চলারপথে রিপোর্ট :
জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় অসহায় বাবার পিতৃ স্নেহের প্রতি সম্মান জানিয়ে ও অন্তত একটি শিশুকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে।
“বিবেকের আদালত থেকে মানবতার দিক থেকে বাবার আশা এবং বেঁচে থাকুক অন্তত একটি মেয়েকে নিয়ে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সচেতন নাগরিকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. হেলিম আহম্মেদ, কবি ফয়েজ আহমেদ, হৃদয় দেবনাথ, মোবাশ্বের ইসলাম, মাহমুদুল হাসান রিফাত, নাহিদ মো. সাদিক প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আদালত বাবার করা মামলা খারিজ করে দেওয়ায় দুই শিশু এখন থেকে মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। এতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অসহায় বাবার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে অন্তত এক সন্তানকে তার কাছে সমর্পণের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন ইমরান শরীফ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রয়াত অধ্যাপক এ.কে.এম হারুনুর রশিদের ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ৮ নভেম্বর শুক্রবার বেলা ১১ টায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরন সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমীন শাহীন, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সাবেক জেলা আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানা উল্লাহ।
বক্তব্য রাখেন সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কবি আবদুল মান্নান সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ মোঃ নাসির মিয়া, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন আশরাফ।
সংগঠনের সদস্য ফাহিম মুনতাসিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের পরিচালক ও প্রশিক্ষক শারমিন সুলতানা।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সোনালী সকালের সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান সানি।
আলোচনা সভা শেষে অধ্যাপক এ.কে.এম হারুনুর রশীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘গায়েবি’ মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা পুলিশের হয়রানি ও ১০ দফা দাবি বস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি।
আজ ২৭ মে শনিবার দুপুরে শহরের মৌড়াইল এলাকায় এ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ও সাবেক সাংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী।
এতে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফেজুর রহমান মোল্লা কচি প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের এই আন্দোলন অহিংস, গণতন্ত্র, জনগণের অংশগ্রহণমূলক। আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগের এদেশে অনেক ভূমিকা রয়েছে। তারা জনবিরোধী দল হিসেবে নিজেদেরকে চিহ্নিত করবে না। আমরা আশা করি জনগণের বিপুল পরিমাণ ভোটে জিতব। আর আওয়ামী লীগের অবস্থা গাজীপুরের নির্বাচনেই দেখতে পেয়েছি। আমরা দেশের জন্য বিদেশমুখী। আমাদের থেকে আওয়ামী লীগ আরো বিদেশমুখী।
এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। সমাবেশে নির্ধারিত স্থানে প্রশাসনের অনুমতি না দেওয়ায় তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সভাপতি জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও আকস্মিক দুর্ঘটনায় ক্ষতি গ্রস্তদের উদ্ধার ও সাহায্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট থেকে পঁচিশ সদস্যের একটি শক্তিশালী ‘‘ডিজেস্টারের রেসপন্স ইউনিট’’ গঠন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই ইউনিটের প্রতিটি সদস্যকে আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত দক্ষ মানবকর্মী হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি আজ ১৯ মে শুক্রবার বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্দেশনা ও আর্থিক সহযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের উদ্যোগে ডিজেস্টার রেসপন্স ইউনিট কর্মীদের চারদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আলহাজ¦ শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট দানবীর লায়ন ফিরোজুর অলিও এবং প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অন্যান্যের মধ্যে ইউনিট আহবায়ক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম শাহাজাদা, আশিকুর রহমান পাঠান ও সালাউদ্দিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সদর দফতর থেকে আগত জুনিয়র সহকারী পরিচালক কাজি আছাদুজ্জামান, আরসিওয়াই সদস্য তানজিম হাসান এবং ইউনিট লেভেল অফিসার পঙ্কজ সরকার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ের জলাশয় বালু ফেলে ভরাটের দায়ে একটি ভেকুসহ জলাশয়ে ফেলা বালু জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৮ মে সোমবার দুপুর দেড়টায় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরন লেবেল ক্রসিং এলাকায় রেলওয়ের জলাশয় গত কয়েকদিন ধরে বালু ফেলে ভরাট করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় রেলের জলাশয় ভরাটের কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু জব্দ ও জলাশয়ে ফেলা বালু জব্দ করে আগামী চার কার্যদিবসের মধ্যে উম্মুক্ত নিলাম ডেকে বিক্রির জন্য নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলমকে নির্দেশ দেন।
এর আগে রেলওয়ের জলাশয় অবৈধভাবে ভরাটের প্রতিবাদে গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বড় হরণ লেবেল ক্রসিং এলাকায় মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বড় হরণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশিকুল ইসলাম ও অভিভাবক সদস্য উম্মেদসহ প্রভাবশালীরা মার্কেট নির্মাণ করতে জলাশয়টি বালু ফেলে ভরাট করেছেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোশারফ হোসেন বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর আলোকে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে রেলগেট সংলগ্ন স্থানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জলাশয় রাতের বেলা ভরাট করে ফেলেছে একটি চক্র।
অভিযান পরিচালনার সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। সে সময় জলাশয় ভরাটের কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু মেশিন ও ভরাট করা বালু জব্দ করা হয়। এসব স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমের জিম্মায় রাখা হয়। আগামী চার কার্যদিবসের মধ্যে উক্ত বালু প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করে জলাশয়টিকে পূর্বের অবস্থায় ফেরত নেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একই স্থানে বালু ফেলে জলাশয় ভরাটের অভিযোগে গত ১৯ ফেব্রূয়ারি অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র জব্দসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, পরিবেশ আইনে চিহ্নিত জলাশয় কোনোভাবেই ভরাট করার সুযোগ নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানের কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন তার কতজন মন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রয়োজন। যদি সবাইকে প্রয়োজন হয়, সবাই থাকবেন। আর যদি চান তাহলে ছোট আকারে করতে পারেন, সেটা তার ইচ্ছা। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইএলও’র বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
চলতি মাসে একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশন, সেখানে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে আইন পাসের পাশাপাশি সংসদে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আনিসুল হক বলেন, আমরা শ্রম আইনে কিছু পরিবর্তন এনেছি। আমাদের সঙ্গে আইএলও’র আলোচনা হয়েছে। তাদের কিছু বক্তব্য ছিল। সেই বক্তব্য নিয়ে এসেছিল আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর। আমরা সেগুলো শুনেছি এবং কিছু কিছু বিষয়ে সমাধান করে ফেলেছি। যেটা ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার সেটা দিয়েছি। যেসব বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে হয়েছে। সেগুলো আমরা ২২ অক্টোবর আবার বসে আলোচনা করব। তখন তাদের গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা নিয়ে বাকি বিষয়গুলোর সমাধান আসবে। পূর্বে গ্রুপ অব কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ শ্রমিক থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন করার নিয়ম ছিল। কিন্তু সংশোধনী আইনে সেটি কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আইএলও’র কাছে আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম, যে আস্তে আস্তে এই শতাংশের হার আরও কমিয়ে আনা হবে। আগে প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানি পরিচালনার জন্য তিন হাজারের বেশি প্রয়োজন হলে সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের একমত প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সেটাও কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছি। মূল কথা হচ্ছে তারা- শ্রমিকদের ধর্মঘট করার ক্ষমতা এবং লেবার কোর্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। তারা আমাদের বেশিরভাগ সংশোধনীতে খুশি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা আইএলও’র মানদণ্ড অনুযায়ী করার পরামর্শ দিয়েছেন।