চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা আদালত বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আদালতে ফিরছেন। আজ মঙ্গলবার থেকে তাঁরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত ছাড়া বাকি আদালত গুলোতে যাবেন।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সাধারণ সভা শেষে আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাধারণ সভায় বসেন আইনজীবীরা। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে তাদের সভা।
দুপুরে সাধারণ সভা শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদের যে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর অনুরোধের প্রতি সবাই শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন এবং এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী ও আইন সচিব শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন সমগ্র বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের অভিভাবক। আমরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস স্থাপন করি। আমরা আগামীকাল (আজ) মঙ্গলবার আদালতে যোগদান করব। আমাদের বিষয়ে যা যা করার তাঁরা তা করবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বাদে সবগুলো আদালতে যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সবগুলো দাবির কোনো কোনোটা পূরণ হয়েছে এবং বাকিটা পূরণ হবে বলে বিশ্বাস করি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিষয়ে হয়তো দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সোমবার ব্যবস্থা নেয়া হলে আমরা কাল মঙ্গলবার থেকেই ওই আদালতে ফিরে যাব।
এর আগে গত রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্কিট হাউজে আইনজীবী নেতাদের সাথে আইনমন্ত্রীর অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর আইনজীবীরা নেতারা আদালতে ফেরার করার কথা জানান।
বৈঠকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আল-আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান কানন, সাবেক সভাপতি শফিউল আলম লিটন, সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে আইনন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বর্জনের বিষয়টি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। আইনজীবীরা আদালত বর্জন প্রত্যাহার করবেন। আইনজীবীরা কাল আদালতে যাবেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। রবিবার মাননীয় আইনমন্ত্রী, আইন সচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।
এদিকে জজ আদালতের নাজির মুমিনুলকে গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত আন্তঃজেলা বদলি সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে “প্রশাসনিক কারণ” দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মুমিনুল ইসলামের বদলিকে অভিহিত করা হয় “মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফার” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ ছানাউল্যা তালুকদার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।
গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে মাসাধিককাল ধরে আইনজীবীদের আদালত বর্জনের ফলে শত শত বিচারপ্রত্যাশী সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশ এ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে আগামীকাল ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে ‘শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
স্টাফ রিপোর্টার :
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জেলা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজিউর রহমান তানভীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল মিয়া, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাসান ওবায়দুল্লাহ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব স্বপন আহমেদ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। তার উপর আবার সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রন করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের নদী ও জলাশয় রক্ষায় একমাত্র সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব বলে মত দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। তারা আরো বলেন, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ সুরক্ষায় সকলের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ প্রয়োজন। আজ ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সুরসম্রাট আলাউদ্দিন মিউজিক হলে ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের আওতায় আয়োজিত ‘নদী ও জলাশয় সুরক্ষা: প্রত্যাশা এবং সুপারিশ’ শীর্ষক এই আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শব্দদূষণ, স্বাস্থ্যসেবার মান, বাল্যবিবাহ এবং মাদক সমস্যা গুরুতর হয়ে উঠছে বলে মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া এম এ এফ (MAF) সভাপতি এ বি এম মোমিনুল হক। সভায় তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমাদের প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে যেন তারা ভবিষ্যতে পরিবেশের জন্য আরও কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়।’
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল-এর সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার বলেন, ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের সমস্যাগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া। তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই, জ্যাম এবং নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত। তরুণদের এই সকল সমস্যার কথা তুলে ধরতে হবে’। এই দায়িত্ব পালনে সব স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
‘তরী বাংলাদেশ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক শামীম আহমেদ-এর সঞ্চালনায় ‘নদী ও জলাশয় সুরক্ষাঃ প্রত্যাশা ও সুপারিশ’ শীর্ষক একটি প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বিএডিসি নির্বাহী প্রকৌশলী রনি সাহা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়েও খাল খনন প্রক্রিয়া চলমান জানিয়ে বলেন, নদী-র নাব্যতা বজায় রাখতে বোরো মৌসুমে কৃষকের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিএডিসি। তিনি নদী ও জলাশয় রক্ষার বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার উপর জোর দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খালিদ ইবনে সাদিক জানান, গৃহস্থালী বর্জ্যের কারণে নদীর স্বাভাবিক অবস্থা দূষিত হচ্ছে। নদী দখলদার এবং অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।কারেন্ট জাল এবং চায়না জালের কারণে নদীর বাস্তুসংস্থান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তবে, নিয়মিত যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও প্রকৃত জেলেরা অজ্ঞতার কারণে নিবন্ধিত হচ্ছে না বরং এই সুবিধা প্রভাবশালী লোকেরা নিয়ে নিচ্ছে, এ ব্যাপারে সবার সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন তার বক্তব্যে তিতাস নদীতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বর্জ্য এর কারণে সৃষ্ট সমস্যা এবং তার প্রতিকার নিয়ে মূল্যবান মতামত দেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ছাড়াও ’নেতা আসছে’ শিরোনামে একটি মঞ্চনাটক পরিবেশিত হয়। এই মঞ্চনাটকের মাধ্যমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তাদের জন্য সহজে ক্ষুদ্র ঋণ, পাবলিক টয়েলেট, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা সহ বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি দাবীগুলো amiojittechai.com ওয়েবে প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়। মঞ্চনাটক শেষে কুইজ প্রতিযোগিতা, এবং ক্যাম্পেইনের রিল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সদস্য, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।ইউএসএআইডির স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিল) প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে পরিচালিত ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনটির অধীনে স্থানীয় জনগণকে তাদের মতামত ও দাবি তুলে ধরার জন্য উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম www.amiojittechai.com এর মাধ্যমে অভিমত প্রদান করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
টানা কয়েকদিন থেকে সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বইছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন কর্মজীবী মানুষজন। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে রিক্সা চালকরা রিকশা চালাচ্ছেন। তাদের রিকশা চালাতে যেন কষ্ট একটু হলেও লাঘব হয় এজন্য গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করেছেন মানবিক ছাত্রনেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে শহরের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ২ হাজার রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
শোভন বলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় ২ হাজার রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করা হয়েছে। আমরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই এগিয়ে আসলে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। এ সময় সবাইকে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ক্যাপ বিতরণের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তু বিল্লাহ, উবায়দুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিন, জসিম আহমেদ রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদী, আজহারুল হাসান মিঠু সহ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মৈত্রীর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল ৩ জুন শনিবার বিকেলে শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে আয়োজিত ৬ষ্ঠ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়ে।
কমিটিতে সভাপতি পদে কাজী তানভীর মাহমুদ শিপন, সাধারণ সম্পাদক পদে ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাছির মিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা যুব মৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসির মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল।