বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগর উপজেলার কৃতি সন্তান, উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তানবীর ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির পরপর দুইবারের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে ফুলের সংবর্ধনায় সিক্ত হয়েছেন।গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল ৫ টায় উপজেলার বেগম মরিয়ম মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে সংগঠনের সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল হাসান শান্তের সঞ্চালনায় এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজ্জম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মাহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আশিকুর রহমান মাস্টার, আপ্যায়ন সম্পাদক মহিউদ্দিন রুবেল, সহ-সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াস সরকার, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, আল মামুন রমজান, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সাদ্দাম দেওয়ান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূর এখনো সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১ মাস ধরে মেয়ের সন্ধানে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন গৃহবধূর বাবা- মা ও তার স্বজনরা। এতো খোঁজাখুঁজির পরও নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান না পেয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূর মা সুমি বেগম।
জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূ খাজিদা আক্তার ময়না বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামের সেলিম মিয়া মেয়ে। প্রায় ৭ বছর আগে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মোঃ রমজান মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী রাসেল মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ময়নার। স্বামী প্রবাসে থাকলেও ওই গৃহবধূর তাবাচ্ছুব (০৫) বছরের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন স্বামীর বাড়িতে। গত ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৩ টায় খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও কোন সন্ধান মেলেনি ওই গৃহবধূর।
ময়না নিখোঁজ হওয়ার পর সম্প্রতি একটি ভয়েস বার্তা প্রকাশ পাই। ভয়েস বার্তা প্রকাশের পর ঘটনাটি মোড় নেয় ভিন্ন দিকে।
ময়নার স্বামীর কাছে পাঠানো ভয়েস বার্তায় গৃহবধূ জানায়, আমারে কিভাবে ভুলে থাকতেছো, আমাকে কি বাঁচাইবানা, আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না। চারপাশে পাহাড় আর প্রচন্ড ঠান্ডা। আম্মা (শাশুড়ি) এবং আপা (স্বামীর ছোট বোন) জানে আমি কোথায় আছি। আমার মোবাইল পপি আপা কোথায় জানি রাখছে। তুমি পপি আপার সাথে কথা বল। এখানে অনেক ঠান্ডা।
স্বামীর কাছে ইমুর মাধ্যমে খাদিজা আক্তার ময়নার পাঠানো ভয়েস বার্তায় পেয়ে স্বামী রাসেল মিয়া প্রবাস থেকে এ ভয়েস বার্তা ময়নার বাবার কাছে পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ময়নাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে জানান বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়নার চাচা মোশাররফ হোসেন। তিনি আরো বলেন, আমার ভাতিজি একজন সরল সহজ মেয়ে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার দায়ের করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি কি নিখোঁজ না কি গুম তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। এদিকে শনিবার সকালে ময়নার শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে পুলিশ।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম বলেন, গৃহবধু নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গৃহবধু উদ্ধারের বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।
চলারপথে ডেস্ক :
বিজয়নগরে পৃথক অভিযানে ১৫৪ স্কপ সিরাপ এবং ১৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ একজনকে আটক করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে এসব মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এএসআই সেলিম আহমেদ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার ইকরতরী বাজার রোডের পাকা রাস্তার ওপর চট দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় চার প্যাকেটে ১৫৪ স্কপ সিরাপ উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামের আ. হাসেমের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে আউলিয়া বাজার তদন্ত ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মাসুদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বড়মোড়া থেকে ১৪২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা আনারস বাগানে ফেনসিডিলের বস্তা রেখে পালিয়ে যায়।
বিজয়নগর থানার ওসি রাজু আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে বিজয়নগর থানায় পৃথক দুটি মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার পথে তিন শিশুকন্যাসহ খালেদা আক্তার রিতু নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার সিঙ্গারবিলে ঘটনাটি ঘটেছে।
আজ ৮ জুন শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা আব্দুল আউয়াল ভুঁইয়া বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নিখোঁজ গৃহবধূ খালেদা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দ্বিজয়পুর গ্রামের আতাউর রহমান ভূঁইয়ার স্ত্রী। রিতুর বাবার বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) গ্রামে। তার তিন শিশুকন্যা হলো- তাবাসসুম আক্তার (১০), তানিশা আক্তার (৭) এবং হুমায়রা আক্তার (৫)। এর আগে ৭ জুন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন তারা।
নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী আতাউর রহমান ভূঁইয়া জানান, গত রবিবার তার স্ত্রী তিন কন্যাকে নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যায়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা আখাউড়ায় তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে পরিচিত এক অটোরিকশাযোগে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজারে আসেন। পরে এ অটোরিকশা থেকে নেমে অজ্ঞাতপরিচয় অন্য একটি অটোরিকশাতে ওঠে। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে না পৌঁছালে তিনি তার শ্বশুরকে ফোন করে জানতে পারেন তারা সকালেই বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন। তখন আশপাশের আত্মীয়-স্বজন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অটোচালক সুমন বলেন, আমি তাদের বাড়ির সামনে থেকে সিঙ্গাবিল বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসি। পরে আখাউড়া বাইপাস পর্যন্ত যাওয়ার জন্য অন্য একটি অটোরিকশায় তুলে দেই।
বিজয়নগর থানার ওসি আসাদুল ইসলাম জিডি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এক গৃহবধূ তিন সন্তানসহ নিখোঁজের ঘটনায় দুপুরে একটি জিডি করেছে তার বাবা আব্দুল আউয়াল। বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে দুই কোটি টাকার মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য সামগ্রী আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (২৫) বিজিবি।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে বিজিবি পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি)র ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের একটি টহল দল গত শনিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা নামক স্থানে গাড়ি তল্লাশি চালায়। এসময় ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ভারতীয় অবৈধ স্কিন সাইন ক্রিম-৫৮ হাজার ৩২০ পিস, বেটনোভেট (এন) ক্রিম- ৮ হাজার ৪০০ পিস এবং স্ট্যাপলার পিন-১৯২ প্যাকেট আটক করে।
এছাড়া গত বৃহষ্পতিবার (২৯ আগস্ট) সিলেট হতে ঢাকাগামী পাথর বোঝাই একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ১১ হাজার ৪৫০ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ১৮ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। আটককৃত চোরাচালানী মালামাল বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে আখাউড়া কাস্টমস অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজিবি জানায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলায় বিজিবি’র পৃথক অভিযানে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার হয়েছে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাতে আখাউড়ার বাউতলা সীমান্ত ও বিজয়নগরের চান্দুরা এলাকায় বিজিবি-২৫ ও বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়ন এ অভিযানচালায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাত ১০টার দিকে বাউতলা এলাকায় বিজিবি’র ৬০ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ৫২৬০ পিস ভারতীয় অবৈধ মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ করা হয়। এসব ডিসপ্লে’র আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ২৫ ব্যাটালিয়নের অভিযানে রাত একটার দিকে চান্দুরা এলাকায় অভিযানে ৪৫০ কেজি জিরা, ৯৪২ মিটার সোফা ও কুশন কাভারের কাপড়, ১২ হাজার ৮৪৭ পিস বিভিন্ন ওষুধ, ছয় হাজার ৬৩৮ পিস সানগ্লাস, ২৮পিস শাড়ি, এক ৭৪৩ পিস ডগ ফুড, ২৩ হাজার ৫২০ পিস প্রসাধনী। এসব পণ্যের আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪০ টাকা। এসব পণ্য আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।