চলারপথে রিপোর্ট :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জয় বাংলা শ্লোগানকে বুকে ধারন করতে হবে। জয় বাংলা এখন জাতীয় শ্লোগান। জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে আমরা অস্ত্র হাতে নিয়ে ছিলাম।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে জয় বাংলা আমাদের শক্তি ও সাহস যুগিয়ে ছিল। শিশু কিশোরদের সাথে মিশলেই ভাল মানুষ হওয়া যায়। শিশু কিশোরদের নিয়ে সুন্দর পৃথিবী ও দেশ গড়ার জন্য আমার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাজ করে যাব।শিশু এবং কিশোররাই হল আগামী দিনেন ভবিষ্যৎ। বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ মাঠে খেলাঘর আসরের চারদিন ব্যাপী ক্যাম্পের তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ মাঠে শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যামে তৃতীয় দিন অতিবাহিত করেছে শিশু কিশোররা। এই ক্যাম্প চলবে আগামীকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের ক্যাম্পের মূল শ্লোগান ‘বাল্য বিবাহকে না বলুন’।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এতে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি ডাঃ আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-বিজয়নগর আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক প্রনয় সাহা, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, অ্যাডঃ ইমাম হোসেন ঠান্ডু, হান্নান চৌধুরী, ভারত থেকে আগত সর্বভারতীয় সবপেয়েছির আসরের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী, জেলা খেলাঘর আসরের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সুনীল কুমার মিন্টু ও জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার। পরে বিভিন্ন আসরের শিশু কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে কবিতা, গান, নিত্যসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এ ক্যাম্পে বাংলাদেশের পাঁচ শতাধিক শিশুসহ ভারতীয় শিশু-কিশোর সংগঠনের সদস্যরা অংশ গ্রহন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম শফিক হত্যা মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। নিহত শফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের গৌতমপাড়ার ধন মিয়া খন্দকারের ছেলে। শফিক পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন।
গতকাল সোমবার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মোঃ কাছম আলী (৫৫), কাছম আলীর ছেলে মোঃ জামান মিয়া (২৭) ও একই গ্রামের মোঃ ডাক্তার আলীর ছেলে মোঃ রিয়াদ মিয়া (২০)।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গৌতমপাড়া গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম শফিকের চাচাতো ভাই বাকপ্রতিবন্ধী মোঃ আবদুল্লাহর সাথে কাছম আলীর পক্ষের লোকজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে পরদিন ৪ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় কাছম আলীর লোকজন শফিকুল ইসলাম শফিকে ঘাটুরা পেট্টোল পাম্পের সামনে একা পেয়ে এলোপাথারি মারধোর ও ছুরিকাঘাত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শফিকের ভাই বাদী হয়ে কাছম আলীকে প্রধান আসামী করে চারজনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতদেরকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুইশত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছে ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি।
আজ ১১ নভেম্বও শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বৃত্তি প্রদান করা হয়। জেলার ৯ টি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তিপ্রাপ্ত হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সহ-সভাপতি ও শিক্ষাবৃত্তি-২০২৩ উপকমিটির আহবায়ক মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে ও সংস্কৃতিকর্মী মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সহসভাপতি কবীর আহমেদ ভূঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মো. সোনাহর আলী, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাচীনকাল থেকেই বিশ^বিখ্যাত ও উপমহাদেশখ্যাত মানুষদের জন্ম দিয়েছে। এ উর্বর ভূমি গুণী মানুষদের জন্মদানের সাথে সম্মানও করতে জানে। আজকে যারা মেধাবী শিক্ষার্থী তারাই ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির সেরা সন্তানে পরিনত হবে। তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ জনপদের শ্রেষ্ঠ সন্তান ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা, ব্যারিস্টার আবদুর রসুল, নবান সৈয়দ শামসুল হুদা ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পদাংক অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহবান করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকার সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল জানান, প্রতিবছরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে আসছে। কখনো ঢাকায় বা কখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠান করে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এবারের আয়োজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলমের অনুসারী ও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে গতকাল সোমবার সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩৮জনকে গ্রেফতার করেছে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। সোমবার রাতে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে ১৫জন নারী ও ২৩জন পুরুষ।
এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা দায়ের করেন সদর মডেল থানার এস.আই শওকত এবং একটি মামলা দায়ের করেন জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারী মোঃ খায়রুল।
পুলিশের পক্ষে ১৫১ ধারা ফৌজধারী কার্যবিধি নিবারন মূলক মামলায় ৩৮ জনের বিরুদ্ধে এবং পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় ৭৩জনকে আসামী করা হয়। অপর দিকে খায়রুলের মামলায় ১২৩জনকে আসামী করা হয়।
১৫১ ধারা ফৌজধারী কার্যবিধি নিবারন মূলক মামলায় ৩৮ জন আসামী হলেন, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম, সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আরজু মিয়া, সাবেক মেম্বার মোঃ কামাল খাঁ, সাবেক মেম্বার আবদুল কুদ্দুস, ইউনিয়নের বাসিন্দা মনির হোসেন, মজিবুর রহমান, বেদন মিয়া, সফিকুল ইসলাম, হোসেন মিয়া, নূরুল ইসলাম, ইব্রাহিম মিয়া, বাদল মিয়া, মহিউদ্দিন মিয়া, বাছির মিয়া, মনিরুল ইসলাম, তাজু মিয়া, ইদন মিয়া, সিরাজ মিয়া, খায়ের আলী, মোঃ শামীম, আম্বিয়া খাতুন, আসমা বেগম, ববি বেগম, শিখা বেগম, লাভলী বেগম, রেখা আক্তার, রীমা বেগম, পারুল বেগম, পারভীন বেগম, নাদিয়া আক্তার, সাফিয়া খাতুন, নাহিয়া ইসলাম অন্তু, সেলিনা বেগম, রেবেকা সুলতানা ও রিমা বেগম।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জের ধরে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলমের অনুসারী ও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহআলমের গ্রুপে আছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন ও ইউপি সদস্য মোঃ আরজু মিয়ার অনুসারীরা।
অপরদিকে জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়ার গ্রুপে রয়েছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল কাইয়ূমের অনুসারীরা।
গত কয়েকদিন আগে মোঃ শাহআলম গ্রুপের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শওকতের ছেলে মিল্লাতকে মারধোর করে বাবুল মিয়ার অনুসারীরা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। গত রবিবার রাতে পুনরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শওকত এবং তার ছেলে মিল্লাতকে আবারো মারধোর করে বাবুলের অনুসারীরা।
এ ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি মিমাংসার জন্য সোমবার সকালে উভয়পক্ষকে সদর থানায় ডাকা হয়।
এরমধ্যেই বেলা সাড়ে ১১টার সময় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে দাঙ্গাবাজরা ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও উভয়পক্ষের ২০টি বাড়ি ভাংচুর করে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিপেটা, ১ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক দুইজন চেয়ারম্যান, বর্তমান একজন ইউপি সদস্য, সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৩৮জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছি। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
তরুণদের কাছে দলের বার্তা তথা দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি।
৩ জুলাই বুধবার রাত ১২টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির টিকটক অ্যাকাউন্টে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন’।
বিএনপির এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দলের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালনা করবে।
দলটির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের ক্রু স্টাফ মাহফুজ কবির মুক্তা বলেন, ‘টিকটকের প্রধান ভিউয়ার হচ্ছে দেশের টিএনজাররা। তাদের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ অ্যাকাউন্টটা করা হয়েছে।’
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে বেশ কিছুদিন ধরেই দলের নানা কর্মকাণ্ডের ভিডিও পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। ৩ জুলাই বুধবার রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিএনপির ‘bnpbd.org’ নামে একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়া দেশবাসী এবং বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের কাছে দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও ব্যবহার করছে দলটি। এর অংশ হিসেবে ফেসবুকে ভেরিফাইড পেজ রয়েছে বিএনপির। এর বাইরে ইউটিউবে চ্যানেল, টুইটার অ্যাকাউন্ট, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল, গুগল প্লাস চ্যানেল এবং টেলিগ্রামে ভেরিফাইড চ্যানেল আছে দলটির।
এর আগে গত বছরের ২ জুন টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
“অলিম্পিক খেলায় জয় লাভই বড় কথা নয়, অংশ গ্রহণই বড় কথা” এই স্মরণীয় বাক্যকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার দিনব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ নিজস্ব মাঠে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান ভূঞার সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তব্যে আয়োজিত ক্রীড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোসাইন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জুলফিকার হোসেন, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, গভর্ণমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ, সাবেরার সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান, সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, সাংবাদিক মোঃ নুরুল আরাফাত মুগ্নি, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ। ছাত্রীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি মাহমুদা আক্তার জাতীয় পতাকা এবং বিশেষ অতিথি ইকবাল হোসাইন ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করেন। ক্রীড়াবিদ, যুব রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, হলদে পাখি ও গার্ল ইন স্কাউট সদস্যাদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ-মাঠ পরিভ্রমণের পর প্রধান অতিথি শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ক্রীড়াবিদগণ শপথ গ্রহণ ও অলিম্পিক মশাল নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীরা মনোজ্ঞ শরীর চর্চা এবং নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খেলাধুলা শরীর ও মনকে উজ্জীবিত করে। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে পরিচিতি ঘটে। তিনি আরও বলেন, খেলার পাশাপাশি পড়ালেখাও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে যথাযথভাবে তোমাদের নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকেও সরকার প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে নিজ যোগ্যতাবলে এগিয়ে যেতে হবে এবং সুন্দর দেশ গড়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও সিনিয়র শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সার্বিক পরিচালনায় মোট ৩৬টি আইটেমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার ২১ শত প্রতিযোগী অংশ নেন। বিগত ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী শিক্ষায় ধারাবাহিক অবদান রেখে চলেছে। অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।