চলারপথে রিপোর্ট :
মোবাইল ব্যাংকিং কর্মকর্তা সেজে কল করে কৌশলে ওটিপি জেনে নেয় ওরা। এরপর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে হাতিয়ে নেয় অর্থ। এমন একটি প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অপরদিকে একই সংস্থার অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা সেজে কল্যাণ তহবিলের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত তিনজন। ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এ অভিযান চালানো হয়।
সিআইডি ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রতারকরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বর ক্লোন করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা সেজে এজেন্টদের ফোন করে। নম্বরটিতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে সমাধানের নামে ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) জেনে নেয়। এভাবে এক এজেন্টের ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এ ঘটনায় গত বছরের আগস্টে ঢাকার লালবাগ থানায় একটি মামলা হয়। তদন্তে নেমে তাদের চারজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
তারা হলো- মোস্তাক হাওলাদার, আবদুল হালিম ফরাজি, মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার ওরফে কপাল ও সুজন শেখ।
অপর চক্রের সদস্যরা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের আর্থিক অনুদান পাওয়া কর্মচারীদের নামের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করত। এরপর সরকারি কর্মকর্তা সেজে ফোন করে বলত, অনুদানের টাকা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে তুলতে হবে। তাই এটিএম কার্ড থাকলে সেটির নম্বর জানাতে হবে। অনেকেই না বুঝে নম্বর দিয়ে দেন। পরে তারা ওই নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল ফোন নম্বরে ওটিপি পাঠিয়ে সেটি জানতে চায়। আর ওটিপি পেলে সহজেই ভুক্তভোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত তারা। এভাবে তারা ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত বছরের জুলাই মাসে রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে প্রতারণায় জড়িত হৃদয় মাতুব্বর হেলাল, তুহিন সরদার ও সজিব আকাশ।
সিআইডি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা প্রতারণার মাধ্যমে সরকারী কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
আগামীকাল সোমবার সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সোমবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। দিনব্যাপী সারা দেশের ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে। এ কার্যক্রম মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখ।
জাহিদ মালেক বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে দেশের প্রত্যেক জেলা, সিটি কর্পোরেশন ও মাঠপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও, জাতীয় পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা করা হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে মন্দিরে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর তথ্য জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হয়, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমায় ‘এ’ ক্যাপসুল। এ ছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যুও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দু’বার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখছে।
বিটিআরসির মাধ্যমে দেশব্যাপী সব মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য সম্বলিত খুদে বার্তাও দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল শিশু বিশেষজ্ঞদেরকে (সরকারি বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএস-এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, যারা প্রকৃত সাংবাদিক তারাই শুধু কার্ড (পর্যবেক্ষক কার্ড) পাবেন। প্রকৃত সাংবাদিকের সংজ্ঞা কী তা আপনারা জানেন। সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনমিয় সভার পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের রুমে গিয়ে পরিচয় দেবেন এবং সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আপনার কার্ড দেখাবেন। আপনি ভোটকেন্দ্রে লাইভ, রেকর্ড ও সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে লাইনে থাকা অবস্থায় করতে হবে। এছাড়া কক্ষের ভেতরে ঢুকতে পারবেন, ছবি তুলতে পারবেন তবে বক্তব্য নিতে পারবেন না, লাইভ করতে পারবেন না। এক রুমে ১০ মিনিটের বেশি থাকা যাবে না।
ইসি আলমগীর বলেন, বিদেশিরা নির্বাচন কমিশনে এসে দেখা করেছেন, কথা বলেছেন। আমরা সবসময় বলে আসছি তারা (বিদেশিরা) আমাদের ওপর কোনো চাপ দেননি। এছাড়া চাপ দেওয়ার অধিকারও তাদের নেই।
সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জামালপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জামালপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শফিউর রহমান, পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় সাপের কামড়ে রামপ্রসাদ হরি (২৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ আগস্ট রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় কোন এক সময় বিষাক্ত একটি সাপ রামপ্রসাদকে দংশন করে। রবিবার ভোরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার শরীরে সাপের কামড়ের দাগ লক্ষ্য করা যায়। আশংকাজনক অবস্থায় তালা সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল করিম জানান, ধারনা করা হচ্ছে রাতে কোন এক সময় জানালা দিয়ে অথবা দরজার ছিদ্র দিয়ে একটি সাপ ঘরে প্রবেশ করে রামপ্রসাদকে দংশন করলে তার মৃত্যু হয়। নিহত পরিবারটিসহ কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম মিরন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ফয়সাল খান জয়কে (২৫) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয় (র্যাব)। গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দত্তপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন র্যাাব—১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ভিকটিম খোরশেদ আলম মিরন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিও ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের একটি দোকানে মিরন আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখন আসামিরা দলবদ্ধভাবে ওই দোকানে উপস্থিত হয়ে মিরনকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর মিরনের স্ত্রী তাহমিনা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার রায়ে আদালত ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। এদের মধ্যে পলাতক আসামীদের ধরতে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে র্যাাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফয়সাল খান জয়কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে তারা। আসামীকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয়ের ৫২তম বছরের আর এক দিন। এর পরই বাঙালি মেতে উঠবে বাঁধভাঙা উল্লাসে। কিন্তু এই উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে এক রক্তের ইতিহাস।
মৃত্যু, সম্ভ্রমহানি, নির্যাতন, কান্না, ক্ষুধা, ঘরবাড়ি হারানো, শস্যের পোড়া খেত-মুষড়ে পড়া একটা কালের স্মৃতি। ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিকালের একটি ক্ষত বুকের গহিনে আজও হানা দিয়ে যায়।
বিজয়ের ঠিক মাহেন্দ্রক্ষণের আগে জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের মানুষের বেদনাবিধুর দিন।
১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
এ মাটির প্রিয় সেসব সন্তানের লাশের গন্ধ যেন আজও বাতাসে ভাসে। সন্তানহারা মা, স্বামীহারা স্ত্রী, পিতৃহারা সন্তানের করুণ হৃদয়ের কান্না আর রক্তক্ষরণ কেনোদিনও থামার নয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলার মানুষের ওপর পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। নির্বিচারে বাঙালি হত্যা, মাইলের পর মাইল ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, ভৌত অবকাঠামো ধ্বংস করা, নারীদের সম্ভ্রমহানি-সবকিছুই করেছে তারা। কিন্তু বাঙালির রণকৌশলের কাছে তারা টিকতে পারছিল না।
তাই বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসের সদস্যরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিধনে মাঠে নামে।
রাতের অন্ধকারে বাসা অথবা কর্মস্থল থেকে শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে তারা হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা।
দেশের নানা জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চললেও মূল হত্যাযজ্ঞ চলে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখা হয়।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পরপরই বুদ্ধিজীবীদের নিকটাত্মীয়রা বধ্যভূমিতে অনেকের লাশ খুঁজে পান। তাদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা।
কারও কারও শরীরে একাধিক গুলিও ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে অনেককে হত্যা করা হয়েছিল। ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকের লাশ তাদের প্রিয়জনরা শনাক্তও করতে পারেননি।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. মোহাম্মদ মুর্তজা, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ডা. মোহাম্মদ শফি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামুদ্দীন আহমদ, খোন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, সৈয়দ নাজমুল হক, জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদ, ড. আবদুল খায়ের, ড. সিরাজুল হক খান, ড. ফয়জল মহী, ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীন, কবি মেহেরুন্নেসা, গিয়াস উদ্দীন আহমদ প্রমুখ।