নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম এর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের নামে জনসাধারণের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিগত কয়েক মাস ধরে ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জেলা প্রশাসকের ‘খন্ডকালিন কর আদায়কারি’ পরিচয় দিয়ে মাসুদ নামে এক ব্যক্তি বিগত ৫ বছরের কর আদায় করছেন। খন্ডকালীন কর আদায়কারী পরিচয় দানকারী আইডেন্টটি কার্ড কিংবা জেলা প্রশাসকের কোন অনুমোদন পত্র দেখাতে পারেননি।
জানা যায়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের রশিদ বহিতে বিগত ২০১৭-১৮, ১৮-১৯, ১৯-২০, ২০-২১, ২১-২২ এই পাঁচ অর্থ বছরের বাস্তভিটা কর প্রতিটি বাড়ি ঘরের শ্রেনীভেদ অনুযায়ী ৩০০ থেকে ২০০০ টাকা করে আদায় করছে। অথচ ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের সরকারি তথ্য মোতাবেক বিগত২০১৭-১৮ থেকে ২১-২২ পাচঁ অর্থ বছরের কর পরিশোধিত রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের বিধি অনুযায়ী কর আদায়ের রেজিস্ট্রার বহি শুধু এক অর্থ বছরের জন্য এবং কর আদায়ের বিগত বছরের রশিদ বহি তাদের নিজ নিজ পরিষদে রেজিস্ট্রার স্টকে সংরক্ষিত থাকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইউনিয়ন পরিষদের বার্ষিক আয়-ব্যায়ের বিবরণীতেও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের সকল তথ্য আলাদাভাবে হালনাগাদ করা রয়েছে। এরপরও জনগণের কাছ থেকে জোর পূর্বক কর আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত চেয়ারম্যানগণ বে-আইনিভাবে জোরপূর্বক কোন কর চাপিয়ে দেয়নি। জনগণের কথা চিন্তা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে তারা কর জমা দিয়েছে।
৯ নং ওয়াডের বাসিন্দা মজনু মিয়া জানান, বিগত সময়ে আমরা এমন দেখেনি, তারা আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫ বছরের কর আদায় করেছে।
এ ব্যাপারে ৯ নং ওয়ার্ডের অপর এক বাসিন্দা বাকির হোসেন বলেন,আমার ভাই ঘর তুলেছে পাঁচ মাস হয়েছে কিন্তু আমার কাছ থেকে তারা জোরপূর্বক ৫ বছরের কর আদায় করেছে।
২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন,আমাদের অজান্তে বে-আইনীভাবে চেয়ারম্যন বিগত পাঁচ বছরের টাকা তুলছে যা সে ব্যক্তিগত ভাবে টাকা আত্মসাৎ-এর জন্য করেছে। আমরা নির্বাচিত হয়েছি ১ বছর হলো,বিগত চেয়ারম্যান তাদের আমলের কর সমন্বয় করে পরিশোধ করে দিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়া বলেন, তিনি এবং তার পূর্বের সকল চেয়ারম্যানগণ সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে কর সমন্বয় করে পরিশোধ করে দিয়েছেন। চেয়ারম্যান টাকা আত্মসাৎ-এর জন্য জনগণের উপর চাপ দিয়ে এ কর আদায় করছে। কর আদায় নিয়ে জনগনের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়াররম্যান নূরে আলম কর আদায়ের ব্যাপারে তার কোন এখতিয়ার নেই জানিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের তার অফিসে চায়ের আমন্ত্রন জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম কে তাঁর সরকারি ০১৭৩০৪৪৯৬০ নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালে কোন জবাব দেননি। তবে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, আমার জানা মতে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে কাউকে কর আদায়ের জন্য পাঠানো হয়নি। জেলা প্রশাসক মহোদয় আপনার ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়ে আমাকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের মালাই গ্রামে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ‘স্বপ্নালোড়ন’ নামে আত্মমানবতার সেবায় এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম আকরামুজ্জামান শুভ এর স্মরণে তার নিজ গ্রামের বাড়ি নবীনগর উপজেলার মালাই গ্রামে গতকাল শনিবার এই ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ক্যাম্পিং-এ মেডিসিন ও ডেন্টাল বিভাগে এর ৯ জন ডাক্তার প্রায় ১২শত রোগীকে চিকিসাসেবা ও বিনামূল্যে ঔষদ বিতরণ করেন। ‘স্বপ্নলোড়ন’ সারা বাংলাদেশে আত্মমানবতার সবোর পাশাপাশি গত ৭ বছর ধরে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আকরামুজ্জামান শুভ’র স্মরণে নবীনগরে মালাই গ্রামে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। এ চিকিৎসা ক্যাম্পিং উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার জাকির আহম্মেদ।
বিশেষ অতিথি সংগঠনের উপদেষ্টা শুভ’র পিতা মোঃ তৌফিকুল ইসলাম, ভার্চুয়ালি যোগ দেন উপদেষ্টা পুলিশ বিভাগের ঢাকা জেলার ডিআইও-১ রনোজিত রায়, রংপুর মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাঃ মো ইউনুস, স্থানীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন।
বিশেষ প্রতিনিধি :
নবীনগরে আজ ৩ মে বুধবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এসডিজি বাস্তবায়নে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি।
প্রধান আলোচক ছিলেন মো. আখতার হোসেন মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জুয়েনা আজিজ সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ড. মো. কাউসার আহাম্মদ সদস্য সচিব পরিকল্পনা কমিশন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, মো. মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, শিউলি রহমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নবীনগর, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার সহ সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রথম স্বাধীনতার পর সরকারি ভাবে নবীনগর উপজেলায় চারজন সচিব পদমর্যাদার ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে অভীষ্ট লক্ষ্য তা মানুষের কাছে উপস্থাপন করার জন্য একসাথে উপস্থিত হয়েছেন। অতিথিগণ সকলেই এসডিজির ১৮ টি লক্ষ্যমাত্রা তা সুন্দর ও সাবলীল ভাবে সকলের নিকট উপস্থাপন করেন। এসডিজির বাস্তবাবনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে। আমরা সকলেই সমন্বিত ভাবে কাজ করলে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি ত্বরান্বিত করতে সহজ হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এসডিজির ১৮টি গোল্ড বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রথম হওয়ায় জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরের জিনদপুর ইউনিয়নের চারপাড়া এলাকায় গতকাল ২৪ জুলাই বুধবার রাতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে সাতটায় পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার টংকি ইউনিয়নের বাইরা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে ছাব্বির (২০) মোটরসাইকেল যোগাযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর আসার পথিমধ্যে চারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বিপরীত থেকে আসা রাব্বির মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইটি মোটরসাইকেলে থাকা ৩জন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছে ছাব্বির (২০), জিনদপুর গ্রামের হাফেজ মিয়ার ছেলে রাব্বি (২১) ও জিনদপুর ইউনিয়নের মালাই গ্রামের কাদির মেম্বারের ছেলে পিয়াস। ঘটনাস্থলে ছাব্বির ও কুমিল্লা নেওয়ার পথে রাব্বি ও পিয়াস মারা যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন মারা গেছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর লঞ্চঘাট সংলগ্ন তিতাস নদীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিতাস নদীর পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এছাড়াও স্পিডবোটে যাত্রীদের গায়ে লাইফ জেকেট না থাকায় স্পিডবোট মালিককে ২ হাজার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করায় একটি হোটেল কে ২ হাজার টাকা এবং মাদক সেবনের অপরাধে একজনকে এক মাসের কারাদণ্ডসহ একশত টাকা জরিমানা করা হয়।
এবিষয়ে নবীনগর সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা জাহান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক স্যারের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, তিতাস নদীর সৌন্দর্য্য বর্ধন করা সহ নদীর পাড় রক্ষায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ মে সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন অফিস এবং বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
আগামী ০৫ জুন এই তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার হতে তিনটি উপজেলায় সরগরম নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে। এদিন সকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজ নিজ কর্মী সমর্থক সহকারে জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে ভিড় জমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের আনারস প্রতীক তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী পছন্দ করায় লটারীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। পরে প্রার্থীরা কর্মীদের আনন্দ মুখর মিছিলে প্রতীক প্রচার করে এলাকায় ফিরে যান। দুপুর দুইটা হতে প্রতীক সম্বলিত লিফলেটসহ প্রচারণা মাইকিং শুরু হয়েছে তিনটি উপজেলায়।