স্টাফ রিপোর্টার :
ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলনের স্মৃতির ধারক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর মাধ্যমে ৩৯তম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস্তবায়ন দিবস উদযাপিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের গৃহীত কর্মসূচি অনুসারে “১৫ ফেব্রুয়ারি” বুধবার বিকেলে জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ চত্ত্বর হতে একটি আনন্দ র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে মুক্তমঞ্চে সংগঠণ সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় ঐতিহাসিক রক্ত ঝরা জেলা আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করেন মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, অ্যাডঃ শেখ জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, শরীফ আহমেদ খান, আলী মাউন পিয়াস, বাবুল চৌধুরী, কামরুল হাসান নান্টু, তোফাজ্জল হোসেন জীবন, অ্যাডঃ মোঃ কামরুজ্জামান অপু, মোঃ শফিকুল ইসলাম তৌছির, শাহাবুর হোসেন খান অপু, আলী হায়দার তুষার, বশির আহমেদ, কামরুজ্জামান সবুজ, মোজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসেন, সুবল সূত্রধর, রোমানা আক্তার শ্যামলী, হাজী সিরাজুল ইসলাম, হানিফুর রহমান প্রমুখ।
পরে জেলা আন্দোলনে শহীদ উবায়দুর রউফ পলুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, সর্বদলীয় উদ্যোগে ১৯৮৩ সালে মহকুমা হতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জেলায় রূপান্তরের দাবিতে কয়েক মাস ব্যাপী একটানা আন্দোলন কর্মসূচীর চূড়ান্ত পর্বে ২৭ নভেম্বর হরতাল চলাকালে তৎকালীন সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু শাহাদাৎ বরণ করে। এর প্রেক্ষিতে ঐ সরকারের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় নিয়াজ মোহাম্মদ ষ্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় মহকুমা হতে উন্নীত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জেলায় মর্যাদা দিয়ে জেলা ঘোষণা করেন। যা সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে লিখিত নথীতে বাস্তবায়িত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
“রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ২ এপ্রিল রবিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে স্থানীয় আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, অটিজমে আক্রান্তরা সমাজের বোঝা নয়, তাদেরকেও প্রশিক্ষিত করে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে সবার সচেতন ও আন্তরিক ভূমিকা রাখতে হবে।
পরে অসচ্ছল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৫৫ জন শিশুর মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মো. ওয়ালী উল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. একরাম উল্লাহ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়া ছাত্র ও যুব সমাজের উদ্যোগে ও অল টাইম মাস্তি ক্লাবের আয়োজনে মাদকবিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার বিকেলে জেলা শহরের প্রধান ঈদগাহ মাঠে ‘মাদককে না বলি, শরীর চর্চায় এগিয়ে আসি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ ও ৮নং ওয়ার্ড কাজীপাড়ার কাউন্সিলর মীর মোঃ শাহীনের সভাপতিত্বে ও রাব্বি মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান লেনিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আশরাফুল আলম টিটু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইজাজুল হক রাব্বি, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রহমান, সহ-সভাপতি সানি শাহ, উপ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রনি, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ নিরব মিয়া, মোঃ বিদ্যুৎ মিয়া, মোঃ ইয়াকুব মিয়া, মোঃ সেন্টু, আনিসুর রহমান, সামি প্রমুখ।
এসময় সিনিয়র একাদশ টিমের সাথে জুনিয়র একাদশ টিমের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার শেষ পর্যায়ে দুই পক্ষের টিমের মধ্যে এক এক গোলে ড্র হয়। পরে ট্রাইবেকারে ৪-২ গোলে জুনিয়র একাদশকে হারায় সিনিয়র একাদশ টিম।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, বিচার বিভাগের সাথে পুলিশের নাড়ির সর্ম্পক রয়েছে। তিনি বলেন সামনে জাতীয় নির্বাচন দূরত্ব সৃষ্টি না করে সকলের সমন্বয়ে কাঁেধ কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরীন আহমেদ হ্যাপীর সঞ্চালনায় তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রম হারান, জাতীয় চার নেতা এবং বিজয়ের মাসসহ সব মিলিয়ে একটি ইতিহাস এবং আমরা যে একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি তা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে যেসব আলোচনা করেছি তা বাস্তবায়ন করতে হবে, বাস্তবায়ন করলেই আলোচনা বা সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। আমরা স্বাক্ষীদের দ্রুত স্বাক্ষী গ্রহণ করে বিপুল পরিমান মামলা নিস্পত্তি করে গত জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ইং পর্যন্ত ২২ কোটি টাকার মাদক ও বিভিন্ন আলামত ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি সকলের চোখ-কান খোলা রেখে সুন্দর একটি দেশ সাধারণ মানুষকে উপহার দেয়ার আহবান জানান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্ট পিপি অ্যাডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, সিভিল সার্জনের পক্ষে ডাঃ মাহমুদুল হাসান, সমাজ সেবার উপ-পরিচালক মোঃ আবু আব্দুল্লাহ ওয়ালী উল্লাহ, জেলা সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন, আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম প্রমুখ।
এসময় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকি, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, সহকারী জজ ওমর ফারুক, এপিপি অ্যাডঃ নাজমুল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ বিল্লাল হোসেন পিপিএম এবং জেলার প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ ও বিভিন্ন সেক্টরের অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনে কয়েকটি এজেন্ড বাস্তবায়নের জন্য পেশ করেন এর মধ্যে বিগত ২১ মার্চ ২০২৩ইং এর পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট এর জেন্ডা সমূহের পর্যালোচনা।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০ নিয়ে আলোচনা, এমসি সংক্রান্ত পূর্বের সিদ্ধান্তের অগ্রগতি, পুরাতন মামলার সাক্ষী হাজির করা বিষয়ে আলোচনা, সাক্ষী নিয়ে আলোচনা, প্রবেশন কর্মকর্তা রিপোর্ট এ নতুন মামলা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়া, জিডি, ইউডি-১৫১ এর রিপোর্ট প্রেরণ করা, বন্ধের দিন হাজতখানা থেকে ওকালতনামা সংগ্রহ এবং বন্ধের দিন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সাময়িক সময়ের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা, মামলা ফাইলিং এবং আসামীর আত্মসর্মপনের সময়ে এন আই ডি ব্যবহার করা, স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট এর আওতায় গোডস্ উদ্ধার এ মামলা হচ্ছে না এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হচ্ছে না কেন সর্ব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভার পূর্বে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মোঃ শহীদুল হক, গীতা পাঠ করেন আশিক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী, তিতাস ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, বেতার এবং টেলিভিশন শিল্পী সেহেলি মাসুদ এর মৃত্যুতে শোকাহত শিল্পী বৃন্দের উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ দোয়া মাহফিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পী শাহাদাৎ হোসেন সোহেলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত পরিচালক আলী মোসাদ্দেক মাসুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষক পিযুষ কান্তি আচার্য্য, গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ, গীতিকার ইব্রাহিম খান সাদাত, সাগর মিউজিক প্লাস এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ আহমেদ সাগর বৈশাখী শিল্পিী গোষ্ঠীর সভাপতি রঙ্গধনু স্টুডিওর সত্বাধিকারী শিল্পী দেবাশীষ দেবু, শ্যামা কাউসার, কণ্ঠ শিল্পী সেলিম রেজা,শিল্পী আলমগীর পলাশ, জেসমিন জাহান, গীতিকার নুসরাত জাহান জেরিন, পরিবারের পক্ষ থেকে শিল্পী এমিল মোরসালিন, অ্যাড. দিলশাদ আরা, সঙ্গীত প্রশিক্ষক মণিকা আচার্য্য, বায়োজিদ বোস্তামি, সাথী ইসলাম, উর্মিলা প্রিয়া, সৈয়দ মারুফ, তাহজীব আহমেদ চৌধুরী, অমিত সহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও শোকাহত শিল্পী বৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী সেহেলি মাসুদ মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন উনার অবদান স্মরনীয় হয়ে থাকবে। তিনি মাতৃসুলভ আচরণে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে কাজ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যের ‘গুঁটিদাড়া’ খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে শহরের শেরপুরে লাল-সবুজ দলে ভাগ করে এ খেলার আয়োজন করা হয়।
শিপন খান নামের এক খেলোয়াড় বলেন, এটি গ্রামীণ খেলা। খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামের মতো বড় জায়গা লাগে। তাই কৃষি জমিতে যখন ফসল না থাকে তখন আমরা খেলি। তবে আমরা চাই এটি ভালো কোনো খেলার মাঠে হোক। এতে করে খেলাটি ঠিকে থাকবে। লোকজন আনন্দও পাবে।
প্রবীণ খেলোয়াড় শাহ আলম খান বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে খেলাটি খেলছি। মহিষের শিং দিয়ে গুঁটি বানানো হয়। আমরা যে গুঁটিটি দিয়ে খেলি এটি কমপক্ষে ৫০ বছর আগের হবে। আগে এ খেলা আরও বেশি জমজমাট হতো।
খেলা শেষে দুই দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব, মো. ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান শাহাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই নয় সারাদেশে এক সময় প্রচলিত ছিল এ খেলাটি। এখন খেলাটি প্রায় বিলুপ্ত। খেলাটি টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাই।