বিশেষ প্রতিনিধি :
এবার উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান (এইচএসসি) পরীক্ষায় যারা পাশ করেছে, তার চাইতে স্নাতকে আসন সংখ্যা বেশি আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।তিনি আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে সাহিত্য মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসি যারা পাশ করে, কেউ কেউ বিভিন্ন পেশাগত যে শিক্ষা সেখানে ভর্তি হবেন। কেউ চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রকৌশল, স্থাপত্যে, কেউ আইন বিভাগে যান। অনেকেই আছে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও যান। এছাড়া সারা দেশে ২২৫৭টি কলেজ আছে, সেখানেও উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা যান। কেউ কেউ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ভর্তি হন। সব মিলিয়ে পাশ করার চাইতে আসন সংখ্যা বেশি রয়েছে।’
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা দেশে বিএনপি অরাজকতা তৈরি করছে। আর তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষেরা আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত শান্তি সমাবেশ করছে। যারা শান্তি নষ্ট করছ, তাদের চিহ্নিত করে প্রতিহত করতে হবে।’
বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা প্রতিনিধি :
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে টানা ৭০ দিন মসজিদে নামাজ পড়ে পুরুস্কৃত হয়েছেন ৫ জন শিশু। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফেলনা পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত তাফসির মাহফিল শেষে পুরস্কার বিজয়ী শিশুদের হাতে ক্রেষ্ট, পাঞ্জাবীর কাপড় এবং পবিত্র কোরআন শরিফ তুলে দেন প্রধান বক্তা মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমেদ। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলো; মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ মাহফুজ, মোঃ শিহাব আল ফারেছ, মারুফ হোসেন শ্রাবন, মোহাম্মদ সামির। তারা সবাই ফেলনা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার অধিবাসী।
মসজিদ এবং আয়োজক কমিটির সদস্য ইতালী প্রবাসী আলী আক্কাছ জানান, এলাকার শিশুদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। ভবিষ্যতে টানা ৪৫দিন জামায়াতে নামাজ আদায়ের কর্মসূচীও নেয়া হবে। জামায়াতে নামাজ আদায়কারী শিশুদের আরও ভালোভাবে পুরস্কৃত করা হবে।
তাফসির মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কুরআন গবেষনা পরিষদের সহ-সভাপতি ক্বারী শাহজাহান সাঈদী, বয়োজৈষ্ঠ্য আলেম মৌলভী আবদুল ওয়াদুদ, লাকসাম ধানবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মীর মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, ফেলনা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মহিউদ্দিন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ বদিউল আলম, মৌলভী আহসান উল্লাহ, আলী আক্কাছ, ইমাম হোসাইন, মোঃ আজিম, হাফেজ মর্তুজা মজুমদার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের সংগঠন “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও বিভিন্ন অফিসে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত উপসচিব পুলে কোটা পদ্ধতি বহাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বহির্ভূতকরণের প্রতিবাদ এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে এক ঘণ্টার ‘কলম বিরতি’ পালন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। কলম বিরতি পালনকালে কর্মকর্তাগণ বলেন, উপসচিব পুল কোনো বিশেষ ক্যাডারের পদ নয়।
সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাগণকে উপসচিব ও তদুর্ধ্ব পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অপকৌশল ও অজুহাতে এ সকল পদে নিজেদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার। ২০১৮ এর নির্বাচনের পর সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ রহিত করা হয়। এছাড়া ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ২০ ফেব্রুয়ারি এ সকল পদ নিজেদের তফসিলে বসিয়ে নিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার। এরূপ কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে ভারসাম্যহীন ও অকার্যকর করার মাধ্যমে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে গভীর ষড়যন্ত্র ও মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নামান্তর।
এসময় কর্মকর্তাগণ বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছে যা মৌলিক অধিকার ও জুলাই-বিপ্লবের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। যেহেতু প্রশাসন ক্যাডার নাগরিকদের কোনো অনগ্রসর অংশ নয়, সেহেতু উক্ত ক্যাডারের জন্য উপসচিব পুলে কোটা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেরও সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করার সুপারিশ করার কথাও জানানো হয়েছে যা উদ্দেশ্যমূলক। “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পরিষদ কলম বিরতি ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে স্ব-স্ব কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি, ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এ পরিণত হয়েছে।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মিগজাউমের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর আগে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ আছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে একটানা বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ছয়টায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং মোংলা ও পায়রা বন্দরের দক্ষিণপশ্চিমে এর দূরত্ব ছিল ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার। এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
চলারপথে ডেস্ক :
বীমা সুবিধা বেড়েছে প্রবাসী কর্মীদের। বিদেশ যাত্রার সময় এক হাজার টাকা কিস্তি (প্রিমিয়াম) দেওয়া কোনো প্রবাসীর মৃত্যু বা অঙ্গহানি হলে বীমার আওতায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন কর্মী ও তার পরিবার। আর চাকরি হারিয়ে ছয় মাসের মধ্যে ফিরলে পাবেন ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ।
এসব সুবিধা রেখে আজ ১২ মার্চ রবিবার জীবন বীমা করপোরেশেনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
এর আগে ২০১৯ সালে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক বীমা চালু করে সরকার। ৯৯০ টাকা কিস্তিুতে দুই বছর মেয়াদী বীমায় সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতো।
নতুন বীমা নিয়মে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীরা পাঁচ বছর মেয়াদী বীমা করতে পারবেন। বীমার মেয়াদ পূর্ণের ৯০ দিন পরও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে পুরো ১০ লাখ টাকা পাবে কর্মীর পরিবার। দৃষ্টিহানী, হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালি কাটা পড়লে পুরো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাতের বা পায়ের একটি আঙ্গুল কাটা পড়লে লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তবে প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে আত্মহত্যা করলে ক্ষতিপূরণ পাবে না কর্মীর পরিবার। এ ছাড়া এইডস ও মাদক গ্রহণে মৃত্যু হলে বীমা সুবিধা পাওয়া যাবে না।
জীবন বীমা করপোরেশন মুনাফার ৫০ শতাংশ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য খরচ করবে। একে নজিরবিহীন সুবিধা বলেছেন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বিদেশে কোনো মৃত্যু হলে সৎকারের জন্য ৩৫ হাজার এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ টাকা দেয় সরকার। তা অব্যহত থাকবে জানিয়ে ইমরান আহমদ বলেন, নিয়মানুযায়ী নিয়োগকারী কর্মীরা চিকিৎসা দেবে। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মীরা বিদেশে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। তাদের জন্য বিকল্প ভাবতে হবে। যে দেশে কর্মী যাচ্ছে, সেই দেশে বীমা করা যায় কিনা- তা দেখা যেতে পারে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, নতুন কর্মীরা বর্ধিত বীমা সুবিধা পাবেন। আগে থেকে যে লাখ লাখ কর্মী বিদেশে রয়েছেন, তাদেরও বীমার আওতায় আনা প্রয়োজন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রবাসী কর্মীদের পরিবার ও সন্তানরা অভিবাসনের সামাজিক মূল্য দিচ্ছে। তাদের জন্যও বীমা সুবিধা প্রয়োজন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, যেসব নারী কর্মী যৌন নির্যাতনের শিকার করে হয়ে দেশে ফিরেছেন, বীমায় তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নেই। কর্মীরা বিদেশে আইনের জটিলতায় পড়লে, এর জন্য বীমা থেকে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। একজন কর্মী তিন চার লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ যান। চাকরি হারিয়ে ফিরলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত নয়।
চুক্তিতে জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুল হক চৌধুরী এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।