’মাদককে না বলি’ শ্লোগান নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে সোনালী লাইফ হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ২০২৩। দেশ-বিদেশের ২৫০ জন দৌড়বিদ এতে অংশগ্রহন করবেন। যার মধ্যে ভারত, জাপান, রাশিয়া এবং নেপালের ৬ জন দৌড়বিদ রয়েছেন।
এ উপলক্ষে আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে এক প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ। এতে কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির কর্ণধার দিলারা আক্তার খানমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক এ, জেড, এম আরিফ হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, কলেজেরসহযোগী অধ্যাপক খালিদ হোসেন খান, মোশারফ হোসেন, ট্রাফিক অফিসার অবচ্যুতদাস গুপ্ত, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ইব্রাহীম খান সাদত ও সোনালী লাইফের কর্মকর্তা এমদাদুল হক। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান ম্যারাথন দৌড় সম্পর্কে সার্বিক বিষয় তুল ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ রাজন মিয়া ওআলী আহাদ রতন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ২০২২ সালে স্থানীয়ভাবে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম বৃহৎ পরিসরে এ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে সকাল ৬টায় শুরু হবে এ হাফ ম্যারাথন। যেখানে ২১.১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৭৭ জন, ১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৮৪ জন এবং ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৮৯ জন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন শুরু হওয়া ম্যরাথন দৌড় শিমরাইলকান্দি শেখ হাসিনা রোড, চর ইসলামপুরের গঙ্গানগর হয়ে আবার শিমরাইলকান্দি ব্রীজে এসে শেষ হবে। দৌড়কে সুস্থতার হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) মোঃ শফিকুর রহমান ৪ সদস্যদের এ কমিটি গঠন করেন।
আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেককে কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন রেলওয়ের নিরাপত্তার বাহিনীর একজন সহকারী কমাডেন্ট, একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং একজন সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে ডিআরএম (ঢাকা) বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করার সময় ধার্য্য করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক।
জানা যায়, ১০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) বার্ষিক ওরশ শুরু হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মাজার শরীফের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট বাইপাস রেলপথ দিয়ে ভক্ত-আশেকানরা মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় ঢাকাগামী আন্ত:নগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন রেলওয়ে সেতু অতিক্রম করার সময় ট্রেনের থাক্কায় এবং নদীতে ছিটকে পরে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতে ২ জন এবং পরদিন (শুক্রবার) সকালে এবং দুপুরে নদী থেকে আরো দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
নিহতরা হলো নরসিংদী জেলার মাধবদি থানার নোয়াকান্দি গ্রামের গাজী মিয়ার পুত্রে শুকুর মিয়া (৬০), একই জেলার পলাশ উপজেলার মোতালেব মিয়ার পুত্র মোজাম্মেল, (২০), নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলার চিলকান্দি গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেরে মতি ভূইয়া (৫৫)। অপর ১ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম নামে আহত হয়।
ট্রেনের গতি বেশি থাকায় সেতু পার হতে না পারায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। সেতুর দুই পাশে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা কর্মী থাকলে হয়তো এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাড়াহুড়া করে পারাপার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে ছিটকে পড়ে ৪ জন নিহত হয়েছে।
জানতে চাইলে আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক বলেন, দুর্ঘনার দিনই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আজ ১২ আগস্ট শনিবার দুপুর থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবো।
তিনি আরো বলেন, মাজার শরীফের ওরশ উপলক্ষে যেহেতু বেশি লোকের সমাগম হয় সেজন্য এসএসওয়ে/আখাউড়া ট্রেন চালককে মাজার এলাকায় হর্ন দিয়ে দেখে শুনে যাওয়ার জন্য ওরশের একদিন আগে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ আগস্ট দিনগত মধ্যরাত পর্যন্ত ওরশ চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় এলাকাবাসীর উদ্যোগে আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার বাদ আছর মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ১২তম ইসলামী মহাসম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত মাহফিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া’র মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন শায়খুল ইসলাম কুতুবুল আলম আল্লামা সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর সুয্যেগ্য দৌহিত্র আওলাদে রাসুল (সা.) ভারত দেওবন্দ এর আল্লামা সাইয়্যিদ মওদুদ মাদানী দা. বা.।
সহ-সভাপতিত্ব করবেন শেরপুর মীর শাহবুদ্দীন রহ: মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক এবং মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় জামে মসজিদের খতিব মুফতী তাফাজ্জুল হক।
বিশেষ অতিথি থাকবেন নরসিংদী রায়পুরা জামিয়া ইসলামিয়া নুরুল উলুম পান্তশালা এর শায়খুল হাদিস ও ছদর আল্লামা হযরত মাওঃ হাফেজ এনায়েতুল্লাহ্ নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদের খতিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতী সিবগাতুল্লাহ নূর।
প্রধান আকর্ষণ থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া উম্মুল কুরা এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হাফেজ মুফতী উবায়দুল্লাহ মাদানী।
বিশেষ বক্তা থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আল বাতুল মাদ্রাসার মুফতী তোফায়েল আহমদ নোমান।
বিশেষ মেহমান থাকবেন মধ্যপাড়া দারুল ফিকরিল ইসলামী তাহ্ফিযুল কুরআন মাদ্রাসা (দিঘীরপাড়) এর প্রতিষ্ঠাতা মুজাম্মেল হক (আজাদ মোল্লা)।
মাহফিল পরিচালনা করবেন হা. মাও: খালেদ সাইফুল্লাহ, হা. তাহ্সিন আহমদ, হা. খালেদ সাইফুল্লাহ্।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মরণানুষ্ঠান ও ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আরিফের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১ এপ্রিল সোমবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ মিলনায়তন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের উদ্যোগে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠন পরিচালক মো মনির হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক সুজন সরকারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশিষ্ট সংস্কৃতিসেবী অ্যাড. নাসির মিয়া, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবদুর রহিম, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার সভাপতি কবি আমির হোসেন, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ পার্থ তলাপাত্র, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি আবুল বাসেত, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, কবি শৌমিক সাত্তার, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজন, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসীর।
এসময় হাসান আরিফ, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি মো আতিকুল ইসলাম, আবৃত্তিশিল্পী শরীফ মুহাম্মদ সাঈম, কন্ঠশিল্পী জুমানা কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী ও কিশোরীকে জরায়ু মুখ ক্যান্সারের টিকা দেয়া হবে। ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রথম ডোজের এইচভিপি টিকাদান কর্মসূচি। কিশোরী ও মাতৃমৃত্যু ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে সিভিল সার্জনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া বলেন, জেলার নয়টি উপজেলা ও পৌরসভার ২৪৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণরত এক লাখ ৯১ হাজার ২০৬ জন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে একটি করে ডোজ দেয়া হবে। পরবর্তীতে ৩০৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যালয় বহির্ভুত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি ১১ হাজার ২২৮ জন কিশোরীকে টিকা দেয়া হবে।
এ সময় আরো বলা হয়, টিকার জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধন দিয়ে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে নিজের বিদ্যালয়ের নাম খোঁজে পাওয়া না গেলে, নিকটস্থ বিদ্যালয়ের নামে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে। টিকাকার্ড প্রিন্ট করে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শোভন চন্দ্র সাহা।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রোনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনজিও সংস্থা আশার উদ্যোগে খেলাপী হ্রাস ও ঝুঁকি নিরসনে বিএম’র করণীয় শীর্ষক কর্মশালা আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কর্মশালায় আশার সকল ব্রাঞ্চ ম্যানেজারগণ অংশ গ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন আশার হবিগঞ্জ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার ফ্যাসিলিটেটর সহায়ক একে.এম তারেক, সিনিয়র ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
কর্মশালায় খেলাপী বৃদ্ধকরণ, ঝুঁকিমুক্ত ঋণ বিতরণে করনীয়, ব্রাঞ্চ টেকসই উন্নতিকরণ, মানি লন্ডারিং, সার্বিক উন্নতি করণীয় ও কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।