চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে হাফিজুল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে আখাউড়া- কুমিল্লা রেল সেকশনের গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে রেল সেতুর ওপর থেকে তার দ্বিখন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ। নিহত হাফিজুল আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বনগজ গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ট্রেনে কাটা মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাই পুলিশ। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আলীম হোসেন শিকদার জানান, ধারণা করা হচ্ছে সেতু পার হওয়ার সময় আখাউড়া-কুমিল্লা রেলপথে চলাচলকারী রাতের কোনো এক ট্রেনে কাটা পড়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অবৈধভাবে হাওড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় আবু কাউছার ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই অর্থদন্ড প্রদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওড়া নদী থেকে অবৈধভাবে খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলো একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি জানতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী মঙ্গলবার দুপুরে ছয়ঘরিয়া এলাকায় গিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আবু কাউছার ভূঁইয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে আবু কাউছার ভূঁইয়া ১ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে কেউ মাটি বা বালু উত্তোলন করে করতে পারবেনা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মী রানী দাস। তিনি ভারত থেকে স্বামী ও সন্তান নিয়ে আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসেন।
যাত্রাকালে আগরতলা ইমিগ্রেশনে সুষ্ঠু ও স্বাচ্ছন্দ্যে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে এলেও আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে এসে রীতিমত অবাক হক তিনি। বসারও সুব্যবস্থা নেই এখানে।
ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করতে গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়ালেও ছোট কক্ষটিতে নেই কোনো ফ্যান। হঠাৎ ১২ বছর বয়সী ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে সেবা করার জন্য কোনো স্থান না পেয়ে ইমিগ্রেশন ভবনের এক কোনায় বসে তার সেবা যত্ন করেন। আশেপাশে ছিল না কোনো টিউবওয়েল। যাও বা ট্যাংকের পানি জুটেছে, তাও তীব্র তাপদাহে তপ্ত। তা দিয়েই ছেলেকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যান।
লক্ষ্মী রানী দাসের বলেন, আগরতলা ইমিগ্রেশনে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে ও সুন্দর পরিবেশে আরামে সব কাজ করে এসেছি। বন্দর থেকে গাড়িতে আমাদের ফ্রি চেকপোস্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। অথচ আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে এসে নাজেহাল হতে হলো। এখানে কোনো কিছুরই সুব্যবস্থা নেই। একতলা পুরোনো ভবনের ছোট্ট কক্ষে শত শত লোক ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে। এখানকার ইমিগ্রেশনের অব্যবস্থাপনা দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। এখানে যাত্রীদের জন্য পরিষেবা বাড়ানো উচিত। আশা করব, বাংলাদেশ সরকার দুই দেশের যাত্রীদের কথা বিবেচনায় এনে ইমিগ্রেশন উন্নত করবে।
আগরতলা থেকে আসা আরেক যাত্রী খোকন মিয়া বলেন, আমি গত ছয় বছর ধরে এ চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করছি। ইমিগ্রেশনটি যে হালতে দেখেছিলাম, সে হালতেই আছে। একজন রোগী এলে যে বসবে, সে উপায় নেই। এখানে যে পরিমাণ জায়গা দরকার, সে তুলনায় খুবই কম আছে।
বন্দরটি ঘুরে দেখা গেছে, মূলফটক পার হলেই একতলা বিশিষ্ট তিন রুমের একটি ভবন। এর মধ্যে দুটি ছোট রুম ও একটি মাঝারি রুম। একটিতে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ বসেন, আরেকটি হচ্ছে ব্যারাক। মাঝারি কক্ষটিতে চলে অফিসের কার্যক্রম। পুরোনো ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরে গেছে। প্রতিদিন যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে, তাই গাদাগাদি করেই চলে কার্যক্রম। যাত্রীদের মালপত্র বারান্দায় রেখে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বসার জন্য ইমিগ্রেশন কক্ষে কোনো জায়গা নেই। আর বাইরে টিনের একটি ছাউনি আছে, যেখানে ১৫/২০টি চেয়ার থাকলেও কোনো টেবিল নেই। অথচ ফরম পূরণ করতে টেবিল প্রয়োজন। ফরম পূরনের জন্য দেখা গেছে কেউ বারান্দার মেঝেতে বসে, আবার কেউ কেউ বিদ্যুৎতের জেনারেটরের ওপরে ফরম রেখে পূরণ করছেন। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্রামের জন্যও জায়গা নেই। কক্ষটিতে এসির ব্যবস্থা থাকলেও ভিড় থাকায় যাত্রীদের লাইন কক্ষের বাইরে বারান্দায় চলে যায়। ফলে এসিগুলো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় গরমে কষ্ট সহ্য করে ইমিগেশনের কাজ শেষ করতে হয়।
তবে বিড়ম্বনা এখানেই শেষ নয়। কাস্টমসের কাজ করতে পাড়ি দিতে হচ্ছে অন্তত দুইশ গজ দূরবর্তী অন্য আরেকটি ভবনে। মূলত এক ভবন ও এক ছাদের নিচে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ করতে না পারায় তাদের দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে চালু হয় আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম। সুবিধাজনক ভৌগলিক অবস্থান হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট থেকে অনেকেই আখাউড়া ইমিগ্রেশন ব্যবহার কররে ভারতে যাতায়াত করছেন।
কাস্টমস সূত্র জানায়, এ ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে প্রতিদিন অত্যন্ত এক হাজার যাত্রী দুই দেশে যাতায়াত করছেন। এর মধ্যে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ভারতে যান। যা থেকে প্রতি মাসে ৭৫ লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে সরকারের। বিগত ছয় মাসে চার কোটি ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
এদিকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন আধুনিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ২০১৭ ও ২০১৯ সালে সীমান্ত আইনের অজুহাতে বিএসএফ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
মৌলভীবাজার জেলা থেকে ভারতগামী বাংলাদেশি যাত্রী সুমন আহমেদ বলেন, আমি ইমিগ্রেশনের পরিবেশ দেখে হতবাক হয়ে গেছি। এখানে লাইনের কোনো শৃঙ্খলা নেই। কোনো ধরনের আধুনিকায়ন নেই। অথচ আগরতলা ইমিগ্রেশনের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ফারহানা মিলি নামে এক নারী চিকিৎসক তার বাবার চিকিৎসা জন্য ভারতে যাওয়া সময় আক্ষেপ করে বলেন, আগরতলা ইমিগ্রেশন ও আখাউড়া ইমিগ্রেশনের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমাদের এখানে ভালো ব্যবস্থা নেই। মালপত্র রাখার জায়গা পাই না। আরেকজনের কাছে পাহারা দিয়ে রাখতে হয়। বছরের কয়েকবার যেতে হয়। তবে এর উন্নতি দেখছি না। এখানে দ্রুত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগুক সেই কামনা করি।
মুক্তি খান নামে এক যাত্রী বলেন, বর্তমানে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন নামেমাত্র টিকে আছে। জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করে কোনোমতে ঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হচ্ছে। স্থায়ী ভবন তৈরির পর এক ছাদের নিচে সব পরিষেবা পাওয়া গেলে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশিদের আসা যাওয়া আরও বেড়ে যাবে। যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগও লাঘব হবে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি যাত্রী পারাপার হচ্ছেন। তবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালানোর জন্য যে ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে, তা খুবই অপ্রতুল। নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে সেবার মান বাড়বে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, এ ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের বিপুল সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করলেও ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের পর্যাপ্ত সুবিধার কমতি রয়েছে। আমাদের নতুন একটি ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ চলছিল, তা বিএসএফের বাধায় বন্ধ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কথা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেলে আমরা ভবনটির কাজ আবার শুরু করতে পারব। এছাড়া বলে রাখি, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখানে একটি আধুনিক বন্দর নিমার্ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ৩.৫৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ হাতে নিয়েছি। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। তখন স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। যাত্রীসেবার মানও উন্নত হবে।
তিনি আরো বলেন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চারলেন সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে এবং আধুনিক স্থলবন্দরটি তৈরি হলে আখাউড়াই হবে বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য স্থলবন্দর।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাল্য বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছেন এসিল্যান্ড। ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ষৌল লোহঘর গ্রামে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী।
বিয়ে বাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে কনেকে ফেলে পালিয়ে যায় অতিথিরা। খবর শুনে বিয়ে বাড়িতে আসেনি বরসহ বরযাত্রীরা। তারা পথ থেকেই ফিরে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তুলাইশিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও ষৌল লোহঘর গ্রামের প্রবাসী মাসুম তালুকদারের মেয়ে নাদিয়া আক্তারের (১৫) বিয়ে পারিবারিকভাবে কুমিল্লায় ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। বিষয়টি জানতে পেরে বিয়ে বাড়িতে বর আসার আগেই ছুটে যান প্রশান্ত চক্রবর্তী।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, যেহেতু কনের বয়স ১৫ বছর তাই এই বিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে। কনের মা স্বপ্না খানম মুচলেকা দিয়েছেন প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে তার মেয়ের বিয়ে দেবেন না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের মুম্বাইয়ে এক হিন্দু পুরোহিত ও বিজিপি নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আখাউড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজার মুক্তমঞ্চে হেফাজতে ইসলামের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হযরত মাওলানা আসাদ আল হাবিব, মাওলানা আসাদুজ্জামান, আলহাজ মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া, মাওলানা আব্দুল বাছির আল মাহদী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার, মাওলানা মুফতি সুহাইল আহমদ ধরমন্ডলী, মাওলানা অলিউল্লাহ, মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমেদ, আলহাজ বিল্লাল হোসেন, মাওলানা জিয়াউর রহমান, মুফতি ইব্রাহিম বিন আব্দুল মান্নান, মাওলানা জাকির আহমেদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভারতে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তিকারীদের ফাঁসি চাই। আমাদের নবীকে অপমান আমরা কিছুতেই মেনে নেব না। অতি দ্রুত কটূক্তিকারীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানাই। আজ আমরা প্রতিবাদ করছি, কাল দেশের প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান কটূক্তির প্রতিবাদ করবে। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মাধ্যমিক ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ২৪ মার্চ রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনসহ তিনটি কক্ষে ঘন্টাব্যাপী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ৭৮ ছাত্রছাত্রী ৩টি গ্রুপে ৫টি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিষয়গুলো হলো ভাষা ও সাহিত্য দৈনন্দিন বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার, বাংলাদেশ স্ট্যাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ। পরীক্ষার মোট নম্বর ছিল ৫০।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ পরীক্ষার সদস্য সচিব মোঃ আবুল হোসেন বলেন, উপজেলার ১৬টি স্কুল থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
১৫জন সেরা ছাত্রকে নগদ অর্থ উপহার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে এসব শিক্ষার্থীরা জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে। মুলত সারা দেশ থেকে সেরা মেধাবী ছাত্রছাত্রী খুঁজে বের করতেই এ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।