চলারপথে ডেস্ক :
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্লোগান এনে লাভ নাই। একেবারেই ভুলে যান। ওই অস্বাভাবিক সরকার, অসাংবিধানিক সরকার বাংলাদেশের আসবে না, ইনশাআল্লাহ।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, লাফালাফি-বাড়াবাড়ি যতই করেন, জনগণের কাছে এখনো ডাক দিয়ে সাড়া ফেলতে পারেন নাই। সংবিধান থেকে এক চুলও নড়ব না আমরা। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, কোনো নড়ন-চড়ন হবে না।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মামা বাড়ির আবদার। কোন দোষে সরকার পদত্যাগ করবে। কি কারণে নির্বাচনের আগে সরকার পদত্যাগ করবে। কারণটা কি? হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেককে ক্ষমতায় বসানোর জন্য? ওই খাম্বা সরদার ক্ষমতায় বসবে? বাংলাদেশের মানুষ এই খাম্বা সরদারকে এ দেশের ক্ষমতার মঞ্চে আর বসতে দেবে না। ভুলে যান ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন। কত দুর্নীতি করেছেন ভুলে গেছেন?
বছরব্যাপি কর্মসূচি পালন করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো পাল্টাপাল্টি নয়। প্রতিদিনই প্রোগ্রাম হবে। বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় হবে। কখনো সম্মেলন হবে। কখনো গণসংযোগ হবে, কখনো শান্তির সমাবেশ হবে, কখনো সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলবে, আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচি নিয়ে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে। জনগণের ঘরে ঘরে যাবে।
তিনি আরো বলেন, কাউকে নামতে দেব না- এ কথা বলবেন না। সবাই নামবে। রাজপথ সবার। রাস্তা সবার। কিন্তু রাস্তায় নামবেন ১৩-১৪ সালের মতো ৫০০ মানুষ পুড়িয়ে মারবেন, অগ্নিসন্ত্রাস করতে রাস্তায় নামবেন। সরকারি অফিস পোড়াবেন। রিক্সা ড্রাইভার, বাস ড্রাইভার পুড়িয়ে মারবেন- তা হতে দেয়া হবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছেন।
ইসি জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ৬ মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বা অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, দেশের ৬৪ জেলায় ৬০০টির বেশি থানা আছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ইসি এসব থানার ওসিদের বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
আসন্ন রমজানে প্রায় এক কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন ও ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তিকেন্দ্র’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রমজানের সময় আমরা প্রায় এক কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেবো, সেই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। যাতে দেশের মানুষের কখনো খাদ্যে কষ্ট না পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ’
দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের দেশে যারা হতদরিদ্র তাদেরকে আমরা প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছি। এই চালের সঙ্গে আমরা পুষ্টি চালও মিশিয়ে দিচ্ছি যাতে তাদের পুষ্টিহীনতা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সময়ে আমরা নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশনের ফলে বিশ্বব্যাপী যখন মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে আমরা আমাদের দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রায় এক কোটি মানুষকে ৩০ টাকা কেজিতে চাল দিতে টিসিবি কার্ড বিতরণ করেছি। তার থেকেও যারা নিম্নবিত্ত, তারা ১৫ টাকায করে কেজিতে চাল নিতে পারবে আমরা সেই ব্যবস্থা প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জন্য করেছি। ’
নিজে ফসল ফলানো গর্বের
স্কুল জীবন থেকে শিক্ষার্থীদের কৃষি কাজে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিতে আমাদের যুব সমাজকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা দরকার। আমার মনে হয় স্কুলজীবন থেকেই সম্পৃক্ত করা দরকার। মাঠে কাজ করা, ফসল ফলানো এটা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়, লজ্জার বিষয় না। কাজেই সেভাবেই আমাদের দেশের মানুষকে গড়ে তুলতে হবে। ’
কৃষি নিয়ে শিক্ষিত যুবকদের মানসিকতা বদলেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আমি সত্যি খুব আনন্দিত। অনেক ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখে মাঠে যেতে চায় না, এমনও ছিল যে, বাবা কৃষক সেটা বলতেও লজ্জা পেতো। আজকে কিন্তু সেই লজ্জাটা আর নাই, সেই লজ্জাটা আমরা ভেঙে দিয়েছি। ’
তিনি বলেন, ‘যেটা খেয়ে আমাদের জীবন বাঁচে, সেই কাজ করাটা লজ্জার না। সেই কাজ করাটা গর্বের। কাজেই মানসিকতার পরিবর্তন করা একান্ত প্রয়োজন। সেটাও আজকে অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। ’
(প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন প্রজাতির ধান, সরিষা, মধু, প্রায় সব ধরনের শাক-সবজি, ফলমূল, হাঁস-মুরগি, কবুতর, গরু, মাছ চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। )
আরও গবেষণা বাড়াতে হবে
কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় মনে করি গবেষণা ছাড়া কখনো উৎকর্ষ সাধন করা যায় না। আর যেহেতু কৃষিনির্ভর দেশ, আমরা গবেষণার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান সেগুলো গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। ’
তিনি বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সব সময় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আঘাত আমাদের ওপর আসে। সেজন্য গবেষণা সবসময় অব্যাহত রাখতে হবে এবং এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ফসল উৎপাদন করতে হবে। শুধু ধান উৎপাদন নয়, ধানের সঙ্গে আমাদের তরকারি, ফলমূল সবকিছু উৎপাদনে বাংলাদেশ একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ’
কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কথা স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সব সময় বলে গেছেন এবং ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। আজকে আমরা সে ব্যাপারে যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা যান্ত্রিকীকরণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিচ্ছি, ভর্তুকি দিচ্ছি, উপকূল অঞ্চলে প্রায় ৭০ শতাংশ আমরা ভর্তুকি দিই এবং অন্যান্য অঞ্চলে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি। ’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। সেজন্য দক্ষ মানবশক্তি তৈরি করতে আমরা ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশ্বে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে, আমাদেরও সেসঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। ’
এর আগে গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনের পর তিনি বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্রের বিভিন্ন উদ্ভাবন ঘুরে ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্স ইনস্টিটিউটের (আইআরআরআই) মহাপরিচালক জেইন বালিই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির (সিইইউ) নির্বাহী পরিচালক ড. স্টেভিন ওয়েব, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবির।
উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে থানায় মারধরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন। আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সোস্যাল মিডিয়ায় আমি বুলিংয়ের শিকার। অনেকে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। একটি ছবি ছড়িয়ে দিয়ে হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনী প্রচার করছে। যে কেউ ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবে- ওই ছবির নারী আমি নই। এর আগে অনেক ইস্যুতে অনেকেই বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এবার আমি এর শিকার।’
সানজিদা আরও বলেন, ‘হাসপাতালে কী ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে পুরো বিষয় বেরিয়ে আসবে। ঘটনার দিন হাসপাতালে আমার স্বামী পৌঁছার পর আমাকে কোনো কিছু নিয়ে প্রশ্ন করেননি। আমার স্বামী প্রথম এডিসি হারুন স্যারের ওপর চড়াও হন।’
এডিসি হারুনের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হারুন স্যারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি শুধুমাত্র আমার কলিগ। তবে হারুন স্যারের সহযোগিতা নিয়েছিলাম। তিনি আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।’
সানজিদা আরো বলেন, ‘ইনটেনশন (উদ্দেশ্য) দেখে মনে হয়েছে, তারা আমাদের দু’জনকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে একটা ভিডিও করতে চাচ্ছে। পরবর্তীতে তারা সেটি ইউজ (ব্যবহার) করবেন, একটি অসৎ উদ্দেশ্যের জন্য হতে পারে।’
পরিকল্পিতভাবে আপনার স্বামী এই ঘটনা ঘটিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে সানজিদা বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না বলতে পারব না। তবে তিনি খুব মারমুখী ছিলেন।’
সানজিদা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত এবং ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সানজিদা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আমার কার্ডিয়াক সমস্যা হচ্ছিল। ২০১৯ সাল থেকে আমি হাইপার টেনশনের মেডিসিন খাচ্ছি। চার-পাঁচ মাস ধরে সমস্যাটা বেড়ে যায়। শনিবার ব্যথা বেড়ে যায়। সেদিন ফ্রি সময় থাকায় ডাক্তার দেখাতে চাই। আমি যে ডাক্তারকে দেখাই, তিনি দেশের বাইরে থাকায় ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে এডিসি হারুন স্যারকে একটি সিরিয়াল করে দিতে বলি। তিনি ওসির মাধ্যমে সিরিয়াল ম্যানেজ করে দেন।’
ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সন্ধ্যায় ৬টায় আমি সেখানে যাওয়ার পরে দেখি, যেই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়েছে তিনি একটি কনফারেন্সে আছেন। বিষয়টি হারুন স্যারকে জানালে, তিনি আশপাশে থাকায় হাসপাতালে আসেন। তিনি এসে একজন ডাক্তারকে ম্যানেজ করেন। তাকে দেখানোর পর বেশ কিছু টেস্ট দেন।’
ঘটনার সময় ইটিটি রুমে ছিলেন দাবি করে সানজিদা বলেন, “এ ঘটনার সময় আমি যে রুমে ইটিটি করানো হয় সেই রুমে ছিলাম। ইটিটি করানোর ১৫-২০ মিনিট পর আমি বাইরে একটা হট্টগোলের শব্দ শুনি। প্রথম যে সাউন্ডটা (শব্দটা) কানে আসে যে স্যারই (এডিসি হারুন) চিৎকার করে বলছেন, ‘ভাই, আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না’।”
তিনি আরো বলেন, ‘আমার প্রথমে ধারণা হয়েছিল যে, হয়তো অন্য কারো সঙ্গে ঝামেলা। কিছুক্ষণ পর আমি দেখতে পাই আমার হাজব্যান্ড (আজিজুল হক মামুন), উনি আসলে ওখানে কী করছিলেন, কেন গিয়েছিলেন আমি জানি না। ওনাকে টোটালি আউট অব মাইন্ড লাগছিল (মানসিকভাবে স্থির ছিলেন না) এবং খুবই উত্তেজিত ছিলেন। ওনার সঙ্গে আরো কয়েকজন ছেলে ছিল, আমি আসলে তাদের চিনি না। তারা স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে এলেন।’
‘তারা মূলত স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে, টেনে-হিঁচড়ে এই রুমে নিয়ে আসে। স্যার তাদের হাত থেকে বাঁচতে ইটিটি রুমের এক কোনায় গিয়ে দাঁড়ান’, যোগ করেন সানজিদা।
সানজিদা বলেন, “এরপর আমার হাজব্যান্ড তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে বললেন, ‘এই ভিডিও কর।’ পরে সবাই ফোন বের করে ভিডিও করা শুরু করে। যখন তারা ভিডিও শুরু করে তখন আমি আমার হাজব্যান্ড এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি শুরু করি। এরপর আমি যারা ভিডিও করছে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের হাতের সঙ্গে লেগে আমিও হাতে সামান্য ব্যথা পাই। তার কারণ আমি চাচ্ছিলাম না সেই অবস্থায় কেউ আমার ভিডিও করুক। আর তাছাড়া আমার হাজব্যান্ডের সঙ্গে যেসব ছেলে ছিল আমি তাদের কাউকে চিনতামও না।”
তিনি আরও বলেন, ‘ওই অবস্থায় আমার হাজবেন্ড আমার গায়ে হাত তোলে এবং স্যারকে বের করার চেষ্টা করে। তখন স্যারের কাছে বিষয়টি সেফ মনে হয়নি। এরপর স্যার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন। তখন হাসপাতালের সিকিউরিটির লোকজনও আসেন। এর ১০/১৫ মিনিট পর থানা ফোর্স এলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের ২ কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানার ভেতিরে নিয়ে বেড়ধক পেটান। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পিটিয়েছেন।
সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :
দেশবাসীকে কুরবানির ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার এক ভিডিওবার্তায় এ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে তার উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বছর ঘুরে আবার আমাদের মাঝে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা, কুরবানির ঈদ। কুরবানি অর্থ ত্যাগ। ক্ষুদ্রতা, নিচুতা, অহংকার, স্বার্থপরতা ত্যাগের মাধ্যমে কুরবানির ঈদ সার্থক হয়ে উঠে।
‘ত্যাগের মহিমা উজ্জীবিত হয়ে আমরা মানব কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করি। সৌহার্দ্য এবং ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই।’
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদ থাকুন, সুস্থ থাকুন। খোদা হাফেজ। ঈদ মোবারক৷
চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালের বাবুগঞ্জে হাত-মুখ ধুতে গিয়ে পা পিছলে খালের পানিতে পড়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ওই উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাকুদিয়া নতুনহাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত তামান্না তামিদার (১৫) দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামের আব্দুল বারেক তামিদারের মেয়ে এবং স্থানীয় জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিল।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি তুষার কুমার মন্ডল জানান, তামান্না সকালে বাড়ির পাশের খালে হাতমুখ ধুতে যায়। অসাবধানতাবশত পা পিছলে পানিতে পরে যায় সে। সাঁতার না জানায় সে খালের গভীরে পানিতে ডুবে যায়। তামান্নাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেন। প্রতিবেশীরা প্রায় ২ ঘণ্টা খালে জাল দিয়ে তল্লাশি করে তামান্নার নিথর দেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের কারো অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।