চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের ভোলাচং গ্রামের কৃতি সন্তান নবীনগর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব খায়েরএর ছোট মেয়ে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে এল এল বি এবং ইউনিভার্সিটি অফ বিপিপি থেকে বার- এট – ল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। নবীনগর উপজেলায় তমা এই প্রথম নারী বার- এট – ল ডিগ্রি অর্জন করেন। এতে তার পিতার স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে। তার এই অর্জনে নবীনগর বাসী খুশী। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিপর্যায়ে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শিক্ষা জীবনে তমা নবীনগর কল্লোল কিন্ডার গার্ডেন থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। তারপর ঢাকার উত্তরা রাজউক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উর্ত্তীণ হন।
তমা একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নবীনগরের সর্বস্তরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এবং সমাজ ও মানুষের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির কর্মকাণ্ডে সমালোচনা করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি মানে বগুড়া-নোয়াখালী পার্টি। এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়।
এটি স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয়স্থল। বড় আশা করে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগাযোগ করেছিল। তারা এসে ঘুরেও গেছে। তাদের একটিই প্রশ্ন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরাও চাইছি সেটা। এখন তারা বিপদে পড়ে গেছে। ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও থেকে তাদের বের হয়ে আসতেই হবে।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকেলে নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় রাজনৈতিক-সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে বানচাল করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে যদি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হই তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সুতরাং নির্বাচন সময়মতো হবে। সেই নির্বাচনে জনমত কাজে লাগিয়ে কীভাবে আমরা আবারও সরকার গঠন করতে পারি- সেই চেষ্টা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত কুমার দেব, জেলা পরিষদের সদস্য নাসির উদ্দিন ও সংস্কৃতিকর্মী শুকলা রানী ভট্টাচার্য প্রমুখ। মতবিনিময় সভা শেষে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিশেষ প্রতিনিধি :
নবীনগরে আজ ৩ মে বুধবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এসডিজি বাস্তবায়নে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি।
প্রধান আলোচক ছিলেন মো. আখতার হোসেন মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জুয়েনা আজিজ সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ড. মো. কাউসার আহাম্মদ সদস্য সচিব পরিকল্পনা কমিশন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, মো. মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, শিউলি রহমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নবীনগর, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার সহ সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রথম স্বাধীনতার পর সরকারি ভাবে নবীনগর উপজেলায় চারজন সচিব পদমর্যাদার ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে অভীষ্ট লক্ষ্য তা মানুষের কাছে উপস্থাপন করার জন্য একসাথে উপস্থিত হয়েছেন। অতিথিগণ সকলেই এসডিজির ১৮ টি লক্ষ্যমাত্রা তা সুন্দর ও সাবলীল ভাবে সকলের নিকট উপস্থাপন করেন। এসডিজির বাস্তবাবনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে। আমরা সকলেই সমন্বিত ভাবে কাজ করলে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি ত্বরান্বিত করতে সহজ হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এসডিজির ১৮টি গোল্ড বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রথম হওয়ায় জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রামবাংলায় গ্রীষ্মকালে যে বনফুলটি বেশি চোখে পড়ে, সেটি হল- বরুণ গাছের ফুল। গাছ ভরা অফুরন্ত প্রস্ফুটিত এ ফুল প্রকৃতিতে এক অনাবিল উচ্ছ্বাস এনে দেয়। বরুণকে নবীনগরের আঞ্চলিক ভাষায় বলে বন্না ফুল। গ্রামের শিশুরা বরুণ ফুল ও ফল খেলার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে। এখন বরুণ ফুল ফোটার সময়, এ সময় গ্রামে গেলে নয়নাভিরাম বরুণ ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্যে বিমোহিত না হয়ে উপায় নাই। বরুণের বৈজ্ঞানিক নাম-Crateva religiosa. ইংরেজি-sacred garlic pear এবং temple plant . এটি Crateva গণের একটি ফুল। এদের অন্য নাম হল- বালাই লামক, অবিয়ুচ, বন্না, এবং বিদাসি। এটি জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং কতিপয় প্রজাতি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় গাছ। বাংলাদেশের মানুষ অতীতকালে ফল পাকাতে এই গাছের পাতা ব্যবহার করতেন। বর্তমানে ফল পাকাতে ক্ষতিকারক ক্যালসিয়াম কার্বাইডের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এই গাছের কদর এখন নেই। বর্ষায় বরুণের ফল ঝুলে থাকতে দেখা যায়, ফল দেখতে কদবেলের মত। গাছ মাঝারি ধরনের এবং প্রচুর ডালপালা যুক্ত। বাকল ছাই রঙের মধ্যে সাদা সাদা ফোঁটা যুক্ত। পাতা যৌগিক, তিনটি পত্রক একক বোঁটায় জন্মে। ফুল চৈত্র-বৈশাখ মাসে ফুটে। ফুলের পাপড়ি ঘিয়ে রঙের, পুংকেশর দেখতে অনেকটা বিড়ালের গোঁফের মতো। মাঘ ফাগুনে পাতা ঝরে যায়, পূর্ণ প্রস্ফুটিত বরুণ গাছ বড়ই দৃষ্টিনন্দন। হাজারো ফুলের মাঝে নিচু জলাভূমিতে বসন্তে স্নিগ্ধতা ছড়ায় বরুণ ফুল। বরুণ ভাটি এলাকায় বেশি জন্মায়, নবীনগরের যে গ্রাম গুলো পানিতে তলিয়ে যায় সে গ্রাম গুলিতে অনেকটা অনাদর অবহেলায় আজ ও টিকে আছে বরুণ গাছ।
বরুণের ভেষজ গুণ :- অর্শরোগীরা রোগে খুব কষ্ট পেলে তিলের তেলে মাখানো বরুণ পাতা জলে সিদ্ধ করে ওই জলে গোসল করলে অর্শ রোগের ব্যথা-বেদনা দূর হয়। এর পাতা চর্মরোগ, ব্যথা, বাত নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। শিকড়ের বাকলের নির্যাস গ্যাস্ট্রিক রোগে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা ফল রান্না করে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। শ্রীলঙ্কায় বাতের রোগে বরুণ পাতা ব্যবহৃত হয়। খাওয়ার আগে বরুণের মুকুল একটু লবণের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ক্ষুধা বাড়ে। পিত্তপাথরের রোগে ১০ গ্রাম বরুণের বাকল কেটে ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে অর্ধেক অবস্থায় নামিয়ে সকাল-বিকাল সেবন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। মেয়েদের মুখের মেছতা দূর করতেও বরুণ বেশ উপকারী। এ ক্ষেত্রে বরুণ বাকল ছাগলের দুধে মিশিয়ে দৈনিক একবার করে মুখের কাল দাগে লাগালে দাগ ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়। যাদের শরীরের গাঁটে গাঁটে বাতের ব্যথা, এমনকি পায়ের তলাতেও ব্যথা ও ফোলা, তারা শুষ্ক বরুণ পাতা (৫-৭ গ্রাম) ৩ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে আনুমানিক ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে পানিটা আধা গ্রাম শুষ্ক আদাচূর্ণের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে ও বিকালে খেলে ব্যথা ও ফোলা দুটোই কমে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জোরপূূর্বকভাবে ‘পদত্যাগ’ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার প্রভাবশালীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ঘটনায় অধ্যক্ষকে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা এলাকায় বিক্ষোভ করে আন্দোলনে নেমেছে।
এদিকে এ ঘটনার পর আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্বিগ্ন প্রধান শিক্ষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে দেখা করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর প্রতিকার চেয়েছেন।
এ বিষয়ে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউছার বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলার সকল শিক্ষকদের নিয়ে মানববন্ধন করে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজে রবিবার আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম খানের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী লোক অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে জানতে চান, আমরা কেন আসছি আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন? জবাবে অধ্যক্ষ ‘না’ বলার পরই তারা উচ্চস্বরে চেঁচিয়ে তাকে এক্ষুণি পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
অধ্যক্ষ তখন বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ইউএনওর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও আগত ব্যক্তিরা তাকে সেই সময়টুকু দিতে চাননি। এক পর্যায়ে লোকজনের প্রচন্ড চাপে পড়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদাউসুর রহমান একটি সাদা কাগজে ‘পদত্যাগ’ করে কলেজ থেকে চলে যান।
গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর লেখা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ওই পদত্যাগপত্রে অবশ্য কোনো ধরণের কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিদ্যালয়ের সামনে স্লোগান দিতে থাকে। গত সোমবারও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পুনর্বহালের দাবিতে এলাকায় দিনভর বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভের সঙ্গে বলে, সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের প্রিন্সিপাল স্যারকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা স্যারকে স্বপদে বহাল দেখতে চাই। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলবে।
এ বিষয়ে ফেরদাউসুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীর আলম খানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বহিরাগত তখন আমাকে পদত্যাগের জন্য ধমকাচ্ছিলেন। তাদের সাথে কোন শিক্ষার্থী ছিলো না। এদের মারমুখী আচরণে আমি এক পর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখে দেই। নয়তো আমাকে ওরা তখনই প্রাণে মেরে ফেলতো। বিষয়টি পরে ইউএনও মহোদয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে পদত্যাগে বাধ্য করানো নেতৃত্ব দেয়া জাহাঙ্গীর আলম খানের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। তবে ওইদিন পদত্যাগে বাধ্য করানো লোকদের মধ্যে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একজন দুর্নীতিবাজ। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তার এক যুগের আমলের রেজাল্ট দেখলেই সেটি বুঝা যাবে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে তার পদত্যাগ চাইছিলেন।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে এই পদত্যাগ করানো হয়েছে বলে শুনেছি। তবে সরকারি পরিপত্র জারির পর জোরপূর্বকভাবে এ ধরণের পদত্যাগ গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ১ হাজার ৪৮০ টি অবৈধ রিং জাল উদ্ধার ও ৭ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার তিতাস নদী ও বাইশমৌজা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু মুসা জানান।
তিনি জানান, বেশ কিছু দিন ধরে উপজেলার তিতাস নদীতে অবৈধ রিং জাল দিয়ে জেলেরা মাছ ধরছে ও বাজারে রিং জাল বিক্রি করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার তিতাস নদী অভিযান পরিচালনা করে রিং জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় ২ জন জেলেকে আটক করা হয় ও তাদের কাছ থেকে ১৮০ টি রিং জাল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, বিকেলে উপজেলার বাইশমৌজা বাজারের বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে বাজারে ৫ দোকানিকে আটক করা হয় ও তাদের দোকান থেকে ১৩০০ রিং জাল উদ্ধার করা হয়। পরে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে ২ জেলে ও ৫ দোকানিকে ৫ হাজার টাকা করে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উদ্ধার কৃত রিং জাল পরে জনসম্মুখে আগুনে পুড়ে বিনষ্ট করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম ও নবীনগর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।