চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রীতির স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আজ ১৩ ফেব্রুয়ারিসোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লা-আল শাহীন।
সংলাপে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে একটি পুকুর ভরাটের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি ড্রেজার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে শহরের পূর্বমেড্ডা তিতাসপাড়ার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে তিতাসপাড়ার কালাগাজীর মাজার এলাকায় একটি বিশাল আকৃতির পুকুর ভরাট করে আসছিলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা। নৌকা দিয়ে বালি এনে ড্রেজারের মাধ্যমে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছিল।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ড্রেজার জব্দ করেন। অভিযানের খবর পেয়ে পুকুর ভরাটকারীরা পালিয়ে যায়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন ও সদর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, মেড্ডা কালাগাজী মাজার সংলগ্ন একটি পুকুর ভরাট করার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় একটি ড্রেজার জব্দ করা হয়। ড্রেজারটি সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুকুর ভরাটকারীদের পাওয়া যায়নি। এজন্য কাউকে আটক করে জরিমানা করা সম্ভব হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছেন। এই ৩১ দফার মধ্যে সংস্কারের সব কিছু বলা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রশাসন সব কিছুই এই রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফার মধ্যে আছে। তাহলে আপনারা কেন এই সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাচ্ছেন।
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সেলিম বলেন, পাশের একটি দেশ প্রতিনিয়ত আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা প্রতিটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিব। কারণ বিএনপি এ দেশের জনগণের যখন বিপদ আসে, জনগণের যখন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেয়, জনগণের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, তখনই বিএনপি জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়। ভারতীয় কোন কিছুকে আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ভারতের সাথে হাসিনা সরকারের গত ১৫ বছরে যত চুক্তি হয়েছে সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে। আমরা বাংলাদেশীরা তাদের প্রভুসুলভ আচরণ কখনোই মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, তারা ভয় পেতো আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। কারণ জিয়াউর রহমান কখনো ভারতের আধিপত্য মেনে নেয়নি। মেনে নিতে পারেনি বলেই তারা আমাদের নেতাকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। তাই আজকে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্মেলন থেকে আমরা বলতে চাই, এই দেশে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। এ দেশ জিয়াউর রহমানের দেশ। এই দেশ বেগম খালেদা জিয়ার দেশ। এই দেশ তারেক রহমানের দেশ। এই দেশের জনগণ কিভাবে ভালো থাকবে তার কাজ বিএনপি আগেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আগামী দিনের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচন হবে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। এর আগে আমাদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। নিজেদেরকে সংযমী রাখতে হবে। যে কষ্ট আপনারা করেছেন, এই কষ্ট যদি আমরা ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট না আনতে পারি, তাহলে সকল কষ্ট বৃথা যাবে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই সম্মেলন স্থলে মিছিল এবং রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টি.এ. রোডে সংঘর্ষের সময় মাওলানা হোসাইন আহাম্মদ হত্যার ঘটনায় তার বড় বোন তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে গতকাল ২৩ আগস্ট শুক্রবার এ মামলাটি দায়ের করেন। নিহত হোসাইন আহাম্মদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদারাসার ছাত্র ছিলেন। তিনি জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দের বাসিন্দা।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনছারি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান (এম.এ.এইচ মাহবুব আলম), জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-সংসদের সাবেক ভিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান সারোয়ার হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাসুম বিল্লাহ, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম রানা, ঠিকাদার হামদু মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিনশ’ লোককে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় তানিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে আন্দোলন কর্মসূচির চলাকালে ২৭ মার্চ সকাল ১০টায় হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে পরের দিন হরতালের সমর্থনে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে একটি মিছিল হয়। মিছিলটি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সামনে গিয়ে আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় হোসাইন আহাম্মদ মাথার ডানপাশে গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং দমন-নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। এমনকি পুলিশের চাপে তখন নিহতের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া দাফন করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্টন থানায় দায়ের করা বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মেহেরা মাহবুব আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে এই আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেনএ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। ওই হত্যা মামলায় তাঁকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মকবুল হত্যা মামলায় আসামি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
অন্যদিকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর আইনজীবী রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাঁর জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে তাঁকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও মকবুল নামের বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার এজাহারে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নাম রয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় জড়ো হতে থাকেন। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন পুলিশ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় আসামিরা বিএনপির কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাব, কম্পিউটার, নগদ অর্থ ও মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যান। যার আনুমানিক মূল্য ৪৭ লাখ টাকা। অভিযানে বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশে থাকা দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। একই সাথে সেদিন মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যা করা হয়।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সংসদ সদস্য পদ হারান।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয়টি হত্যাসহ অন্তত নয়টি মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে কটুক্তি করায় বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের (ডিজিএনএম) মহাপরিচালক মাসকুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় কর্মরত সকল নার্সিং কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ডিজিএনএমসহ বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের সকল নন নার্সিং প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারনের দাবি জানান তারা।
সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন বে-সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইউনাইটেড নার্সিং কলেজ, তিতাস নার্সিং কলেজে ও মডেল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এসে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ?সিনিয়র স্টাফ নার্স রোমা খাতুন ও শেফালী আক্তার, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া, ফাহিমা আক্তার, আরিফ মিয়া, রিফাত মিয়া, ফুয়াদ রায়হান ও খাদিজা সুলতানা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের প্রশ্ন হাসপাতাল ছেড়ে আমরা কেন রাস্তায়। ডিজিএনএমের মহাপরিচালক মাসকুরা নূর আমাদের নার্সদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি যদি নার্সদের যোগ্যতা সম্পর্কে জানতেন তাহলে এই প্রশ্ন তুলতেন এবং অধিদপ্তর থেকে পালাতেন না। ডিজিএনএমের মহাপরিচালক বলেছেন, নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদা দিয়ে সরকার ভুল করেছে। আমরা তার এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মহাপরিচালককে পদত্যাগসহ অধিদপ্তর থেকে অপসারণ করতে হবে। তারা বলেন, আমরা এইচএসসি পাস করে ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করে লাইসেন্স পরীক্ষা ও নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদার পেশা সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে যোগদান করি। যোগ্যতা অনুযায়ী নার্সদের মূল্যায়ন করতে হবে। নার্সিং থেকে ডিজিএনমে আমাদের পদায়ত করতে হবে।
স্বৈরাচারী মহাপরিচালক (ডিজিএনএম) মহাপরিচালক মাসকুরা নূরের পদত্যাগ, ডিজিএনএমসহ বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের সকল নন নার্সিং প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারনের করতে হবে। নার্সদের বিসিএস করার সুযোগ দিতে হবে। নার্সিং থেকে অধিদপ্তরে আমাদের পদায়ন করতে হবে। অধিদপ্তরে যেন নার্সরা বসতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ বহিরাগত কর্মকর্তাদের জন্য নার্সিং পেশার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। তারা আমাদেরকে খেলনার পুতুল বানিয়ে রেখেছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে পদায়নের নামে তারা ঘুষ বানিজ্য করছেন। আমাদের পদায়ন করলে তাদের ঘুষ বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে বলেই নার্সিং থেকে অধিদপ্তরে নার্সদের পদায়ন করা হচ্ছে না। তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার একটি নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা আশা করি তিনি নার্সদের দরদ ও দাবি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।