চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় সুর সম্রার্ট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ দেওয়ান হাফিজের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খোরশেদ আলম ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা দেলোয়ার, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শাহাদৎ হুসেন, শিক্ষক নেতা মুশফিক জাহাঙ্গীর, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর তাহসিনা পলি, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ও শিক্ষকদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। এক সময় শিক্ষকরা অনেক দুরাবস্থায় ছিলেন।
বর্তমান সরকারের আমলে সেই অবস্থা আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার উন্নয়নে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরন, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পুরাতন ভবন সংস্কার ও শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ শিক্ষকদের অনেক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষের জন্য অনেক কঠিন কাজ হলো আরেকজনকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু শিক্ষকরা সেই কঠিন কাজটিই করছেন।
তিনি বলেন, বিদায়ী শিক্ষকরা সারাটি জীবন আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
পরে তিনি বিদায়ী ১৮জন প্রধান শিক্ষক ও ৩২ জন সহকারি শিক্ষকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক মানবজমিনের ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ স্টাফ রিপোর্টার জাবেদ রহিম বিজন। আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার ক্লাব কার্যালয়ে সভাপতি পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালের ৬ মার্চ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। তার শূন্য পদে এই নির্বাচনে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন চলে। পরে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রেস ক্লাব উপ-নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো: ইকরামুল হক নাহিদ।
নির্বাচন তত্ত্বাবধান করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: ইকবাল হোসেন।
নির্বাচনে জাবেদ রহিম বিজনের প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন স্থানীয় দৈনিক তিতাস কন্ঠের সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রেজা।
নির্বাচনে সদর মডেল থানা পুলিশ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আর্মি ক্যাম্প ইনচার্জ সেনাবাহিনীর ৩৩বীরের ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলমের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা কিছু সময় দায়িত্ব পালন করেন।
পরে নব-নির্বাচিত সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে ক্লাব সদস্যরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এছাড়া নবীনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাব, সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, সদস্য শফিকুল ইসলাম বাদল এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা আলাদাভাবে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
জাবেদ রহিম বিজন এর আগে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে সিএনজি অটোরিক্সা মালিক শ্রমিকরা।
আজ ২৭ জুলাই রবিবার সকাল থেকে জেলাজুড়ে প্রধান প্রধান সড়কসহ মহাসড়কে সব ধরনের সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শহরে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা যেন প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবস্থান নেয় সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী এবং রোগীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। ফলে চাপ বেড়েছে বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহনে।
বেশ কয়েকজন অটোরিক্সা যাত্রীরা জানান, আমাদের বিভিন্ন উপজেলা থেকে অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কোনো সিএনজি অটোরিক্সা সড়কে চলাচল করছে না। এতে আমাদের বিভিন্ন উপায়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাও আটকে দিচ্ছে। অটোরিক্সা দেখলেই তারা চাকার হাওয়া ছেড়ে দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এতে আমাদের নিকট গন্তব্যে পায়ে হেঁটে এবং দূরবর্তী স্থানে বাসে করে যেতে হচ্ছে। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও অসুস্থদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হেবজুল করিম জানান, প্রতিদিন নানা অজুহাতে ট্রাফিক পুলিশ তাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় বিনা কারণে গাড়ি জব্দ করা হয়। লাইসেন্স নবায়ন ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না বলে দাবি চালকদের। যে সকল সিএনজি অটোরিক্সার নবায়ন বাকি রয়েছে, সেগুলোর জন্য সময় চান তারা। দ্রুত জব্দকৃত অটোরিক্সাগুলো ছেড়ে দেয়া না হলে এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. আনোয়ারকে অপসারণ করার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।
সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশের লাগাতার হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ ও লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
পুলিশ সুপার মো. এহতেশামুল হক বলেন, আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ব্যতীত ৭০টির বেশি সিএনজি অটোরিক্সা জব্দ করা হয়েছে। কাগজপত্র নবায়ন করা হলে জব্দকৃত অটোরিক্সাগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে। এছাড়া বিশৃঙ্খলা এড়াতে মালিক-শ্রমিক নেতাদের সাথে আলোচনা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ ৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের লাগার ঘটনা ঘটেছে। সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি।
এদিকে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯ শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন আছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসন্ন বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে একটি প্রজেক্ট প্রস্তুত করতে বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায় বিজ্ঞানাগারে যান। মাল্টিপ্লাগের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে ১৫-২০শিক্ষার্থী বিজ্ঞানাগারের ভেতরে প্রজেক্ট তৈরির কাজ করছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাল্টিপ্লাগে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের চিৎকার শুনে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বের হয়ে হুড়োহুড়ি করে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।
৮ম শ্রেণির আমেনা জাহানা আরিশা, ৬ষ্ঠ শ্রেণির সোহামণি ইতি, ৭ম শ্রেণির তাসনোভা ইসরাত, ৮ম শ্রেণির মাকিয়া আক্তার লামিয়া, ৮ম শ্রেণির ফারিয়া সুলতানা, ৭ম শ্রেণির তানজিনা আক্তার, ৮ম শ্রেণির নোহা ইসলাম, ৮ম শ্রেণির কলি, ৮ম শ্রেণির আরিফা, ৭ম শ্রেণির রুহান, ৭ম শ্রেণির ফাতেমা আক্তার মীমসহ অনেকে আহত হন।
আহত শিক্ষার্থী সোহামণি ইতি ও ফাতেমা আক্তার মীম জানায়, আগুন লেগেছে শুনে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার সায়েমুল হুদা শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তাদের মধ্যে নয়জনকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্ডিওলজি ও সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এদিকে দুপুরে সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাহমিনা আক্তার, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য এবং সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ অনেকেই হাসপাতালে ছুটে আসেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিকেল সায়েমুল হুদা বলেন, শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি। তবে তাদের প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে। মাসনিকভাবে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বলেন, সামনে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান মেলার একটি প্রজেক্টে কাজ করছিল সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা হুড়োহুড়ি করে সিড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা আহত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় কারো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “মায়ের দোয়া মোরগ সেন্টার” নামে একটি মোরগের দোকানে চুরি হয়েছে। চোরেরা দোকান থেকে নগদ ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩২০ টাকা ও একশত মুরগী চুরি করে নিয়ে যায়। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় শহরের কাউতলী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে দোকানের মালিক বশির মিয়া বাদি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বশির মিয়া কাউতলী গ্রামের আবু সামা মিয়ার ছেলে।
আসামীরা হলেন, পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মরহুম আসমত আলীর ছেলে আনসর আলী (৬৫), আনসর আলীর ছেলে নুরুল আমিন (৩৬), কাউতলী গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে শাহজাহান (৫০), একই গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে হানিফ মিয়া (৫০) ও সদর উপজেলার দারমা গ্রামের রতন (৩০)। পুলিশ এ ঘটনায় আনসর আলী নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহারে বাদি বশির মিয়া বলেন, তিনি কাউতলী বাজারে “মায়ের দোয়া মোরগ সেন্টার” নামক একটি মুরগীর দোকান দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন।
রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার সময় তিনি দোকান বন্ধ করে খাওয়ার জন্য বাড়িতে চলে যান। এই সুযোগে চোরেরা দোকানের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩২০ টাকা ও দোকানে থাকা ১০০ মুরগী চুরি করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে তিনি বাজারে গিয়ে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে। পরে পুলিশ পাশের দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামীদের সনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, মুরগীর আড়তে চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা মামলার প্রধান আসামী আনসর আলীকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছি। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহগীর আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রহুল আমিন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
টুর্ণামেন্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ ৯টি উপজেলার মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করছে।
উদ্বোধনী খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা টাইব্রেকারে ১ গোলে নবীনগর উপজেলাকে হারিয়ে জয় লাভ করে।