আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুভাগমন উপলক্ষে জেলাপরিষদের পক্ষ থেকে গতকাল রবিবার সার্কিট হাউজ ভিআইপি কক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ, অধ্যাপিকা রুমানুল ফেরদৌসী এবং কসবা পৌরসভার মেয়র এম এ জি হাক্কানী।
চলারপথে রিপোর্ট :
পৃথক ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ জুন শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার লেশিয়ারা গ্রামে ও গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলঘর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর মেয়ে আফসিন (৩) ও বিলঘর গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেনের ছেলে মাহিন (৭)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস জানান, শুক্রবার দুপুরে লেশিয়ারা গ্রামের একটি পুকুরে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিলো শিশু আফসিন। খেলার এক পর্যায়ে অসর্তকবশত আফসিন পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলঘর গ্রামেও অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলার সময় মাহিন নামে সাত বছরের আরেক শিশু মারা যায়।
পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়। রাতের আঁধারে এক শিক্ষকের ওপর দুবৃর্ত্তদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার হাজীপুর শহীদ স্মরণিকা উচ্চ বিদ্যাপিঠের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয় মাঠে তাদের শিক্ষকের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম রাজা, শিক্ষিকা প্রনতী রানী দাস, সাবেক শিক্ষার্থী লোকমান চৌধুরী, মনির হোসেনসহ আরও অনেককেই। এসময় বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম সরকার (রফিক স্যার)- এর ওপর পরিকল্পিত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আল্টিমেটাম দেন। নতুবা আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। বর্তমানে আহত শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকার হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন। তিনি ওই স্কুলের সহকারী একজন শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অত্যন্ত সাদাসিধা সহজ সরল শিক্ষক রফিক স্যার। রাতের আঁধারে আমার বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার দ্রুত বিচার দাবি জানাচ্ছি। এদিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় আহত শিক্ষক ও পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে কয়েক গ্রামের মানুষ।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ঈশাননগর চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
স্থানীয় যমুনা গ্রামের বাসিন্দা এসএম শামীম আকতারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী ময়নাল হোসেন, কাদির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, মমিনুল ইসলাম পারভেজ ও সুমন সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেহারী ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে এক থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ জানতে চাইলে প্রশাসনের লোককে ম্যানেজ করতে টাকা নেন বলে অজুহাত দেখান ইউপি চেয়ারম্যান মুর্শিদ। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখান বলে এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঈশাননগর সড়কে ঝাড়ু ও জুতা হাতে মিছিল করেন। মিছিলে অংশ নেওয়া নারী-পুরুষ দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের অপসারণের দাবিতে শ্লোগান দেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারীরা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। সেবা নিতে কোনো অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয় না মর্মে আমি সারা এলাকায় মাইকিং করে দিয়েছি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই। এরপরও পরিষদের উদ্যোক্তার ব্যাপারে অভিযোগ ওঠায় আমি তাকে বহিষ্কার করেছি।