চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা আদালত বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আদালতে ফিরছেন। আজ মঙ্গলবার থেকে তাঁরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত ছাড়া বাকি আদালত গুলোতে যাবেন।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সাধারণ সভা শেষে আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাধারণ সভায় বসেন আইনজীবীরা। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে তাদের সভা।
দুপুরে সাধারণ সভা শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদের যে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর অনুরোধের প্রতি সবাই শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন এবং এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী ও আইন সচিব শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন সমগ্র বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের অভিভাবক। আমরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস স্থাপন করি। আমরা আগামীকাল (আজ) মঙ্গলবার আদালতে যোগদান করব। আমাদের বিষয়ে যা যা করার তাঁরা তা করবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বাদে সবগুলো আদালতে যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সবগুলো দাবির কোনো কোনোটা পূরণ হয়েছে এবং বাকিটা পূরণ হবে বলে বিশ্বাস করি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিষয়ে হয়তো দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সোমবার ব্যবস্থা নেয়া হলে আমরা কাল মঙ্গলবার থেকেই ওই আদালতে ফিরে যাব।
এর আগে গত রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্কিট হাউজে আইনজীবী নেতাদের সাথে আইনমন্ত্রীর অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর আইনজীবীরা নেতারা আদালতে ফেরার করার কথা জানান।
বৈঠকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আল-আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান কানন, সাবেক সভাপতি শফিউল আলম লিটন, সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে আইনন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বর্জনের বিষয়টি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। আইনজীবীরা আদালত বর্জন প্রত্যাহার করবেন। আইনজীবীরা কাল আদালতে যাবেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। রবিবার মাননীয় আইনমন্ত্রী, আইন সচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।
এদিকে জজ আদালতের নাজির মুমিনুলকে গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত আন্তঃজেলা বদলি সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে “প্রশাসনিক কারণ” দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মুমিনুল ইসলামের বদলিকে অভিহিত করা হয় “মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফার” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ ছানাউল্যা তালুকদার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।
গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে মাসাধিককাল ধরে আইনজীবীদের আদালত বর্জনের ফলে শত শত বিচারপ্রত্যাশী সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন দিনব্যাপী জেলা ফল মেলা শুরু হয়েছে। আজ ১৯ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে তিন দিনব্যাপী ফল মেলার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহমুদা আক্তার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক ড. মোস্তফা ইমরান হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মুনসী তোফায়েল হোসেন, উপ-পরিচালক (শস্য) মইনুল হক সরকার, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান রাশেদ, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল মাহমুদ ভূইয়া, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা প্রমুখ।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহমুদা আক্তার বলেন, দেশী ফল বেশি করে খেতে হবে, তাই বেশি করে দেশী ফলের গাছ লাগাতে হবে। বেশি করে গাছ লাগালে যেমন ফল পাওয়া যায়, তেমনি করে পরিবেশের ভারসাম্যও ঠিক থাকবে। বর্তমান প্রজন্ম অনেক দেশী ফলের নাম জানে না, তাই বেশি করে ফলের গাছ লাগাতে হবে, যাতে করে তাদের বিভিন্ন ফলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারা যায়। তিনি আরো বলেন, ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। ভাতের পাশাপাশি বেশি করে ফলও খেতে হবে। তাই বেশি করে ফলের গাছ লাগাতে তিনি কৃষকদের কাছে অনুরোধ করেন। আগামী ২১ জুন শনিবার পর্যন্ত ফল মেলা চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েকহাজার নেতাকর্মী।
আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়্রা থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের জেলা পরিষদ মার্কেট, টিএ রোড, হাসপাতাল রোড প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
এসময় অন্যান্যের মাঝে আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বাবুল, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, শাহআলম, সৈয়দ মিজানুর রেজা, স্বপন রায়, মো. মনির হোসেন, জায়েদুল হক, মাহমুদুর রহমান জগলু, সেলিম রেজা হাবিব, কাচন মিয়া, সৈয়দ মো .আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ্এইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুৃল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড.সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা নিশাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি অ্যাড. আবু কাউসার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্র নাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, জেলা তাঁতী লীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল,জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী, সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি। বুধবার বিকাল ৫ টা থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে শতশত নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে জমায়েত হন। মিছিল ও সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নারী কর্মীর উপস্থিতি সকলের দৃষ্টি কাড়ে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকশত মোটর সাইকেলের একটি শোভাযাত্রা সারা শহর প্রদক্ষিণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ হাজার ৫শত জন কৃষকদের মধ্যে প্রনোদনা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূইয়া প্রধান অতিথি থেকে কৃষকদের হাতে সার ও বীজ তুলে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগমের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহমিদা সিদ্দিকী হাবিবা, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক চৌধুরী ও সকল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, সদর উপজেলায় প্রনোদনার কর্মসূচির আওতায় ২হাজার ৫শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়। পাশাপাশি আউশ ধানের উফশী বীজ ব্রি ধান ৪৮, ব্রি ধান ৮২, ব্রি ধান ৮৫, ব্রি ধান ৯৮ জাতের উন্নতমানের বীজও কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
তিনি জানান, এ বছর পহেলা বৈশাখের আগেই সঠিক সময়ে কৃষকদের মাঝে আউশ ধানের বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। যাতে কৃষকগণ সঠিক সময়ে বীজতলা করতে পারেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কনটেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনার আট ঘণ্টা পর ঢাকামুখী আপ লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
আজ ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে রিলিফ ট্রেনের উদ্ধারকারী দল ভোর রাত ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কনটেইনার ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত একটি বগির দুটি চাকা মেরামত করে চালিয়ে নিয়ে যায়। পরে এক কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইনের বিভিন্ন অংশ মেরামত করা হয়। প্রায় আট ঘণ্টা পর ঢাকামুখী আপ লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
প্রঙ্গগত, ৮ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি কনটেইনার ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দাড়িয়াপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। ৮ ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেয়া যাবে।
মনোনয়নপত্রের আবেদন নিয়ে এডভোকেট নিশাত সাংবাদিকদের কাছে দলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীসহ জেলাবাসীর দোয়া কামনা করেন। এরআগে নবম ও একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে আবেদন করেছিলেন নিশাত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামীলীগের তুখোর নেত্রী এডভোকেট নিশাত ১৯৮৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের মহিলা সম্পাদিকা, জেলা ছাত্রলীগের মহিলা সম্পাদিকা নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ওই বছরই জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত একই পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়েত জোট সরকারের রোষানলে পড়েন নিশাত। দ্রুত বিচার আইনে তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও আদালতে ২টি মামলা হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের তত্ত্বাবধানে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন নিশাতসহ মামলার অন্যান্য আসামিরা। আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিশাত সাংগঠনিক কর্মকান্ডে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের ২০২২ সালের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সম্মেলনে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক প্রশংসা পান।
এছাড়া জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে দল অন্তপ্রাণ নিশাত দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় সবসময় মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে নারী প্রচারকর্মীদের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন নিশাত। প্রায় ১৫শ’ নারীকর্মী তার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ঘরে ঘরে গিয়ে গণসংযোগ এবং প্রচারণা চালিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে নারীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে নারী সমাবেশের আয়োজন হয় তার নেতৃত্বে।
নিশাত ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭৫ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নারীদের কল্যাণে কাজ করেন নিশাত। পারিবারিক কলহে অসহায় নারীদের আইনী সহায়তা প্রদান, দরিদ্র নারীদের ভাগ্য পরিবর্তনে তার ভূমিকা অসামান্য। জাতিসংঘের ইউএন উইম্যান এবং ইউএন সিডিএফ প্রতিনিধিদল ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধি দল তার কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি সুইড বাংলাদেশ পরিচালিত আসমাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৫ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সুইড বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক নিশাত। এছাড়াও তিনি ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন, ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন হুইল চেয়ার ক্রিকেট টিম, ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টিমের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্যে ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন নিশাত। এছাড়া নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ২০২০ সালের ৮মার্চ জাতীয়ভাবে দেশের অন্যতম শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’ কর্তৃক ‘আনস্টপ্যাবল ওম্যান অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।