স্টাফ রিপোর্টার :
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যেতেন মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থীরা। ওই স্মৃতিকে ধরে রাখার উদ্যোগ গ্রহন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ওই স্থানে স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করার কথা জানিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
তিনি আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে ঘাগুটিয়া এলাকার সেই স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, আগামী বর্ষার আগেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ শেষ করা হবে।
আল-মামুন সরকার জানান, ঘাগুটিয়ার বর্তমান বিজিবি ক্যাম্পের পাশ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যাতায়ত করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থীরা। তিনি নিজেও এ পথে বহুবার ভারত গেছেন। যে কারণে স্থানটি স্মৃতিবিজরিত ও গুরুত্বপূর্ন। এছাড়াও এর পাশে পদ্মবিল থাকায় জায়গাটিতে অনেক লোকের সমাগম হয়। এসব ভাবনাকে মাথায় রেখে এখানে স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত জায়গার মালিকের সাথে এ নিয়ে কথা হয়েছে। জায়গা দিতে তাঁর সম্মতি পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা হবে।
এ সময় আল মামুন সরকারের সাথে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন শফিক আলেয়া, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অর্ধ শতাধিক দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর সমাজ কল্যাণ যুব পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় মাদরাসা মাঠে এসব ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান ছিলেন মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ মতিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দূরবাজ রবিদাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এন. এস কবির পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রমজানুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসয় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রাজেন্দ্রপুর যুব পরিষদের কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ রুকন উদ্দিন লিটন, সহ-সভাপতি মামুন মিয়া, ইউপি সদস্য মুছা মিয়া, সদস্য মেম্বার আনু মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মুড়ি, খেজুর, ছোলা বুট, তেল, পেঁয়াজ, মুসরি ডাল, লবন ইত্যাদি।
বক্তারা রাজেন্দ্রপুর সমাজ কল্যাণ যুব পরিষদের মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। যার যার সাধ্যমত গরীব-দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে যাওয়া এক ভারতীয় নাগরিককে ২ কেজি হেরোইনসহ আটক করেছে আগরতলা কাষ্টমস্। জব্ধকৃত হেরোইনের বাজার মূল্য ১৪ কোটির টাকার বেশি। আটক ব্যক্তির নাম থমাস।
তিনি ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সারচিপ জেলার বাসিন্দা। তিনি গত শুক্রবার আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় প্রবেশ করেন। আগরতলা ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের সহকারি কমিশনার অভ্যুদয় গুহ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেখানকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে আখাউড়া কাষ্টম্স এবং চেকপোষ্ট বিজিবির পৃথক দু’টি স্ক্যানার থাকা সত্বেও কীভাবে ওই ব্যক্তি এত বিপুল পরিমাণ হেরোইন নিয়ে চলে গেল তা বোধগম্য হচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে আগরতলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্যান্দনসহ কয়েকটি পত্রিকায় রবিবার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, থমাসের সঙ্গে থাকা কালো রংয়ের স্যুটকেসের ভেতরে এক্সরে-রোধক কাগজের বোর্ড দিয়ে মুড়ানো দু’টি প্যাকেটে হেরোইন ছিল। যা এক্সরে মেশিনেও ধরা পড়েনি।
তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে সাদা হেরোইন পাউডার উদ্ধার করা হয়।
আটক থমাস কাতারের দোহা থেকে বিমানে ঢাকা হয়ে সড়ক পথে আখাউড়ায় এসে আগরতলায় প্রবেশ করে সংবাদে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, আখাউড়া কাস্টমস-এ অত্যাধুনিক ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এক মাস আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সেটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে যাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্যান করা হচ্ছে না। কক্ষটি সব সময় তালাবদ্ধ থাকে।
এদিকে রবিবার বেলা ২টার দিকে আখাউড়া কাষ্টম্স রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খানের কাছে এ বিষয়ে জানার জন্য মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
আইসিপি বিজিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, তিন দিন ধরে আমাদের স্ক্যানার মেশিনটি নষ্ট হয়ে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) বার্ষিক ওরসে এসে ট্রেনের ধাক্কায় ৪ জন নিহত ও ১ জনত আহত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আখাউড়া-সিলেট বাইপাস রেলপথের খড়মপুর মাজার শরীফ এলাকায় সেতু পারাপারের সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- নরসিংদী জেলার মাধবদি থানার নোয়াকান্দি গ্রামের গাজী মিয়ার পুত্রে শুকুর মিয়া (৬০), একই জেলার পলাশ উপজেলার মোতালেব মিয়ার পুত্র মোজাম্মেল, (২০), নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলার চিলকান্দি গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে মতি ভূঁইয়া (৫৫)। অপর ১ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম নামে আহত একজনকে উদ্ধার করে রাতেই আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় পুলিশ।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার সকালে তার স্বজনরা এসে নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাত্র থেকে আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) ৭ দিন ব্যাপী বার্ষিক ওরস শুরু হয়েছে। উরস উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে মাজার এলাকায়। রাত্র সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট রেলপথের মাজার সংলগ্ন এলাকায় ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের থাক্কায় এবং ঝাঁপ দিয়ে পানিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাতেই ২টি মরদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা এবং দুপুর ১২টার দিকে আরও ২ টি মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়াস সার্ভিসের কর্মীরা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য বলেন, ট্রেনের গতি বেশি ছিল এবং ট্রেনটি সেতুর কাছাকাছি এসে হুইসেল দেওয়ায় সেতু পার হতে না পারায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শুক্কর আলীর ছোট ভাই সামসুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নৌকা দিয়ে ৪০/৪৫ জন লোক খড়মপুর আসেন। মাজারের পশ্চিমে রেললাইনের পাশে নৌকা রেখে তারা কয়েকজন পায়ে মাজারের দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ ট্রেন চলে আসলে ভাই ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে পানিতে পরে যায়। পরে তার লাশ দেখে সনাক্ত করি।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাজার শরীফে আসা লোকজন রেলসেতু পারাপার হচ্ছিল। এসময় ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন এলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসার সংকেত দেয়। লোকজন তাড়াহুড়া করে রেলসেতু পারাপার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে নদীতে ছিটকে পড়ে নিহত হয়। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস নদী থেকে ২টি মরদেহ উদ্ধার করে। পরে শুক্রবার ভোরে এবং দুপুরে আরো ২টি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদের মধ্যে দু’জনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত একজনকে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মুনিম সারোয়ার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ২টি এবং শুক্রবার ২টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। এখনও খোঁজাখুজি চলছে।
উল্লেখ্য, খড়মপুর মাজার শরীফে সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ওরশ চলবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ৫৩ম মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলার আখাউড়া চেকপোস্টের সীমান্তের শূন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ রিট্রিট সিরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ মর্চা মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের চৌকস দল প্যারেড ও সালাম প্রদান শেষে বিউগলের সুরের সঙ্গে সঙ্গে উভয় দেশের জাতীয় পতাকা নামানো হয়। ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়। প্যারেড শেষে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফ’র হাতে ফুল, ফল ও মিষ্টি বিনিময় করেন। বিএসএফও বিজিবিকে ফুল, মিষ্টি উপহার দেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. শরিফুল ইসলাম মেরাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এস.এম. শান্তুনু চৌধুরী, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার, বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্ট এর প্রতিনিধি গানেট সিং সহ বিএসএফ-বিজিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি-বিএসএফ প্যারেড দল মনোমুগ্ধকর এক প্যারেড প্রদর্শন করেন। প্যারেড শেষে বিউগলে চমৎকার এক সুর বেজে ওঠে। এসময় সীমান্তের দুই পাশে শত শত দর্শনার্থী দু-দেশের সীমান্তক্ষী বাহিনীর প্যারেড উপভোগ করেন ও করতালির মাধ্যমে তাদের অভিনন্দন জানান।
এসময় বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্ট এর প্রতিনিধি ভারতবাসীর পক্ষ হতে স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। এটা দেখে খুব ভালো লাগছে যে, বাংলাদেশ দিন দিন উন্নতি করছে। আমরা আশা করি বাংলাদেশ স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে।
বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ বলেন, আজকে বাংলাদেশের জন্য একটি আনন্দের দিন। আজকে আমাদের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনগণ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সীমান্তে সীমান্ত হত্যা শূণ্যের কোটায় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজার বাস স্ট্যান্ডে বন্যা পরবর্তী পুনবার্সন পরিকল্পনা বিষয়ে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কসবা-আখাউড়া আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী কবির আহমেদ ভূইয়া।
দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া, বিএনপি নেতা বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, সদস্য সচিব মোঃ আক্তার খান, কসবা উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব শরীফুল হক স্বপন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাহার মিয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মহসীন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মাছুম ভূইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন রাজু, বিএনপি নেতা কামাল ভূইয়া, পৌর যুবদলের আহবায়ক জাবেদ আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কবির আহমেদ ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, স্বেরাচার আওয়ামী লীগের সরকার বিএনপির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। নির্যাতন করেছে, গুম করেছে। বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আমরা কথা বলতে পারিনি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেলে পালিয়েছে। ৎৎগত ১৫ বছরের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের বহু নেতাকর্মীর ত্যাগের বিনিময়ে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাজারো ছাত্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। কবির আহমেদ ভূইয়া নিজেও গুমের শিকার হয়েছিলেন বলে জানান। কিন্তু মিডিয়ায় দ্রুত তার গুমের খবর ছড়িয়ে পড়ায় তিনি তাকে ছেড়ে গুমকারীরা।