চলারপথে ডেস্ক :
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ছুঁয়েছে। তুরস্কে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ হাজার ৪৪ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার আটশ জন।
ভূমিকম্পের দ্বিতীয় সপ্তাহেও তুরস্কে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে প্রতিদিন উদ্ধার হওয়া মানুষের সংখ্যা কমছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কাহরামানমারাস প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য ৪০ কোটি ডলার সহায়তা জরুরি বলে জানায়। সংস্থাটি আরো জানায়, তুরস্কের দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বৃহস্পতিবার বলেন, অবর্ণনীয় কষ্ট পাচ্ছেন তারা। আমাদের অবশ্যই তাদের অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়াতে হবে ও নিশ্চিত করতে হবে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
সূত্র : আল জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
খাবারের জন্য অপেক্ষার সময় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৫৫ জন। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরাইল। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
খবরে জানানো হয়েছে, ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, আহতদের জন্য হাসপাতাল পেতে অনেক সময় লাগছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, তারা কুয়েত স্কয়ারে কোনো হামলা চালায়নি। ওই ঘটনার জন্য সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরই দায়ী করেছে দেশটি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সেখানে ছড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি মরদেহ। রাস্তায় কাতরাচ্ছে আহত মানুষ। ইব্রাহিম আল-নাজার নামের এক ব্যক্তি জানান, আমরা সেখানে বসে ছিলাম। হঠাৎ তারা আমাদের ওপর বোমা ফেললো।
অনেক অনেক মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আমাদের শিশুদের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৮টার দিকে চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে গেছে’। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) এ তথ্য জানিয়েছে।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের দিকে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান স্লিপিং মুড থেকে জেগে উঠতে পারে বলে আশা করছে ইসরো। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করার গৌরব অর্জন করে ভারত।
এর আগে ইসরো জানিয়েছিল, কাজ শেষেও ‘বাড়ি’ ফেরা হবে না চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞানের’। তারা চাঁদের মাটিতে ১৪ দিনের কাজ হাতে নিয়ে নেমেছে। চাঁদে ১৪ দিন পর সূর্যাস্ত হলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়বে তারা। নিস্তেজ হয়ে পড়বে ভেতরে থাকা সমস্ত যন্ত্রপাতিও।
বিক্রম ও প্রজ্ঞানের যে সমস্ত যন্ত্রপাতি রয়েছে, যেগুলোর সাহায্যে চাঁদে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে ও সংগ্রহ করেছে তথ্য, সেই সব যন্ত্র চলেছে সৌরশক্তিতে। ফলে চাঁদে যতক্ষণ সূর্য থাকবে ততক্ষণই প্রাণ থাকবে তাদের।
১৪ দিন পর চাঁদে সূর্যাস্ত (চাঁদে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত হতে সময় লাগে পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন) হলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েছে তারা। তবে চাঁদের মাটিতে বিক্রম আর প্রজ্ঞানের নতুন করে প্রাণপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা একেবারে নেই বলে উড়িয়েও দেয়নি ইসরো।
বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারির মতে, ইসরো বিষয়টিকে একেবারে নাকচ করে দেয়নি ঠিকই। তবে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের বেঁচে থাকা নির্ভর করছে অনেক ‘যদি’ এবং ‘তবে’র ওপর। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ১৪ দিনের ‘সকাল’ কাটানোর পর নামবে ১৪ দিনের অতিশীতল রাতও। এই ১৪ দিন সূর্যরশ্মির একটি কণাও প্রবেশ করবে না চাঁদের ‘দক্ষিণমেরু’তে। তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। তাতে চন্দ্রযান-৩-এর যন্ত্রপাতির বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ফেডারেল মুসলিম নারী বিচারক হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নুসরাত জাহান চৌধুরী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটে ভোটাভুটিতে পূর্ব নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হয়। সিনেটের উচ্চকক্ষে সামান্য ব্যবধানে জয়ী হন নুসরাত।
তিনি ৫০ জন সিনেটরের সমর্থন পেয়েছেন; বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৯ জন। খবর সিএনএন ও এনবিসি নিউজের।
নুসরাতের ডিস্ট্রিক্ট জজ হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করে টুইট করেন নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক সিনেটর চাক শুমার। তিনি বলেন, নুসরাতকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পেরে আমি গর্বিত। নুসরাত প্রথম বাংলাদেশি মার্কিন নাগরিক ও প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ফেডারেল বিচারক হয়ে ইতিহাস গড়েছেন।
গত বছরের জানুয়ারিতে জো বাইডেনের প্রশাসন আইনজীবী নুসরাতকে ফেডারেল বিচারকের পদে মনোনয়ন দেয়। নিউ জার্সিতে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম ডিস্ট্রিক্ট জজ জাহিদ কুরাইশি জানান, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অঙ্গীকার পূরণ করতে এবং মার্কিন বিচার বিভাগে বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে নুসরাতসহ সাতজনকে ফেডারেল বিচারক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্টের এ মনোনয়নে সমর্থন জানায় কয়েকটি সামাজিক ন্যায়বিচার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং মুসলিম অধিকার সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ফেডারেল বিচারক জাহিদ কুরাইশির নিয়োগও বাইডেন প্রশাসন দিয়েছিল। ২০২১ সালে তিনি নিয়োগ পান।
নুসরাত নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যস্ততম আদালতগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ আদালতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, বেশ কিছু বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি নিউইয়র্কের রিপাবলিকান নেতা জর্জ সেন্তোসের অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলাটিও এ আদালতে বিচারাধীন ছিল।
বর্তমানে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নের (এসিএলইউ) ইলিনোয়েস চ্যাপ্টারের আইনি পরিচালকের দায়িত্বে আছেন নুসরাত। সেখানে তিনি বৈষম্যমূলক আচরণ ঠেকাতে পুলিশে সংস্কারের সুপারিশ করেন, যা কার্যকর হয়েছিল। এসিএলইউর নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি রোমিও বিবৃতিতে বলেন, নুসরাত একজন দারুণ বেসামরিক অধিকার আইনজীবী। আমাদের জাতির সবার জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করতে তাঁর উল্লেখযোগ্য রেকর্ড আছে।
৪৭ বছর বয়সী নুসরাতের নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক ব্যবস্থায় মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ওমর ফারাহ সিনেটের ভোটে তাঁর নিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ভোটে নুসরাত চৌধুরী ফেডারেল বেঞ্চে নিয়োগ পেলেন, যা ‘নানা কারণে ঐতিহাসিক’।
৪০ বছর আগে আইনজীবী নুসরাতের বাবা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তাঁরা শিকাগোতে থাকতে শুরু করেন। বাবা পেশায় চিকিৎসক হলেও নুসরাত আইনকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে মিশেল আর্লি নামের মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেন নুসরাত।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় জুনায়েদ মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। আজ ৭ আগস্ট সোমবার সকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের মামা শামীম সরকার।
নিহত জুনায়েদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে। তার বাবার নাম হামিদুল ইসলাম।
নিহতের স্বজনরা জানান, বছর খানিক আগে জীবিকার তাগিদে জুনায়েদ পাড়ি জমান সৌদি আরবে। সেখানে তিনি বলদিয়া কোম্পানির গাড়ির হেলপার ছিলেন। রবিবার দুপুরে দাম্মাম শহরে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চালক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। জুনায়েদের মরদেহ দাম্মাম শহরের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। জুনায়েদের আকস্মিক মৃত্যুতে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের বিষয়টি জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রবাসীর মরদেহ দেশে আনতে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা করব।
অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ের কয়েকদিন পরেই মামলা ঠুকে দেন ব্যবসায়ী স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। পরে আপস-মীমাংসায় পেয়ে যান ৭৫ লাখ রুপি। এরপর বিয়ে করেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে। সেখানে ছাড়াছাড়ি করে হাতিয়ে নেন ১০ লাখ টাকা। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কিছুদিন পর আরেক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে ৩৬ লাখ রুপি মূল্যের নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান। সম্প্রতি সীমা ওরফে নিক্কি নামে ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে ভারতের জয়পুর পুলিশ। তাকে বলা হচ্ছে ‘লুটকারী কনে’।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হচ্ছে, সম্প্রতি জয়পুরের এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় ওই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে তার অভিনব প্রতারণা বিষয়টি।
পুলিশের তদন্ত বলছে, সীমা নামের ওই নারী বৈবাহিক ওয়েবসাইটগুলোতে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে কিংবা স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছে এমন ধনী পুরুষদের নিশানা করতেন। এরপর বিয়ে করে কিছুদিন পরই তিনি মামলা করে দিতেন।
আর শেষে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে মীমাংসা করে নিতেন। এভাবে তিনি সোয়া কোটি রুপির বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে জানতে পেরেছে জয়পুর পুলিশ।
জানা গেছে, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সীমার এই প্রতারণার প্রথম শিকার হন আগ্রার এক ব্যবসায়ী। ২০১৩ সালে বিয়ের পর তার থেকে আত্মসাৎ করেন ৭৫ লাখ রুপি। ২০১৭ সালে গুরুগ্রামের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করে হাতিয়ে নেন ১০ লাখ টাকা।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে জয়পুরের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। সেখান থেকে তিনি ৩৬ লাখ রুপি মূল্যের স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান। এরপরে সেই ব্যবসায়ী মামলা করলে পুলিশ সীমাকে গ্রেপ্তার করে।