নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে ভয়াহব অগ্নিকান্ডে ৫টি ঘর ভস্মীভ‚ত হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত রাতে ৯টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভোলাউক গ্রামের হাজী বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নাসিরনগর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।স্থানীয়রা বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভোলাউক গ্রামের হাজী বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনে বাড়ির ২টি রান্নাঘর এবং ৩টি বসতঘর সম্পূর্ন পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, হাজী বাড়ির ইমান উদ্দিনের ঘরের বৈদ্যুতিক লাইট বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়।
অগ্নিকান্ডে বসির আহমেদের ঘরে থাকা নগদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, ডেকোরেটার্স ব্যবসায়ী মিনহাজ মিয়ার ঘরে থাকা নগদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও ইমান উদ্দিনের ঘরে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ভস্মীভ‚ত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১০ মার্চ সোমবার দুপুরে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা গ্রামে ফুটবল খেলা নিয়ে ফকির গোষ্ঠীর বাবুর সঙ্গে একই গ্রামের মোল্লাবাড়ি গোষ্ঠীর আকাশের ঝগড়া হয়। এ নিয়ে রোববার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ফকির গোষ্ঠী ও মোল্লাবাড়ি গোষ্ঠীর লোকজন। এরই জেরে সোমবার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দুই গোষ্ঠীর লোকজন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানায়, মোল্লা গোষ্ঠীর মো. সাজু ও ফকির গোষ্ঠীর আহাদ মিয়ার নেতৃত্বে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম বলেন, ফুটবল খেলা নিয়ে চাপরতলা গ্রামে মোল্লা গোষ্ঠী ও ফকির গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘গাছের হেলথ কার্ড’ কথাটি শুনলেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে-এটি আবার কী?
কিন্তু বাস্তবেই শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো গাছের হেলথ কার্ডের প্রবর্তন করেছেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।ব্যতিক্রমী এ হেলথ কার্ডে গাছের নাম, রোপণকারী শিক্ষার্থী নাম, রোপণের তারিখ ও পরিদর্শকের স্বাক্ষর দেওয়ার জায়গা রয়েছে।
আজ ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া দুই শতাধিক গাছের ছাড়া তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক তালুকদার।
নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলদ, বনজ ও ঔষধিজাতীয় প্রায় ৬ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা রোপণকৃত এ গাছ পরিদর্শন করবেন এবং গাছের হেলথ কার্ডে স্বাক্ষর করবেন। সমষ্টিক মূল্যায়ন হিসেবে শিক্ষার্থীরা পাবে পাঁচ নম্বর। মূলত গাছে পরিচর্যা নিশ্চিত করার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, ইউএনও স্যারের কাছ থেকে গাছ পেয়ে আমরা অনেক খুশি। সঙ্গে একটি গাছের হেলথ কার্ড দেওয়া হয়েছে। যেটি আমরা সংরক্ষণ করে রাখব। ফলে গাছটির প্রতি আমাদের আলাদা আগ্রহ থাকবে।
চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক তালুকদার বলেন, অনেক সময় আমরা শিক্ষার্থীদের গাছ দিলে বাড়ি নিয়ে লাগানোর পর আর পরিচর্যা নেয় না। গাছের হেলথ কার্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের মনে থাকবে যে এটি দেখতে আমার শিক্ষক আসবে, ফলে গাছটির সঠিক পরিচর্যা করবে।
সাংবাদিক বরুণ কান্তি সরকার বলেন, এটি আসলেই একটি ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল উদ্যোগ। এর আগেও তিনি অমর একুশে বইমেলা ও পবিত্র কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, পৃথিবীকে রক্ষায় আমাদের যে আন্দোলন তার একটি পদক্ষেপ এটি। আমাদের এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার জন্য বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা নিয়ে গিয়ে আর যত্ন নেয় না। গাছের হেলথ কার্ডের ফলে আমার ওই শিক্ষার্থী গাছটি যত্ন নেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বজ্রাঘাতে ৮ বছরের শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১১ মে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় পৃথক তিন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা নাসরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলো: চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের জাকিয়া আক্তার (৮), গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের শামসুল হুদা (৭০) এবং ধান কাটতে আসা মৌসুমি শ্রমিক রাজ্জাক মিয়া (৪০)।
নাসিরনগর ইউএনও শাহিনা নাসরিন বলেন, বজ্রপাতে একদিনে তিনজনের মৃত্যুর খবর খুবই মর্মান্তিক। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জনগণকে আরো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম জানান, নিহতদের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৩‘শ দু:স্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
৮ এপ্রিল সোমবার সকালে “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে “গোকর্ণ হিতৈষী সংঘ” নামে একটি সেবামূলক সংগঠনের উদ্যোগে গোকর্ণ সৈয়দ পাড়ার লায়ন সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফের বাড়ি প্রাঙ্গণে এসব ঈদ সমাগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো পোলার চাল, সরু ভাতের চাল, চিনি, তেল, পিয়াঁজ, আলু, লবন, সেমাই ও দুধ। অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ভূপাল দত্ত চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঈদ সামগ্রী বিতরণের উদ্বোধন করেন গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন। এসময় সাবেক উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা ও “গোকর্ণ হিতৈষী সংঘ” এর সভাপতি সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল, সৈয়দ আশরাফ আনোয়ার টিটু, সৈয়দ জাজ্ঞা বীরসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
“গোকর্ণ হিতৈষী সংঘ” এর সভাপতি সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল জানান, এলাকার কৃতি সন্তান লায়ন সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফ, ডা: গৌতম পদ সৌম, ডাঃ সৈয়দ ইসরার কামাল, মিসেস সৈয়দা নাসিম, সৈয়দ আলী রেজাসহ আরো অনেকের সহযোগিতায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও ৩‘শ পরিবারের মাঝে হিতৈষী সংঘের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের পীরে কামেল মোকাম্মেল হযরত শাহসূফী আলহাজ্ব সৈয়দ আবদুস ছাত্তার নকশে বন্দী (রঃ) ও পীরে কামেলে মোকাম্মেল হযরত শাহসূফী সৈয়দ নাছিরুল হক (মাসুম) নকশে বন্দী মোজাদ্দেদী ফান্দাউকী (রঃ) দ্বয়ের বার্ষিক ইছালে ছওয়াব উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ফান্দাউকের সভা আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বাদ ফজর নামাজের পর আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আহ্মাদ (মামুন)।
ফান্দাউক দরবার শরীফের সভায় লাখো মুসল্লির অংশগ্রহনে মুখরিত প্রায় ৩৫ মিনিট মোনাজাতে মুসলিম উম্মার ঐক্য কামনাসহ দেশ ও জাতির স্বার্থে ঐক্যের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে দেশ প্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে পরম করণাময় আল্লাহর দরবারে শান্তি কামনা করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মাহফিলে দরবার শরীফের আওতায় পরিচালিত প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার ৫জন ছাত্রকে পাগড়ি প্রদান করা হয়। এছাড়াও মাহফিলস্থলে ফান্দাউক দরবার শরীফের ছোট সাহেবজাদা সৈয়দ বাকের আহমদকে (আকদ) বিবাহ পড়ানো হয়।