আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর এলাকার লাল বাজার ভূমি অফিসের সামনে থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পথচারীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই যুবককে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এক রিকসাচালক তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার জন্য তার রিকসায় তুলেন। পরে রিক্সাচালক তাকে লাল বাজার এলাকায় রাস্তায় রেখে চলে গেলে সেখানেই সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, ওই যুবকের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বার্ষিক বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাবেয়া আক্তার, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব মোঃ সিরাজুল হক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন, পৌর সভার প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর বাবুল মিয়া, একাডেমিক সুপারভাইজার কফিল উদ্দিন, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কমিটির সভাপতি কাজী মোঃ তারেক, জাহানারা হক মহিলা কলেজের প্রভাষক সুভাষ সাহা, কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা কামাল আহাম্মদ খান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য ও প্রাক্তন ছাত্র আসাদুজ্জামান খোকন, আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এর সাধারণ সম্পাদক ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সাংবাদিক জালাল হোসন মামুন প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক অলক চক্রবর্তী ও মোঃ শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথি ও বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য হাজী আব্দুর রহিম মিয়া, সাংবাদিক মফিকুল ইসলাম সুহিন, মোহাম্মদ আবির, হাসান মাহমুদ পারভেজসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি আজ ১৯ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০ টায় হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃতে আখাউড়া উপজেলা এসেছে। এই মিছিল বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবে। কর্মসূচি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে।
কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, ভারত সব সময় সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে, গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বি এস এফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বি এস এফ হত্যা করেছে, ১১৮৩ জন আহত হয়েছে।
আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের আভান্তরিন যুদ্ধে মটারসেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি। তিনি আরোও বলেন, বাংলদেশের জনগন সব সময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি, হতে পারে এরা গরু চোর বা চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।
হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আর্ত মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
হানিফ বাংলাদেশী বলেন এই কর্মসূচিতে আমারা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচি অংশ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
আখাউড়ায় এক প্রবাসীর বাড়িতে এসি লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হুজাইফা (২৫) নামে এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে পৌর শহরের খড়মপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হুজাইফা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামের মো. বুলবুল মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার খড়মপুর দক্ষিণপাড়ার প্রবাসী মো. জহির খাদেমের বাড়িতে এসি মিস্ত্রি হুজাইফা কাজ করতে যান। রুমের মধ্যে এসি লাগানোর পর এতে সংযোগ দিতে গেলে অসাবধানতাবশত তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে খোঁজ নিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থার তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ৩০ জুন রোববার বিকালে জেলার সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার আখাউড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে গিয়ে অব্যবস্থাপনা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখতে পেয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করেন এবং বিষয়টি ভিডিও কলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হককে দেখালে মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। দায়িত্ব পেয়ে রোববার তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তদন্ত করেন। পরে বিকালে সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলী আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। রিপোর্টে বড় কোন অব্যস্থাপনা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে স্টোর না থাকায় নিলামযোগ্য মালামালগুলো হাসপাতালের ভেতরে রাখা হয়েছিল। এজন্য দেখতে খারাপ লাগছিল। শিগগিরই এগুলো নিলাম দেওয়া হবে। ওই দিন হাসপালের রোগীদের খাবার দেওয়ায় বিলম্ব এবং নিম্নমানের খাবার সরবরাহের বিষয়ে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. কামাল ভূইয়াকে চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজ বাড়ি টনকী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টনকী গ্রামের মৃত আমির উল্লাহ ভূইয়ার ছেলে মো. মুজিবুর রহমান শাহীন বাদী হয়ে কামাল ভূইয়াসহ ছয়জনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে কামাল ভূইয়ার পরিবারের দাবি, এমন (চাঁদা দাবির) কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুজিবুর রহমান (শাহীন) চাকরির সুবাদে বহু বছর স্বপরিবারে ঢাকায় থাকতেন। এ সুযোগে কামাল চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য বিবাদীরা মুজিবুর রহমান ও তার ভাইদের ভূমি ও পুকুর দখল করে রাখেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি মুজিবুর রহমান নিজ বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করেছেন। দখলকৃত ভূমি ছেড়ে দিতে বলায় শাহীনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিবাদীরা। বৃহস্পতিবার বিকালে শাহীন বিরোধপূর্ণ ভূমি দেখতে গেলে খবর পেয়ে কামাল ভূইয়াসহ অপর বিবাদীরা এসে শাহীনের ওপর হামলা করে মারধর করেন। চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে শাহীনকে উদ্ধার করেন। এসময় জায়গা ফেরত নিতে হলে কামাল ভূইয়াকে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, কামাল ভূইয়াকে শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় আর কাউকে আটক করা যায়নি।