প্রটোকল দিয়ে নিয়ে যাওয়া স্কাউট পুলিশের গাড়িতে একটি আইইডি বোমা আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি হামলার নিন্দা করেছেন এবং পুলিশ সদস্যদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সোয়াত উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী উগ্র বিদ্রোহীদের কেন্দ্রস্থল। সরকারের সাথে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পরে, ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে সেখানে উগ্রপন্থীরা তাদের হামলা জোরালো করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ঘটনায় প্রায় ৯৩০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা কর্মী। এছাড়া প্রায় ২,০০০ জন আহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ-ভিত্তিক পাক ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আগস্টে, উগ্রপন্থীদের টানা দুই দিনের হামলায় কমপক্ষে ৮৪ জন নিহত হয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরো ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ১৪ মে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলেছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরো ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ হাজার ৯২৮ জনে পৌঁছেছে বলে ১৪ মে বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ১২৫ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৬ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৭ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এ হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, তাদের যুদ্ধবিমান সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতি অনুসারে, সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘সামরিক অবকাঠামো’, হুদাইদাহর উপকূলীয় শহরের বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং আল-দাইলামি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়েছে।
ইসরায়েল এর এ হামলার পেছনে কারণ হলো হুথিদের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। গত সপ্তাহে ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের তেল আবিবে আঘাত করে। এতে একটি পার্কে পড়ে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কাচ ভাঙার কারণে ১৬ জন সামান্য আহত হন।
ইসরায়েলি জরুরি চিকিৎসা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানায়, কাচ ভাঙা থেকে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুরক্ষিত স্থানে যাওয়ার সময় আরো ১৪ জন আহত হন।
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র দাবি করেন, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল হুথি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালায়।
এদিকে হুথি পরিচালিত গণমাধ্যম আল-মাসিরা বিমান হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, হুথিদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতেই এই অভিযান।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হুথিরা ইসরায়েলের ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। ইসরায়েল মাঝে মাঝে পাল্টা হামলা চালালেও সম্প্রতি হামলার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলা ইয়েমেনে হুথিদের সামরিক কার্যক্রমকে দুর্বল করতে চালানো হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন এই আপনারা যে কাজটি করেছে এই কাজটি এই বাংলাদেশে আমরা বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। এই কারণে আপনারা হলেন শ্রেষ্ঠ সন্তান।
আজ ৩ মার্চ শুক্রবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের আয়োজনে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের সভাপতি আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আরও বক্তৃতা করেন সুপ্রিম রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন আমি যখন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলাম চেয়ারম্যান হিসেবে তখন আমার মনে পড়ত আমার সামনে মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষী দিচ্ছে। আমার কোর্টে বিচার হয়েছে আলী আহসান মোজাহিদ, মীর কাশেম আলী, এইচ এম কামরুজ্জামান, মাওলানা ইউসুফ। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা জিনিস আমি লক্ষ করেছি তারা কখনো সাক্ষী দিতে গিয়ে বাড়িয়ে কথা বলতে না। তারা বলেছে আমি এইটুকু করেছি।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন আমরা ৫ম সংশোধনী মামলায় বলেছি জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেব, খন্দকার মোশতাক তারা যে কাজটি করেছিল এই কাজটি ছিল বেআইনী কাজ ছিল। ৫ম সংশোধনী মামলা তখন বিচারপতিরা বলেছেন অবৈধ। এবং বলেছেন ৫ম সংশোধনী মামলায় যতগুলো কাজ হয়েছে সেগুলোও ছিল অবৈধ। তারা আরও বলেছেন সায়েম সাহেবের ক্ষমতা দখল ও আহরণ ছিল বেআইনী। জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখল বেআইনী ছিল। এই বেআইনী কাজটি তারা জাজম্যান দিয়ে বলেছেন বেআইনী। একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনীর সাহায্যে করেছে এইটাও ছিল বেআইনী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আবেগের তারনায় হোক বা বঙ্গবন্ধুর মায়ার কারণেই হোক যারা অস্ত্র হাতে নিয়ে এই বেআইনী কাজের প্রতিবাদ করেছে ও একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্ত্র দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে একটি অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে জারি করেছিল। তাদের বিরোধে যারা অস্ত্র ধরে ছিল, তাদের সেই দিনের এ্যাকশন আর আমাদের ৫ম সংশোধনী মামলায় সুপ্রিমকোর্ট যে কথা বলেছেন। কাজ তো একটায়। আমরা কলমে করেছি। আর তারা অস্ত্র হাতে নিয়ে চেষ্টা করেছে।