চলারপথে রিপোর্ট :
চরের ফসলি ও খাস জমির উর্বর মাটি কেটে বাল্কহেড দিয়ে মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।
কৃষকরা ইটভাটার মালিক ও তাদের দালালদের প্রলোভনে পড়ে দেদারসে বিক্রি করছে ফসলি জমির উপরিভাগের (টপ সয়েল) উর্বর মাটি। এতে ফসলি জমির আবাদ
হুমকিতে পড়েছে।
আইন অমান্য করে ক্ষমতাসীন দলের কয়েক প্রভাবশালী নেতা ২৪টি পাওয়ার ট্রলির মাধ্যমে দিনরাত চরের ফসলি জমির মাটি কেটে বড় বড় দুটি বাল্কহেডের মাধ্যমে নিচ্ছে বিভিন্ন জেলার ইটভাটায়।
ব্যক্তি মালিকানা জমির পাশাপাশি চরাঞ্চলের সরকারি খাস জমির মাটিও কেটে নিচ্ছে তারা। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এসব জমির মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ছয় চাকার নম্বরবিহীন পাওয়ার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।
শুধু তাই নয়, চর মানিকনগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর তীরে অবৈধভাবে অস্থায়ী ফেরি দিয়ে পল্টুন বানিয়ে বড় বড় মালবাহী বাল্কহেডের মাধ্যমে এসব মাটি চলে যাচ্ছে নরসিংদী, নায়ারণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার ইটভাটায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চর মানিকনগরের চরের ফসলি জমি ও সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে তার পাশেই সদ্য খননকৃত একটি বিশাল পুকুর।
স্থানীয়রা জানান, নিষিদ্ধ ভেকুর সাহায্যে প্রায় দেড় মাস ধরে মাটি কেটে বিভিন্ন ভাটায় নেয়া হয়েছে। এখন তারই পাশে ফসলি জমি থেকে এক্সকেভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে নিয়ে গভীর গর্ত করা হচ্ছে।
গত দেড় মাস ধরে ২৪টি পাওয়ার ট্রলির মাধ্যমে মাটি কাটা হচ্ছে, এতে ফসলি জমির আয়তন হ্রাস পাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মাটিকাটার সঙ্গে জড়িত নাসিরাবাদ গ্রামের সাবেক মেম্বার কাদির, নাসিরাবাদ পুরানপাড়ার জামাল, শ্রীঘর গ্রামের যুবলীগ নেতা আলমগীর, চর মানিকনগর ওসমান মিয়া।
স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ইটভাটার মালিকরা কৃষকদের প্রলোভন দেখিযে দেদার ভেকু মেশিন দিয়ে এসব ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে।
এরপরও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আইন অনুযায়ী, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পুকুর, খাল-বিল, নদ-নদী, চরাঞ্চল, পতিত ও আবাদি জমি থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে জমির মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ছয় চাকার পাওয়ার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।
মাটিকাটার সঙ্গে জড়িত জামাল মিয়া বলেন, আমরা দেড় মাস ধরে মাটি কিনে কেটে নিচ্ছি। সরকারি খাস জমি পাশে হলে আমরা ওই জমি কাটি না। এসব মাটি বিভিন্ন জেলার ইটভাটায় বিক্রি করি ১০ টাকা ফুট হিসেবে।
আমার সঙ্গে অনেক বড় বড় মানুষই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে, কিন্তু তাদের নাম বলা যাবে না।
মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা তো কৃষকের কাছ থেকে মাটি কিনে ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করছি। এই জমির পাশে হয়তো খাস জমি আছে, এইসব খাসজমি থেকে মাটি না কাটার জন্য ভেকু চালককে বলে দিয়েছি।
এবিষয়ে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মেহেদী হাসান জালাল মিয়া বলেন, চর মানিকনগর আমার ওয়ার্ডে পড়েছে। মাটি কাটার বিষয়ে আমি শুনেছি।
শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এখান থেকে কোন টাকা-পয়সাও নেই না, আমি এসবের সঙ্গে জড়িতও না। ওরা মাটি কাটে শুনছি, তবে খাস জমি নাকি মালিকানা জমি থেকে কাটছে জানি না। দুই একদিনের মধ্যে আমি সরজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে নবীনগর ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, যেহেতু অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে শুনলাম এখন আমি স্থানীয় তহসিলদারকে পাঠাবো ঘটনাস্থলে। যদি ঘটনা সঠিক হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমি তো বিষয়টা জানি না। এখনই এ্যাসিল্যান্ডকে বলছি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম এর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের নামে জনসাধারণের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিগত কয়েক মাস ধরে ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জেলা প্রশাসকের ‘খন্ডকালিন কর আদায়কারি’ পরিচয় দিয়ে মাসুদ নামে এক ব্যক্তি বিগত ৫ বছরের কর আদায় করছেন। খন্ডকালীন কর আদায়কারী পরিচয় দানকারী আইডেন্টটি কার্ড কিংবা জেলা প্রশাসকের কোন অনুমোদন পত্র দেখাতে পারেননি।
জানা যায়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের রশিদ বহিতে বিগত ২০১৭-১৮, ১৮-১৯, ১৯-২০, ২০-২১, ২১-২২ এই পাঁচ অর্থ বছরের বাস্তভিটা কর প্রতিটি বাড়ি ঘরের শ্রেনীভেদ অনুযায়ী ৩০০ থেকে ২০০০ টাকা করে আদায় করছে। অথচ ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের সরকারি তথ্য মোতাবেক বিগত২০১৭-১৮ থেকে ২১-২২ পাচঁ অর্থ বছরের কর পরিশোধিত রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের বিধি অনুযায়ী কর আদায়ের রেজিস্ট্রার বহি শুধু এক অর্থ বছরের জন্য এবং কর আদায়ের বিগত বছরের রশিদ বহি তাদের নিজ নিজ পরিষদে রেজিস্ট্রার স্টকে সংরক্ষিত থাকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইউনিয়ন পরিষদের বার্ষিক আয়-ব্যায়ের বিবরণীতেও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের সকল তথ্য আলাদাভাবে হালনাগাদ করা রয়েছে। এরপরও জনগণের কাছ থেকে জোর পূর্বক কর আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত চেয়ারম্যানগণ বে-আইনিভাবে জোরপূর্বক কোন কর চাপিয়ে দেয়নি। জনগণের কথা চিন্তা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে তারা কর জমা দিয়েছে।
৯ নং ওয়াডের বাসিন্দা মজনু মিয়া জানান, বিগত সময়ে আমরা এমন দেখেনি, তারা আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫ বছরের কর আদায় করেছে।
এ ব্যাপারে ৯ নং ওয়ার্ডের অপর এক বাসিন্দা বাকির হোসেন বলেন,আমার ভাই ঘর তুলেছে পাঁচ মাস হয়েছে কিন্তু আমার কাছ থেকে তারা জোরপূর্বক ৫ বছরের কর আদায় করেছে।
২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন,আমাদের অজান্তে বে-আইনীভাবে চেয়ারম্যন বিগত পাঁচ বছরের টাকা তুলছে যা সে ব্যক্তিগত ভাবে টাকা আত্মসাৎ-এর জন্য করেছে। আমরা নির্বাচিত হয়েছি ১ বছর হলো,বিগত চেয়ারম্যান তাদের আমলের কর সমন্বয় করে পরিশোধ করে দিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়া বলেন, তিনি এবং তার পূর্বের সকল চেয়ারম্যানগণ সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে কর সমন্বয় করে পরিশোধ করে দিয়েছেন। চেয়ারম্যান টাকা আত্মসাৎ-এর জন্য জনগণের উপর চাপ দিয়ে এ কর আদায় করছে। কর আদায় নিয়ে জনগনের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়াররম্যান নূরে আলম কর আদায়ের ব্যাপারে তার কোন এখতিয়ার নেই জানিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের তার অফিসে চায়ের আমন্ত্রন জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম কে তাঁর সরকারি ০১৭৩০৪৪৯৬০ নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালে কোন জবাব দেননি। তবে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, আমার জানা মতে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে কাউকে কর আদায়ের জন্য পাঠানো হয়নি। জেলা প্রশাসক মহোদয় আপনার ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়ে আমাকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরের জিনদপুর ইউনিয়নের চারপাড়া এলাকায় গতকাল ২৪ জুলাই বুধবার রাতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে সাতটায় পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার টংকি ইউনিয়নের বাইরা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে ছাব্বির (২০) মোটরসাইকেল যোগাযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর আসার পথিমধ্যে চারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বিপরীত থেকে আসা রাব্বির মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইটি মোটরসাইকেলে থাকা ৩জন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছে ছাব্বির (২০), জিনদপুর গ্রামের হাফেজ মিয়ার ছেলে রাব্বি (২১) ও জিনদপুর ইউনিয়নের মালাই গ্রামের কাদির মেম্বারের ছেলে পিয়াস। ঘটনাস্থলে ছাব্বির ও কুমিল্লা নেওয়ার পথে রাব্বি ও পিয়াস মারা যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন মারা গেছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে সাইমা মম নামের ৯ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। সাপটি কোবরা জাতের সাপ ছিলো বলে নিশ্চিত করেন পারিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী।
২ সেপ্টেম্বর সোমবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টায় সাইমা মারা যায়।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কান্দি-রেজতপুর গ্রামের নাসিরুদ্দিন স্বপনের মেয়ে।
সাইমার বড় ভাই ইমন শাহরিয়ার জানান, নিজ বসতঘরে সাইমা রাতের খাবার খেয়ে পানি খাওয়ার জন্য পাশের রুমে গেলে সেখানে থাকা একটি সাপ তার পায়ে কামড়ে দেয়। এ সময় সে কান্নাকাটি শুরু করলে আমরা ছুটে আসি। সেখান থেকে সাপে কেটেছে বুঝতে পেরে তাকে নবীনগর উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে সাপের ভ্যাকসিন এন্টিভেনম না থাকায় চিকিৎসকরা তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কুমিল্লা নেওয়ার পর চিকিৎসারত অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টায় সাইমার মৃত্যু হয়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাসমিত করিম বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয়। আমাদের এখানে সাপে কামড়ের ভ্যাকসিন এন্টিভেনম না থাকায় এ সময় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় জান্নাতুল রাইসা (৫) ও রাইকা আক্তার রাইসা (৪) নামে আপন দুই বোনের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের বাড়িখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই দুই বোন বাড়িখলা দক্ষিণ পাড়ার সিঙ্গাপুর প্রবাসী মাহাবুবুর রহমান সাইফুল এর সন্তান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো বাড়ির আঙিনায় খেলাধুলা করছিলেন দুই বোন জান্নাতুল রাইসা (৫)ও রাইকা আক্তার মাইশা(৪) সেখানে থেকে হঠাৎ করে ফুটবল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন বাড়ির উঠানে।
কিছুক্ষণ পর তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাদের খোঁজ শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ খুজে তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা টেনশনে পাড়ে প্রতিবেশীদের ডাক দেন।সবাই মিলে অনেক খোঁজাখুঁজি ও মার্কিং শুরু করেও কোন ফল পাচ্ছিলেন না। পরে তারা নিকটস্থ রাধানগর গ্রামের কয়েকজন জেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন,এমন সময় তারা বাড়ির পাশে জলাশয়ে ফুটবল ভাসছে দেখে সন্দেহ করে পানিতে নেমে দুই শিশুকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করেন।মুহুর্তের মধ্যে মৃত্যু দুই বোনের লাশ দেখে ওই বাড়িতে কান্নার রোল নেমে আসে।
স্থানীয়দের ধারণা, ফুটবল খেলার সময় বলটি পানিতে পড়ে যাওয়ার কারণে নিশ্চয়ই তারা দুই বোন একে একে বলটি আনতে গিয়ে জলাশয়ে নামেন। এরপর পিছলিয়ে সেখানে পড়ে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে মাহাবুবুর রহমান সাইফুলের স্ত্রী রূপালি আক্তার গ্রামে বসবাস করতেন। হঠাৎ করে আদরের দুই মেয়েকে হারিয়ে তিনি সহ পুরো পরিবার বাকরুদ্ধ। এ ঘটনায় বাড়িখলা গ্রামে শোকে মাতম হয়ে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, ৭টি কার্তুজ এবং ২টি দা উদ্ধার করা হয়। গতকাল ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধারাভাঙ্গা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলেন নরসিংদী জেলার অলীপুর গ্রামের আরমান (৪২), একই গ্রামের কাজী তারেক (৩৪), আমজাদ হোসেন (২৭), সাজ্জাদ মনা (২২), আশরাফুল ইসলাম হিমেল (২০) ও আবু সাঈদ (২৭)।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বালু মহালের সামনে থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত স্পিডবোটসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। বালু মহালসহ এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে তারা সংঘবদ্ধ হয়েছিলো। তাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা ও একটি অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।