চলারপথে ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কৃষ্টি-সংস্কৃতি-সাহিত্যে বাঙালিরা অনেক দেশের চেয়ে উন্নত। উপমহাদেশেও অনেক ভাষাভাষীর চেয়ে আমাদের সংস্কৃতির ভিত গভীরে প্রোথিত। তাই আমরা কাউকে অনুকরণ করব না; বরং এই আকাশ-সংস্কৃতির যুগেও এমনভাবে সংস্কৃতি চর্চা করব, যাতে আমরা অনুকরণীয় হয়ে উঠতে পারি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ-সিজেএফবি আয়োজিত ‘২১তম পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই দেশজুড়ে সংস্কৃতি চর্চার জোয়ার বয়ে যাক। আগামী প্রজন্মকে আত্মকেন্দ্রিকতা ও মৌলবাদের দিকে ঝুঁকে পড়া থেকে রক্ষায় এর বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্লোবাল টেলিভিশনের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, ই-কমার্স সংস্থা কিউকম ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিপন মিয়া, অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক অন্তর শোবিজ চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী এবং আয়োজক সিজেএফবির সভাপতি তামিম হাসান, প্রধান উপদেষ্টা এনাম সরকার ও সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে অভিনেতা তারিক আনাম খান আজীবন সম্মাননা এবং সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, অভিনেত্রী শমী কায়সার, চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা, অনুষ্ঠান সংগঠক স্বপন চৌধুরী ও সাংবাদিক মোর্শেদ নোমান বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন। পাশাপাশি নির্বাচিত সংগীত ও অভিনয় শিল্পীসহ সবার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের নিজ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু সরকারি দলের নয়, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। আগামী নির্বাচনকেও অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ করতে সরকারি দলের যেমন দায়িত্ব আছে, বিএনপিসহ বিরোধী দলেরও দায়িত্ব আছে। কেউ যদি নির্বাচন বর্জন করে কিংবা প্রতিহতের অপচেষ্টা চালায়, তাহলে নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য করার দায়দায়িত্ব তাদের।
তিনি আরো বলেন, বিদেশিদের আনাগোনা সব সময় ছিল, তাদের আনাগোনা বেশি হওয়া ভালো। তারা বাংলাদেশের ওপর আগ্রহ দেখাচ্ছে, এটি দেশের জন্য ভালো। বাংলাদেশ যেহেতু ইমার্জিং ইকোনমি, বিদেশিরা একটু বেশি আসবে। আমাদের বাণিজ্য বহুমুখীকরণ হবে, আমরা আমাদের পণ্য বিক্রি করতে পারব।
চলারপথে রিপোর্ট :
হাওর এলাকায় বিনাচাষে মাসকলাই উৎপাদন বিষয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা হাওরে মাঠ দিবসের আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) এর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. দেবাশীষ সরকার। গাজীপুর বারির চীফ সাইন্টিফিক অফিসার (সিএসও) ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত উপ পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ, গাজীপুর বারির উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অপূর্ব কুমার চাকী ও ড. তাসলিমা জাহান।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন কিশোরগঞ্জ বারি সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন। মাঠ দিবসে স্থানীয় ৮০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
কিশোরগঞ্জ বারি সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল ইফাদের অর্থায়নে সার্ক কৃষি কেন্দ্রের সমন্বয়ে কনসর্টিয়াম ফর স্কেলিং আপ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার ইন সাউথ এশিয়া (C-SUCSeS) প্রকল্পের মাধ্যমে এ বছরই প্রথম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা হাওরে দশ একর জমিতে এ জাত আবাদ করা হয়। স্থানীয় কৃষক মো. কুতুব উদ্দিন ও আবুল হাসেম মুন্সির নেতৃত্বে ২৫ জন কৃষকের মাঠে গত বছরের ৩০ অক্টোবর এ জাতটি আবাদ করা হয়।
বারির মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. দেবাশীষ সরকার জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৯৬ সালে বারি মাস-৩ নামে মাসকলাইয়ের একটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করে। স্থানীয় জাতের চেয়ে এই বীজের আকার বড় হয়। জীবনকাল ৮০-৮৫ দিন। এতে আমিষের পরিমান ২১-২৪ শতাংশ। ফলন হেক্টর প্রতি ১৫০০-১৬০০ কেজি। এ জাত হলদে মোজাইক রোগ প্রতিরোধী । এ জাতের শুটিতে ঘন শুং আছে। হাওর এলাকার যে সমস্ত জমি থেকে অক্টোবরের শেষে পানি নেমে যায়, সে সকল জমিতে এটি চাষ করলে সহজেই বোরো ধান আবাদ করা যায়। ছিটিয়ে বপন করলে হেক্টর প্রতি ৩৫-৪০ কেজি বীজ লাগে। বিঘা প্রতি ইউরিয়া সার লাগে ৫-৬ কেজি, টিএসপি ১০-১৩ কেজি, এমওপি ৫-৬ কেজি, জিপসাম ৭-৮ কেজি, বোরন ১-১.৫ কেজি। সকল সার জমিতে বীজ বপনের আগে প্রয়োগ করতে হয়।
বালিখলা হাওরে বিনাচাষে নতুন এ জাতের মাসকলাইরে জমি পরিদর্শন করে মহাপরিচালক বলেন, এ জাতটি কৃষকদের মাঝে বিপুল উৎসাহের সৃষ্টি করেছে। এর ফলনও আশানুরূপ হয়েছে।
কৃষক কুতুব উদ্দিন জানান, নতুন মাসকলাইয়ের জাতটি সম্পূর্ণ বিনাচাষে আবাদ করা হয়েছে। এর আগে কৃষি গবেষণা বিভাগ কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ এবং বিনামূল্যে বীজ দিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ফসলের কর্তন শুরু হবে। ফলন ভালো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এটি দেখে স্থানীয় আরও অনেক কৃষক এই মাসকলাই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারে বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একমাত্র সামাজিক ন্যায়বিচারই স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করতে পারে। বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারকে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
আজ ১৪ জুন বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩’ এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক জোট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ সকল আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রে সামাজিক ন্যায়বিচারকে স্থান দেওয়ার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচটি পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম পরামর্শে বলেন, এই জোটটিকে একটি মান-নির্ধারক বা দরকষাকষির ফোরামের পরিবর্তে একটি পরামর্শমূলক বা অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয় হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক ন্যায়বিচারকে এক আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক অন্য মহলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে এই জোটকে সতর্ক থাকতে হবে। তৃতীয়ত, এই জোটকে একটি নিয়মতান্ত্রিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার আওতায় সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি সংরক্ষণবাদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, বরং এর ব্যাপক প্রসারে ভূমিকা রাখার বিষয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। চতুর্থত, শোভনকর্ম এবং উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য এ জোটের বিষয়ে আইএলও’র নিজস্ব অংশীজনদের থেকে ব্যাপক সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে, আমাদের তরুণ সমাজকে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ জোটকে মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান শতাব্দীর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের জন্য আমাদের একটি নতুন সামাজিক চুক্তি তৈরি করতে হবে। এই সামাজিক চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হবে- টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’
উল্লেখ্য যে, শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ আইএলও’র দশটি মৌলিক সনদের মধ্যে আটটিতে অনুস্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ক দুটি নতুন মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষরের বিষয়টিও আমরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, শ্রম অধিকার নিয়ে সোচ্চার কয়েকটি উন্নত দেশ এখন পর্যন্ত নিজেরা অধিকাংশ মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষর করেনি। যেমন, একটি বড়ো শিল্পোন্নত দেশ মাত্র দুটি মৌলিক সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে।’
শিশুশ্রমের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে বাংলাদেশ সম্প্রতি আইএলও সনদ ১৩৮ অনুস্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার আটটি ঝুঁকিপূর্ণ খাতকে শিশু শ্রমমুক্ত ঘোষণা করেছে। এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি সুস্থ ও নিরাপদ আগামী প্রজন্মের স্বার্থে শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএলও’র সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৩ ও ২০১৮ সালে দুইবার বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধন করেছে। অধিকন্তু, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫-এ সংশোধন করা হয়েছে। এ বছর নাগাদ শ্রম আইন, ২০০৬-এ আরও সংশোধনী আনার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ প্রয়োগর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ও সাতটি শ্রম আদালতের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আরও ছয়টি শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া, সামাজিক অংশীদারদের অংশগ্রহণে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, দেশের কারখানাগুলোর জন্য একটি ‘শিল্প পুলিশ’ ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার চার দিনের পরীক্ষা স্থগিত করার তথ্য দেন।
তপন কুমার জানান, আগামী ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্টের অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এসব পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে পরবর্তীতে আমরা তা জানিয়ে দেব।
কোটা আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এর আগে দুই দফায় চার দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
গত ১৮ জুলাই আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির তিন দিনের পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানানো হয়েছিল।
সেদিনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, অনিবার্য কারণবশত ২১ জুলাই, ২৩ জুলাই এবং ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য সব শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হলো। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তার আগে গত ১৫ জুলাই রাতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করার কথা বলা হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা কর্মশালায় অংশ নেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে, সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে, এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার বিষয়টির সমাধান করবে।
তিনি বলেন, সকল পেশাদার সাংবাদিকদের দাবি, সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক, একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক, একটা সংজ্ঞায়ন থাকুক কে সাংবাদিক, কে সাংবাদিক না। সাংবাদিকরাই বলছেন, সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত। কেন বলছেন, কারণ অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। যার দ্বারা সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যখনই সরকার বলবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আবার আরেক গোষ্ঠী বলে তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়। অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি। তথ্য এবং অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইনই নয়, যে কোন আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না কোনো আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া তেওয়ারী হাট বাজারের বিভিন্ন রাইচ মিলে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় রাইচ মিলগুলোতে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অমান্য করায় ৫ টি চালের দোকানীকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।
আজ ৫ জুলাই বুধবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ শাহজাহান।
অভিযানকালে পাট পরিদর্শক বাবুল চন্দ্র দাস, লোহাগাড়া থানার এসআই মোজাম্মেল হকসহ পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শাহজাহান জানান, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের তেওয়ারিহাট বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অমান্য করায় বাহাদুর অটো রাইচ মিল, আল মক্কা অটো রাইচ মিল, আল ছাফা অটো রাইচ মিল,শাহজালাল অটো রাইচ মিল সহ মোট ৪ টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে ও জনকল্যাণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।