চলারপথে রিপোর্ট :
মোবাইল ব্যাংকিং কর্মকর্তা সেজে কল করে কৌশলে ওটিপি জেনে নেয় ওরা। এরপর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে হাতিয়ে নেয় অর্থ। এমন একটি প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অপরদিকে একই সংস্থার অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা সেজে কল্যাণ তহবিলের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত তিনজন। ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এ অভিযান চালানো হয়।
সিআইডি ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রতারকরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বর ক্লোন করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা সেজে এজেন্টদের ফোন করে। নম্বরটিতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে সমাধানের নামে ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) জেনে নেয়। এভাবে এক এজেন্টের ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এ ঘটনায় গত বছরের আগস্টে ঢাকার লালবাগ থানায় একটি মামলা হয়। তদন্তে নেমে তাদের চারজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
তারা হলো- মোস্তাক হাওলাদার, আবদুল হালিম ফরাজি, মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার ওরফে কপাল ও সুজন শেখ।
অপর চক্রের সদস্যরা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের আর্থিক অনুদান পাওয়া কর্মচারীদের নামের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করত। এরপর সরকারি কর্মকর্তা সেজে ফোন করে বলত, অনুদানের টাকা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে তুলতে হবে। তাই এটিএম কার্ড থাকলে সেটির নম্বর জানাতে হবে। অনেকেই না বুঝে নম্বর দিয়ে দেন। পরে তারা ওই নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল ফোন নম্বরে ওটিপি পাঠিয়ে সেটি জানতে চায়। আর ওটিপি পেলে সহজেই ভুক্তভোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত তারা। এভাবে তারা ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত বছরের জুলাই মাসে রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে প্রতারণায় জড়িত হৃদয় মাতুব্বর হেলাল, তুহিন সরদার ও সজিব আকাশ।
সিআইডি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা প্রতারণার মাধ্যমে সরকারী কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সারাদেশে বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ।
আজ ২৯ মে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে। এবার ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
তৃতীয় ধাপে বিজয়ী যারা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম তুষার পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জিয়াউল করিম খাঁন সাজু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ ভোট।
বগুড়া: জেলার তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুভাশিষ পোদ্দার লিটন (আনারস), শাজাহানপুরে পুনরায় প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু (মোটরসাইকেল) ও শিবগঞ্জে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন।
সদরের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক (ঘোড়া), শাজাহানপুরে সাজেদুর রহমান শাহীন (ঘোড়া) ও ফিরোজ আহমেদ রিজু (মোটরসাইকেল) ছিলেন।
বুধবার রাত ৮টায় তৃতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কমকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ: জেলার তাড়াইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহিন।
তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লাকী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৩৫ ভোট।
সাতক্ষীরা: জেলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম শওকত হোসেন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪২ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষে রাত পৌনে ৮টায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. মেহেদী হাসান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৫ জুন হবে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
অনলাইন ডেস্ক :
এপ্রিলের শেষ দিকে উপজেলা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে খুলনার ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে প্রথম ধাপের নির্বাচন। সকলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করতে চাইলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, নাগরিকসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। স্মার্টকার্ডে দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সম্পর্কে জানা যাবে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল সেবার ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন রয়েছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই স্মার্ট কার্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এর ডাটাবেজ সুরক্ষিত, ব্যক্তির চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং দশ আঙুলের ছাপ দিয়ে তৈরি।
তিনি আরও বলেন, এই স্মার্ট কার্ড ইতালি, সৌদি আরব, আমেরিকা ও আবুধাবি এই চারটি দেশের প্রবাসীদের বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১টি দেশে বিতরণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন করে আলাদা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, খুলনা জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার ভোটার স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। এবার প্রায় ৯ লাখ ব্যক্তির মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ফুলতলা উপজেলার ২ হাজার ৯২০ জনের মাঝে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আইডিইএ এর প্রকল্প পরিচালক (২য় পর্যায়) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
চলারপথে ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কবলিত কক্সবাজার জেলায় চারটি মোবাইল অপারেটরের ৯৭৪টি সাইটের মধ্যে ২৪৩টি সাইট বর্তমানে অচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আজ ১৫ মে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলো বিদ্যমান অসচল সাইটগুলো সচল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ অসচল সাইট মূলত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকার কারণে বর্তমানে অসচল রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যকর হলে ওই সাইটগুলো দ্রুত সচল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা কবলিত কক্সবাজার জেলায় দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের ৯৭৪টি সাইটের ২৪৩টি সাইট বর্তমানে ‘অসচল’ রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেডের মোট ২১৯টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৬০টি। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের মোট ৪৬১টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৮৭টি, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের মোট ১৮৫টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৫১টি এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মোট ১০৯টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৪৫টি।
গত ১৩ মে ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবিলায় দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যাতে সব ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সংশ্লিষ্ট সব লাইসেন্সধারী সংস্থাকে এবং টেলিযোগাযোগ সেবাপ্রদানকারী টেলিকম অপারেটরকে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। এছাড়াও বিটিআরসি ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ও নিয়ন্ত্রণকক্ষও চালু করে। এসব টিম ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলোর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণসহ নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে সমন্বয় সাধন করে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ ১৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া র্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি র্যালি বের হয়ে প্রধান প্রদক্ষিণ শেষ করে। পরে জেলা প্রশাসকের হলরুমে জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল মতিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক গনেশ চন্দ্র মন্ডলী, কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ মাইনু উদ্দিন, জেলা ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ নূরুল্লাহ, ওকআপ কর্মকর্তা সনজিৎ কুমার নাথ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীদের ১০ জন মেধাবী সন্তানের মাঝে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা মেধা বৃত্তি এবং ৫ প্রতিবন্ধী সন্তানকে ৬০ হাজার টাকা ভাতার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া সৌদি আরব ও বাহরাইন প্রবাসে গমনেচ্ছু ২ জনের মাঝে ঋনের ৫ লাখ টাকা, প্রবাসে এক প্রবাসীর মৃত্যুর পর তার পরিবারের নিকট প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার বিতরণ করা হয়। তাছাড়া ৫ জন প্রবাসীর মাঝে বকেয়া বেতন ও আর্থিক অনুদান হিসেবে প্রায় ২৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আবারও যে সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, আগের মতোই তাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ দিন দুপুর পর্যন্ত নতুন করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের ১৭৭ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আসার চেষ্টা করেছিল তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে আগেও তাদের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারেরও কয়েকজন সদস্য আশ্রয় নিয়েছিলো। মিয়ানমার সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদেরকে ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তাই করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উদ্বুত পরিস্থিতির জন্যই বারবার এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে, এখনও ডাকা হয়নি।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মুহাম্মদ হাশিমের সৌজন্য সাক্ষাত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাংলাদেশে বিনিয়োগে ৮ম সর্বোচ্চ দেশ মালয়েশিয়া থেকে আরও বিনিয়োগ, আসিয়ান দেশগুলোর ডায়ালগ পার্টনারশিপের জন্য বাংলাদেশের আবেদনসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি বৈঠকে স্থান পেয়েছে। সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি রাখা হচ্ছে -এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে- এটাই আমাদের শক্তি। পাশাপাশি সরকার সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার একটি পরিকল্পনা করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করতে না পারে।
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মানসিকতা একটি বিষয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের বাজারে যে ফুলকপি ২০ টাকা, সেটিই বসতবাড়ির গলিতে ৬০ টাকা হাঁকে ভ্যানে করে বিক্রেতারা। ২০ টাকার কপি বহন খরচসহ ৩০ টাকা হতে পারে কিন্তু ৬০ টাকা চাওয়া চরম অতিরিক্ত। এটি মানসিকতার ব্যাপার।’
হাছান মাহমুদ বলেন, আশা করি পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকবে।
বিএনপির কিছু নেতা বলছেন, জেল থেকে মুক্তি পেলেও তারা পুরো মুক্ত নন, বাক-স্বাধীনতা নেই এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সকাল-বিকাল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে বলে তারা বলছে বাক-স্বাধীনতা নেই! আসলে নির্বাচনের পর চরম হাতাশার মধ্যে এ সব কথা বলে তারা দলটা টিকিয়ে রাখতে চায় মাত্র, অন্য কিছু নয়।’ সূত্র : বাসস